আপনারা জানেন যে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এইখানে সবসময়ই আপনি কোথায় কিভাবে কোন কাজ করবেন সব কিছুই উল্লেখ করা রয়েছে। তাই আপনাকে আলাদাভাবে আর কিছু জানতে হবে না আপনি নিজ ধর্মকে অনুসরণ করে সেই মোতাবেক কাজ করলেই আর কোন ধরনের চিন্তা করতে হবে না। আজকের বিষয় হল যে কছর নামাজ পড়ার নিয়ত। বছর নামাজ পড়ার নিয়ত অর্থাৎ বছরের নামাজ হলো আসলে মুসাফিরের নামাজ। মুসলিম ব্যক্তিগণ যখন নিজের বাড়ি
থেকে অন্য কোন জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে অথবা অন্য কোন কাজের উদ্দেশ্যে নিজের স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় তখন তাকে মুসাফির হিসাবে ধরা হয়। তবে নিজের বাড়ি থেকে তা নিজের এলাকা থেকে কতদূর গেলে মুসাফির ধরা হবে সে বিষয়টিও আপনারা জানেন বলেই মনে করছি। মুসাফিরের নামাজকেই সাধারণত বছরের নামাজ বলা হয়। তাহলে চলুন আমরা এখন মুসাফিরের নামাজ বলতে কি বোঝাচ্ছি বা বুঝতে পারছি সে বিষয়গুলি সম্পর্কে দেখব।
কারণ হলো মুসাফির অবস্থায় আমাদের কত রাকাত নামাজ পড়তে হয় সেই বিষয়টি দেখব। আমরা যখন নিজ বাড়িতে অবস্থান করব নিজ এলাকায় থাকবো তখন মুসাফির নয় সেই সময় পূর্ণাঙ্গ নামাজ পড়তে হয় কিন্তু আপনি যখন বাইরে থাকবেন মুসাফির অবস্থায় থাকবেন তখন অবশ্যই নামাজের বিষয়টি আলাদা রয়েছে। সেই সময় মুসাফির ব্যক্তি পথিমধ্যে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ আদায় করতে পারবেন। ফরজ নামাজ অর্থাৎ বলা যায় যে ফজর যশোর মাগরিব এবং
এশার এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ নামাজ বলা হয়। এই ফরজ নামাজগুলো আপনারা অবশ্যই চার রাকাতের পরিবর্তে দুই রাকাত বা দুই রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ গুলি আদায় করতে পারেন। তিন রাকায়া ত বা দুই রাকাতও বিশিষ্ট ফরজ নামাজ, ওয়াজিব নামাজ, এমনিভাবে সুন্নাত নামাজ পূর্ণ পড়তে হবে। এই হলো ইসলামের বিধান অর্থাৎ আপনি যদি মুসাফির অবস্থায় থাকেন পথে মধ্যে থাকেন তাহলে আপনার সালাত আদায়ের বিষয়টি কি হবে এটি আমরা অনেকেই ভাবতে থাকি।
কিন্তু ইসলাম এই বিষয়গুলো ভালোভাবেই আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। সকল বিষয়ে ইসলাম সফলভাবে কোথায় কি কি করতে হবে এই সকল বিধানগুলো দেওয়া রয়েছে। আর এই সকল বিধানগুলো দেওয়ার কারণেই ইসলামকে আসলে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলা হয়ে থাকে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অর্থাৎ মোটামুটি ভাবে বাড়ি থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলে তাকে মুসাফির বলা হয়। তাই এই সময় আপনি পথে মধ্যে থাকলে অবশ্যই পুরোপুরিভাবে আপনি নামাজ
আদায় করতে পারবেন না। তার জন্যই ইসলামে মুসাফিরের নামাজ বা বছরের নামাজের আলাদা নিয়ত বা নিয়ম গুলি চালু রয়েছে। ইসলামে মুসলিম পর্যটকদের জন্য একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যদি লম্বা ভ্রমণে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাতে পড়া যায়। এরপর আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর পর যদি সেখানে 15 দিনের মত বা তার তদূর্য কাল থাকার নিয়ত হয় তাহলে কছর হবে না নামাজ পূর্ণ হবে।
আর যদি ১৫ দিনের নিচে থাকার নিয়ত থাকে তাহলে আপনাকে কসরের নামাজ অর্থাৎ মুসাফিরের নামাজ পড়ার নিয়ম অনুসরণ করলেই হবে। মুসাফিরার জন্য নামাজ সংক্ষিপ্ত করে পড়া আল্লাহর পক্ষ থেকে তার প্রিয় বান্দাদের জন্য উপহারস্বরূপ বলেই মনে করা হয়। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন শরীফের সূরায় বলেছেন। এবং আল্লাহতালার প্রতিটি কথা স্মরণ করে চলা প্রত্যেকটি ঈমানদার মুসলমানের জন্য ফরজ বলে মনে করা হয়। তাই আপনারা অবশ্যই যখন
মুসাফির অবস্থায় থাকবেন তখন আল্লাহতালার হুকুম স্বরূপ যে কথা উল্লেখ রয়েছে সেগুলো পালন করলেই চলবে। এ ধরনের যে কোন তথ্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। তখন এখান থেকেই সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে পারবেন।