আমরা কিন্তু অনেকেই বিড়াল পুষতে পছন্দ করি। বিশেষ করে বিড়ালের গান নরম হয়ে থাকার কারণে মেয়েরা এদেরকে অনেক পছন্দ করেন এবং ছোট বাচ্চার মত করে লালন পালন করে থাকেন। তাই আপনি যদি বিড়াল প্রসার প্রতি আগ্রহ দেখান এবং সুন্দর ধরনের বিড়ালের বাচ্চা কিনতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের ভিত্তিতে কি বলছে অথবা কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে পারেন। আর আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে বিড়াল কেনাবেচা কি হারাম এ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে।
বিড়াল একটা গৃহপালিত প্রাণী এবং আমাদের বসতবাড়িতেই এগুলো বসবাস করার জন্য আরামে থাকে। আমাদের পরিবার থেকে উচ্ছিষ্ট খাবার অথবা বিভিন্ন ধরনের মাছের কাটা থেকে শুরু করে মাংস তারা খুব পছন্দ করে। খাবার পরে যখন তাদেরকে আমরা খেতে দিয়ে অথবা তাদের জন্য যখন খাবারের ব্যবস্থা করে তখন তারা খুব সুন্দর ভাবে খেয়ে সেই গৃহকর্তার ওপর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সুন্দরভাবে অবস্থান করে। বিশেষ করে তারা বাসা বাড়ির ইদুর নিধন করার চেষ্টা করে এবং বাসা বাড়িতে সুন্দর ভাবে বসবাস করার চেষ্টা করে।
কিছু ক্ষেত্রে তাদের চুরির স্বভাব থেকে থাকলেও অনেক সময় তারা আমাদের উপকার করে অথবা শখের বসে আমরা তাদেরকে পালন করে বলে এই ধরনের নেগেটিভ বিষয়গুলো আমাদের চোখে খুব একটা পড়ে না।তবে আপনি যেহেতু বিড়াল পোষার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন যেহেতু আপনাদের জন্য এখানে বিড়ালের যেভাবে যত্ন নিতে হয় সে প্রসঙ্গে আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি। আর এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বিড়াল পোষার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং বিড়াল কিনে পুষতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে যারা জানতে চেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখন এই তথ্য আলোচনা করব।
বিড়ালের প্রতি আগ্রহ আমাদের অনেকের কাছে আছে। কিছু কিছু বিড়াল আমাদের আদর আপ্যায়নে অথবা তাদেরকে খেতে দিয়ে বলে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমাদের বাসাতে থেকে যায়। তবে বর্তমান সময়ে এমন কিছু বিড়াল পাওয়া যায় যেগুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর এবং যেগুলোর আকার অনেক ছোট হওয়াতে আমরা কোলের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি। তবে ওই সকল বিড়াল অনেক সময় কেনাবেচা হয়ে থাকে এবং এই কেনা বেচার ক্ষেত্রে আপনি আসলে কি নিয়ে তাদেরকে লালন পালন করতে পারবেন কিনা সেটাই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিড়াল কেনা বেচা হারাম কেন
তাই আপনারা এখানে যারা জানতে এসেছেন যে বিড়াল কেনাবেচা হারাম কেন অথবা বিড়াল কেনাবেচা করা যাবে কিনা তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে হারাম বলা হয়েছে। তবে কেউ যদি মনে করে থাকেন একজনের বিড়াল আর একজনকে উপহার দিবেন অথবা যে বিড়ালের কোন মালিকানা নেই সেই বিড়ালকে নিয়ে নিবেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ বিড়াল কেনাবেচা হারাম এর বিষয়ে জোর প্রদান করা হয়েছে এবং আপনারা যারা এই কাজটি করবেন তারা অবশ্যই পাপ করবেন।
বিড়াল কেনা বেচা নিয়ে হাদিস
বিড়াল কেনাবেচা নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ প্রদান করেছেন। বিশেষ করে লম্বা দাঁত বিশিষ্ট প্রাণী কখনোই কেনাবেচা করবেন না। এ বিষয়ে হাদিস রয়েছে এবং সেই হাদিস থেকে আপনারা আশা করি বুঝতে পারবেন। বিড়াল একটা গৃহপালিত প্রাণী এবং এক্ষেত্রে কারো যদি মালিকানা না থাকে তাহলে সেই বিড়াল আপনারা খুব সুন্দর হবে লালন পালন করতে পারবেন। কিন্তু অর্থ দিয়ে সেগুলো বিনিময় বা হস্তান্তর করবেন না এবং এই ক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিষেধ প্রদান করা হয়েছে।
বিড়াল কেনা কি হারাম
বিড়াল কেনা কি হারাম এই প্রসঙ্গে আমরা উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি । আমরা মনে করছি যে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা বিড়ালের বিষয়ে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছেন। বিড়ালের বিষয়ে আপনারা এ সকল তথ্য যেহেতু জানতে পারলেন সেহেতু অন্যের কাছে সেটা বিনিময় করলেও বিনা পয়সাই করতে হবে। অন্যান্য গৃহপালিত পশু টাকা দিয়ে কেনাবেচার নিয়ম থেকে থাকলেও বিড়ালের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোন নিয়ম নাই বলে সকলকে বিষয়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে।