যারা ইসরাকের নামাজ আদায় করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে জানিয়ে দিতে চলেছি ইসরাকের নামাজ কোন সুরা দিয়ে আদায় করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে যাদের মনের ভিতর নামাজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভালোবাসার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে তার পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার বাইরেও অন্যান্য যে সকল নামাজ আদায় করার সুযোগ পায় সেগুলো আদায় করে থাকেন। নামাজ এমন একটা ইবাদত যেখানে দোয়া পাঠ করা হয়, দরুদ শরীফ পাঠ করা হয় এবং অন্যান্য আরো ইবাদত করা হয়। তাই যদি সুযোগ পেয়ে থাকেন তাহলে দুই রাকাত অতিরিক্ত সালাত আদায় করার সব সময় চেষ্টা করবেন। তাই আপনাদের জন্য এখানে আমরা ইসরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে আদায় করতে হয় সে প্রসঙ্গে জানিয়ে দিলাম।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করে দিয়েছেন। সুবহে সাদিকের আগে আমাদেরকে ফজরের সালাত আদায় করতে হবে এবং পরবর্তীতে সারাদিনে যে সকল সময়গুলো বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই সময়গুলোতে পুরুষেরা অবশ্যই জামাতের সঙ্গে সালাত আদায় করবেন। অনেকে আছেন তাড়াহুড়া করে সালাত আদায় করেন এবং কোন রকমে মসজিদে গিয়ে আবার মসজিদ থেকে ফেরত চলে আসেন। কিন্তু আপনার ভেতরে যদি নামাজের প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে দেখবেন যে প্রত্যেক রাকাত নামাজে আপনি মনের ভেতরে এক অন্য ধরনের প্রশান্তি অনুভব করতে পারছেন।
নামাজের মাধ্যমে আপনি মহান আল্লাহ পাকের কাছে রুকু এবং সিজদা করতে পারছেন এবং সিজদাতে গিয়ে দোয়া করার মাধ্যমে অনেক সময় মনের দোয়া করে পূরণ হয়ে যাবে। মনের মধ্যে অনেক ধরনের চিন্তা কাজ করলে অথবা মনের ভেতরে অনেক খারাপ লাগা কাজ করলেও আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আল্লাহপাকের কাছে নামাজ পড়ার সময় সমস্যাগুলোর কথা খুলে বলেন তাহলে মন অনেকটাই হালকা হয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে আমরা অযথাই টেনশন করি এবং হতাশার জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র সেবন করে থাকে।
কিন্তু আপনি যখন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবেন তখন আপনার ভেতরে সময় জ্ঞান তৈরি হয়ে যাবে এবং নিয়ম অনুবর্তিতার শিক্ষা পেয়ে যাবেন। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে কেউ গাফিলতি করবেন না এবং সকল কাজ শেষ করে হলেও অথবা কাজ পরে করার উদ্দেশ্য হলো সঠিক সময় নামাজ আদায় করে নিবেন। তবে যাই হোক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি ইসরাকের নামাজ আদায় করা প্রসঙ্গে জানতে চান তাহলে বলব যে এটা এক ধরনের নকল ইবাদত। ফজরের সালাত আদায় করার একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে এবং এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাদেরকে সালাত আদায় করে সূর্যোদয়ের সময় অবশ্যই বিরতি দিতে হবে।
ফজরের ওয়াক্তের নামাজ শেষ করার পর সূর্যোদয়ের সময় যে নিষিদ্ধ সময় থাকে সেই সময়টি আপনারা বিভিন্ন আমল করতে পারেন। আর এমন করার পরবর্তী সময় যখন আপনাদের নামাজের নিষিদ্ধ সময় পার হয়ে যাবে তখন দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত নামাজ আদায় করতে পারেন। নফল নামাজের নিয়ত করে আপনারা এই নামাজে দাঁড়াবেন এবং সুরা ফাতিহার সঙ্গে যে কোন সূরা মিলিয়ে নফল নামাজের মত করেই এই নামাজ শেষ করা যাবে। তাই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটা এবাদত হওয়ার কারণে আপনারা অবশ্যই এই নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন।
যদি আপনারা ইসরাকের নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক আপনাদের নিজ রহমতে সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করে দেবেন এবং অনেক সওয়াব পেয়ে যাবেন। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আমরা যদি দৈনন্দিন জীবনে অন্যান্য নফল ইবাদত গুলো করতে পারি তাহলে এটা আমাদের দুনিয়ার জীবনে যেমন ভালো হবে তেমনি ভাবে আখেরাতের জীবনেও আমরা অনেক বেশি পুরষ্কৃত হব। তাই যেখানেই সুযোগ পান না কেন অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে যদি অতিরিক্ত দুই রাকাত নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে তাহলে সেটা কখনোই অবহেলায় নষ্ট করবেন না। আশা করি এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় তা বুঝতে পেরেছেন।