ক্ষমা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ক্ষমা একটি মানুষের জীবনের মহৎ গুণ। মানুষের জীবনে যে কয়টি মহৎ গুণ রয়েছে তার মধ্যে ক্ষমা একটি। মহান আল্লাহ তাআলা মানব জীবনে যত ধরনের ভুল করা হয়েছে তা যদি আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাই তাহলে তিনিও আমাদের ক্ষমা করে দেন। তবে সেই ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সত্যি সত্যি মহান আল্লাহ তাআলার শরণাপন্ন হতে হবে এবং বেশ মনোযোগ সহকারে অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখেই ক্ষমা চাইতে হবে।

তাই বিভিন্ন ইসলামিক ব্যক্তিগণও ক্ষমা নিয়ে অনেক উক্তি করেছেন এককাল আগে থেকে। সেই উক্তিগুলো আমাদের জীবনে কতটুকু প্রভাব ফেলে সেই বিষয় সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো এবং ক্ষমা নিয়ে সেই উক্তি গুলি কি সেই উক্তিগুলো আপনাদেরকে দেখাবো। তাহলে চলুন আমরা আস্তে আস্তে দেখতে থাকি ক্ষমা নিয়ে বিভিন্ন ইসলামিক চিন্তাবিদদের করা বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ধরনের উক্তিগুলো।

ক্ষমা কি?

আসলে কোন কিছু অপরাধ করার পরও যদি তার সেই অপরাধকে আমলে না নিয়ে তাকে ভালোবাসা যায় এটাই হল ক্ষমা। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের শত অপরাধ ক্ষমা করে দেন। তাই ক্ষমা হল মানুষের সবচাইতে বড় গুণ। মানুষ যদি কোন ভুল অথবা কোন অপরাধ করে থাকে এবং সেই ভুল এবং অপরাধ পরবর্তীতে তারা বুঝতে পারে তখন সেই ব্যক্তি অথবা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থী হয়ে থাকেন।

যেহেতু মানুষ যদি তার ভুল বুঝতে পারে ক্ষমা চান তখন অবশ্যই যেহেতু আল্লাহতালা ক্ষমা করে দেন তাই মানুষকেও উচিত হবে যে সেই ব্যক্তির ভুলগুলো বা অপরাধ গুলো ক্ষমা করে দেবেন। কারণ তাকে অবশ্যই ভালো পথে আসার বা শুধরে যাওয়ার সুযোগ আমাদেরকে দিতে হবে। মানুষ সব সময় একই রকম থাকতে পারে না। মানুষ বেঁচে থাকলে বদলাবেই। আর সেই আশা নিয়ে আজকে আমরা তাদেরকে বা তাদের ভুলগুলোকে ক্ষমা করে দেব যদি তারা ক্ষমা চায়।

ক্ষমা দস্তুতি এগুলোকে বাদ রেখে তাদের অনুশোচনা যদি হয়ে থাকে যে এ ধরনের ভুল করেছি আর করব না তাহলে অবশ্যই সেগুলোকে মাফ করে দেওয়াই হল ক্ষমা। এবার আমরা ইসলামিক চিন্তাবিদদের দেওয়া সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের উক্তি রয়েছে। সেই উক্তিগুলো কি ধরনের অর্থাৎ ক্ষমা নিয়ে উক্তিগুলো কি ধরনের করে গেছেন সেই উক্তিগুলো সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত জানবো।

ক্ষমা নিয়ে উক্তিগুলো

ইসলামে ক্ষমা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি রয়েছে। কারণ ইসলাম জন্মের পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি অপরাধ করেছে আর সেই অপরাধগুলো অবশ্যই ক্ষমা করে দিয়েছেন মহান রাব্বুল আলামিন। তাই আমাদেরকে অবশ্যই ক্ষমাপ্রার্থী ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতে হবে। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ও বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অধ্যায়ের ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি।

যেহেতু আমাদের রাসূল আমাদের মহানবী তিনি তার জীবনে ক্ষমা দেখিয়েছেন তাই আমাদেরকে অবশ্যই ক্ষমাপ্রার্থী ব্যক্তির ক্ষমা করে দেওয়াই উচিত বলে হাদিস কোরআনের আলোকে আমরা দেখে থাকি। আর ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান তাই ইসলামে যে ক্ষমা নিয়ে উক্তি রয়েছে সেই উক্তিগুলো আমরা এখন দেখব। কারণ ক্ষমা যেহেতু ব্যক্তি জীবনের একজন ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ মহৎ গুণ এ কারণে আমাদেরকে অবশ্যই ক্ষমাশীল হতে হবে।

ক্ষমা নিয়ে উক্তিগুলো নিম্নরূপ:

“একজন বিশ্বাসীর সবচেয়ে বড় গুণ হলো ক্ষমা করতে পারা”।— হাসান আল বসরী (রঃ)
সব সময় ইসলামিক চিন্তাবিদ বা ইসলামিক নেতা অথবা আলেম ওলামায়েগণ আল্লাহর বান্দাদেরকে বিভিন্ন অপরাধের জন্য ক্ষমা করার কথাই বলেছেন।

তাই আমাদের ব্যক্তি জীবনের সাথে কখনো যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে পারো তো পক্ষে তাদেরকে বা তাদের সেই ভুলগুলোকে অন্যায়গুলোকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলেই মনে করা হয়। পরের উক্তিগুলো আমরা এখন দেখব।

“সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা”। — ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
“যদি তুমি সত্যি শিখতে চাও কিভাবে ভালোবাসতে হয় তবে অবশ্যই কিভাবে ক্ষমা করতে হয় তাও শিখে নিতে হবে”।
— মাদার তেরেসা

Leave a Comment