ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে মাকে। মাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক উক্তি রয়েছে। আপনি কি মাকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর ইসলামিক উক্তি গুলো খোঁজ করতে চাচ্ছেন? মাকে নিয়ে ইসলামিক উক্তি কি ধরনের হয় তা জানতে চাচ্ছেন? আপনি কি ইসলামিক সুন্দর সুন্দর উক্তিগুলো সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? আপনি কি ইসলামে মাকে নিয়ে কি কি উক্তিগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? কিন্তু মনের মতো তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন এবং আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য লিখা হয়েছে।
কেননা এই আর্টিকেলটিতে মাকে নিয়ে খুব চমৎকার কিছু কথা উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে সাথে ইসলামের মাকে নিয়ে কি ধরনের কথা বলা হয়েছে। মাকে নিয়ে কি ধরনের উক্তি করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি এখান থেকে খুব সহজে মাকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন। সেই সাথে সাথে ইসলামিক বিভিন্ন নিদর্শন সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।
একজন সন্তানের কাছে তার সবচেয়ে আপনজন হচ্ছে মা। এজন্য ইসলাম ধর্মে মা অনেক বেশি সম্মান দান করেছেন। ইসলাম ধর্মে মাকে অনেক বেশি মর্যাদা দান করেছেন। প্রত্যেকটি সন্তানের উচিত মাকে সম্মান করা, মাকে ভালোবাসা, মাকে আগলে রাখা। কোনো সন্তান যদি মাকে সম্মান করে, মা যেভাবে সে সন্তানকে লালন-পালন করেছে, বৃদ্ধ বয়সে সন্তান যদি মাকে সেই ভাবে লালন-পালন করে, মায়ের সেবা যত্ন করে তাহলে মা তার জন্য অনেক বেশি দোয়া করেন। মায়ের দোয়া সাধারণত কবুল হয় এবং সন্তানের উপর আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়।
প্রত্যেকটা সন্তানের উচিত মাকে ভালো রাখার চেষ্টা করা, মাকে ভালোবাসা। আর মা যে সকল আচরণে কষ্ট পায় সেই কাজগুলো কখনো করা যাবে না। মা কষ্ট পেলে বা মা যদি কখনো ভুল করেও সন্তানের অমঙ্গল কল্পনা চায় তাহলে সে সন্তান কখনো জীবনে ভালো করতে পারবে না বা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে হলেও কখনো মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। অর্থাৎ মাকে কখনোই কোনোভাবে অমর্যাদা করা যাবে না । যেহেতু মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত, তাই প্রত্যেকটি সন্তানকে চেষ্টা করতে হবে মাকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সেই ব্যবস্থা করা। তাছাড়া ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি হচ্ছেন মা। ইসলাম ধর্মে মাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে মায়ের কথা অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি বর্ণনায় পাওয়া যায় যে মহানবী (সাঃ) এর কাছে একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করেছে কাকে বেশি সম্মান করা উচিত, মাকে না বাবাকে? নিজে প্রশ্নের উত্তরে (সাঃ) একবার বলেন মায়ের কথা। অর্থাৎ তিনবার তিনি একই ভাবে বলেন মাকে সম্মান করতে হবে এবং চতুর্থ বারের বেলায় বলেন বাবাকে সম্মান করতে হবে। অর্থাৎ এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি যে ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে মাকে, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে মাকে।
- মা, আমি তোমাকে খুব মিস করি।
- আমি তোমার ভালোবাসা এবং সমর্থন বাঁচতে পারবো না।
- আমি তোমাকে আর কখনও দেখতে পাব না, এটা ভাবতেই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, মা! তুমাকে ছাড়া একা এই স্বার্থপর পৃথিবীতে কিভাবে বাঁচবো, বলো মা?
- মাগো! তুমি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলে।
- আমি তোমাকে খুব ভালবাসি, প্রিয় মা।
কষ্ট দেখছি! বিরাট কষ্ট!! আমার মায়ের ফুসফুসে লিভার ক্যান্সার হয়েছিল; আমার মা তখন ব্যথায় কাতরিয়ে কাতরিয়ে বলতো: বাবা আমারে কই লইয়া যাইবা লইয়া যাও! আমি বুকের যন্ত্রণায় শেষ হয়ে যাচ্ছি। বাবা আমার জন্য কি বেশি দিনের বেঁচে থাকার জন্য কোন চিকিৎসা নাই?
বুঝেন এবার অসুস্থ মায়ের মুখে একজন ছেলে হয়ে এই কথা শোনাটা কতটা বেদনা!
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুখ কি জানো? মা-বাবার আদর! সবচেয়ে বড় কষ্ট কি, জানো? বাবা মায়ের চোখের জল! সবচেয়ে বড় অমূল্য রতন কি জানো; বাবা মায়ের ভালোবাসা।
মায়ের কোল যে কত বড় জিনিস, তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ জানে না
নানা রকমের দুশ্চিন্তাও হতাশা আপনার মাথায় ভর করেছে? শুধুমাত্র একটিবার মায়ের করে মাথা রাখেন, দেখবেন সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
দুনিয়ার যেখানেই যান না কেন, মায়ের কোলে যে শান্তি তা আর কোথাও খুঁজে পাবেন না।
দুনিয়ার সব কিছু বদলাতে পারে, কিন্তু মায়ের ভালোবাসা কখনো বদলায় না।
মা কখনো হয় না পর, যতই আসুক তুফান আর ঝড়! অন্যের ভালোবাসা হতে পারে ছলনা, কিন্তু মায়ের ভালোবাসায় পৃথিবীর কোন কিছুর সাথে হয়না তুলনা।
সন্তানরা হলো ধারালো চা*কু’র মত, তারা না চাইলেও মায়েদের কষ্ট দেয়। আর মায়েরা তাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সন্তানদের সাথে লেগে থাকে।
যেকোন বিষয়ে মায়েদেরকে দুইবার ভাবতে হয়: একবার তার সন্তানের জন্য, আরেকবার তার নিজের জন্য।
পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালবাসতে পারে; কিন্তু সেই ভালোবাসার মাঝে যে কোন প্রয়োজন লুকিয়ে থাকে, স্বার্থের পৃথিবীতে কেউ স্বার্থ ছাড়া তোমাকে নিখুঁতভাবে ভালোবাসবে না।কিন্তু একজন মানুষ আছে, যে কিনা কোন প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালবাসবে: আর সে হলো তোমার মা।
এজন্য যে সকল ব্যক্তি মুসলমান বা ইসলাম ধর্ম অনুসারে জীবন পরিচালনা করে তাদের অবশ্যই ইসলাম ধর্মের বিধানাবলি বিশ্বাস করতে হবে। ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় কথাবার্তা বিশ্বাস করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন হাদিসের বিধানও বিশ্বাস করতে হবে। আর এই সকল বিধান বিশ্বাস করলে অবশ্যই মাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যে ধর্ম যেভাবে মাকে গুরুত্ব দিয়েছে সেভাবে মাকে সম্মান দিতে হবে। যদি মাকে সম্মান দেয়া না যায়, তাহলে সে সন্তান কখনো উপযুক্ত সন্তান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি বলে ধরে নিতে হবে।