যারা জীবন সংগে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক উক্তি পেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা সেরকম ধরনের উক্তি প্রদান করলাম। জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে একজন ছেলেকে যেমন মেয়ে বিয়ে করতে হয় তেমনি ভাবে একজন মেয়ে কেউ একজন ছেলে বিয়ে করতে হয়। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে বলা হয় অর্ধেক দ্বীন পূরণ করা। অর্থাৎ আপনি যদি এই ইসলাম ধর্ম পরিপূর্ণভাবে পালন করতে চান তাহলে আপনার প্রত্যেকটি ইবাদতের পাশাপাশি বিয়ে করাটাও কিন্তু জরুরী।
প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন এবং ইনকামের সোর্স তৈরি হয়েছে এবং আপনি সৎ পথে ইনকাম করছেন তাহলে আর দেরি না করে বিয়ে করে ফেলবেন। কারণ বিয়ে করার মধ্য দিয়ে একটা নিয়ন্ত্রিত জীবন পাবেন যেটার মাধ্যমে আপনি বাইরে চলাফেরা এবং যে সকল পাপের পথ রয়েছে সেগুলো থেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারবেন। জীবনে যদি একজন পরহেজগার জীবনসঙ্গী অথবা সঙ্গিনী পেয়ে যান তাহলে সেই জীবন পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। তাছাড়া বিয়ে করার যে ফজিলত কত বেশি এবং বিয়ে করার যে কত রকমের সামাজিক ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে তা আপনারা হয়তো করলেই বুঝতে পারবেন।
তবে বর্তমান সময়ে বিয়ে করাকে অথবা জীবনসঙ্গিনী গ্রহণ করাকে অনেকটাই কঠিন করে দেওয়া হয়েছে। পড়ালেখার নামে পড়ালেখা শেষ করে আপনারা যখন মনের মত পাত্র বা পাত্রী পাচ্ছেন না অথবা নিজেদেরকে ক্যারিয়ারের সঠিক ব্যবস্থা যখনও করতে পারছেন না তখন মনে হচ্ছে জীবন ব্যর্থতাই পর্যবসিত হয়ে যাচ্ছে। ২৫ বছরের মতো পড়াশোনা করে আপনারা যখন নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন না তখন অন্য একটা মানুষকে এনে কিভাবে নিজের জীবনে পরিচালনা করবেন তা হয়তো অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে থাকেন।
তবে এ সকল বিষয়ে আলোচনা না করে আপনি যদি স্বাবলম্বী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ইনকামের ব্যবস্থা থাকে তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করে নিবেন। শুধু বিয়ে করে অর্ধেক দিন পূরণ করলেই হবে না বরং সৃষ্টিকর্তার যে সকল নির্দেশিত কাজ রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আমরা করবো এবং রাসূলের সুন্নাহ মেনে চলবো। আর যারা এখানে জীবনসঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক উক্তি পেতে এসেছিলেন তাদের জন্য আমরা এই ইসলামিক উক্তি প্রদান করলাম বলে সেগুলো সংগ্রহ করে নিন।
জীবন সঙ্গী নিয়ে কোরআনের আয়াত
আপনি যদি জীবনে একজন পরহেজগার এবং ইসলামিক মাইন্ডের এবং সকল দিক থেকে আল্লাহর পথে নিজের জীবনকে উজাড় করতে রাজি আছে এমন সঙ্গে পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি সূরা ফুরকানের ৭৪ নাম্বার আয়াত আমল করবেন। কারণ এই আমলের মাধ্যমে আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে এমন একজন পরহেজগার জীবনসঙ্গী চাচ্ছেন এবং নেককার সন্তান চাচ্ছেন যেটার মাধ্যমে আপনার চক্ষু শীতল হবে। বাইরের জগতের দিকে তাকিয়ে নিজের পাপ অর্জন না করে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যদি একজন হালাল জীবনসঙ্গী পায় তাহলে সেটা কিন্তু খুবই ভালো।
জীবন সঙ্গী নিয়ে হাদিস
জীবনসঙ্গী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হাদিস রয়েছে এবং আমরা যদি বিভিন্ন ধরনের প্রত্যেকটি হাদিস উল্লেখ করতে চাই তাহলে এখানে হয়তো প্রত্যেকটা তথ্য পড়তে আপনারা বিরক্ত হয়ে যাবেন। তারপরও আপনাদের জন্য কিছু হাদিস দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। বিয়ে নিয়ে যাদের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে এবং যারা ইসলামিক জীবন যাপন করেন তারা এ সকল ভ্রান্ত ধারণা বাদ দিয়ে একজন ভালো এবং পরহেজগার মেয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যদিও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট আলাদা তারপরও চেষ্টা করতে থাকলে অবশ্যই একজন নেককার জীবনসঙ্গিনী বা সঙ্গী পেয়ে যাবেন।
জীবন সঙ্গী কেমন হওয়া উচিত
আমরা যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করি তাহলে জীবনসঙ্গী হতে হবে অবশ্যই পরহেজগার, নেককার আল্লাহ ভীরু এবং আল্লাহ পাকের মুমিন বান্দা। দুনিয়ার জীবনে তার কি আছে অথবা তার সৌন্দর্য কতটুকু অথবা সে দেখতে কেমন এ সকল বিষয়ের প্রতি প্রাধান্য না দিয়ে সে আসলে আখিরাতের জীবন নিয়ে কতটুকু ভাবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে এমন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আর এভাবে যদি পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে তাদের জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে এবং তাদের পরিবার বরকতময় হয়ে উঠবে।