শিক্ষক নিয়ে ইসলামিক উক্তি

আমরা ছোট থেকে, বাবা মা এরপরে শিক্ষকদের কাছে মানুষ হয়ে থাকি। বাবা মায়ের পরে এর কারণে শিক্ষকদের স্থান দেয়া হয়েছে। শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা নিজের প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন রকমের পোস্ট করে থাকেন। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের শিক্ষককে বেশ কিছু উক্তি স্ট্যাটাস ইসলামিক ক্যাপশন সহ আরো বেশ কিছু লেখা তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনার পছন্দমত উক্তিটি কপি করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার শিক্ষককে নিয়ে পোস্ট করতে পারবেন।

আমাদের প্রথম শিক্ষক হলেন আমাদের মা,বাবা যিনি আমাদের অনেক কষ্ট করে লালন পালন করেন। একজন ভালো শিক্ষক যদি বলতে হয় তাহলে পিতা মাতাকে সব সময় শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। পিতা মাতার পরে স্থান রয়েছে স্কুল কলেজের শিক্ষকদের। আমাদের স্কুল কলেজে অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা আমাদের আইডল হিসেবে আমাদের জীবনে থাকে। শিক্ষক শিক্ষিকারা সবসময় আমাদের ভালো পথে চলার তাগিদ দিয়ে থাকে। কিভাবে আমরা সুন্দরভাবে পড়াশোনা করব, কিভাবে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। সে বিষয়ে শিক্ষকরা আমাদের সব সময় গাইড করে থাকেন।

আমরা কম বেশি সবাই জানি যে, আমাদের মা হলো এমন একজন শিক্ষক যিনি তার সন্তানের জীবনে সর্ব প্রথম শিক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এর পরেও আমাদের জীবনে স্কুল, কলেজ লাইফে অনেক শিক্ষক আসেন। যাদের আমরা আইডল হিসেবে থাকেন।

প্রিয় শিক্ষক নিয়ে উক্তি

আপনারা যারা প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন আপনার ফেসবুক একাউন্টে শেয়ার করতে চান তারা এই মুহূর্তে আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনার প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে বেশ কিছু উক্তি পেয়ে যাবেন। আশা করি এর উক্তিগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে, আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা সকল ধরনের ইসলামিক উক্তি, কবি সাহিত্যিকের উক্তি গুলো এই মুহূর্তে প্রকাশ করব। আপনি আপনার পছন্দমত উক্তি সংগ্রহ করে রেখে আপনার প্রিয় শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারেন।

শিক্ষকেরাই পারে একটি জাতিকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে। ইসলামিক ভাবেও শিক্ষকদের অনেক সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের সম্মান মর্যাদা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের অনেক সম্মান আমাদের করা উচিত।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করনে, ‘তোমরা জ্ঞান অর্জন কর এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আদব শিষ্টাচার শিখ। তাকে সম্মান কর; যার থেকে তোমরা জ্ঞান অর্জন কর।’

সুতরাং যার থেকে জ্ঞান অর্জন করা হয় তিনিই আমাদের শিক্ষক। শিক্ষকের মর্যাদায় ইসলামের বক্তব্য ও সংক্ষিপ্ত একটি নমুনা তুলে ধরা হলো-

‘একবার হজরত জায়েদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু তার সওয়ারিতে ওঠার জন্য রেকাবে পা রাখলেন। তখন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রেকাবটি শক্ত করে ধরেন।

হজরত জায়েদ ইবনে সাবিত বললেন, ‘ হে আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাচাতো ভাই! আপনি (রেকাব থেকে) হাত সরান।

উত্তরে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘ না’, আলেম ও বড়দের সঙ্গে এমন সম্মানসূচক আচরণই করতে হয়।’

জ্ঞানই মানুষের যথার্থ শক্তি ও মুক্তির পথনির্দেশ দিতে পারে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বলেছেন-‘আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে বা আমি শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি।’

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিক্ষা, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষক ও শিক্ষার ব্যাপকীকরণে সদা সচেষ্ট ছিলেন। তাইতো প্রিয়নবি বদরের যুদ্ধবন্দিদেরকে মুক্তির জন্য মদিনার শিশুদের শিক্ষা দেয়ার চুক্তি করেছিলেন। যার মাধ্যমে তিনি বন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

তবে বর্তমান সময়ে এমন একটি অবস্থা হয়ে গেছে এখন আর ছাত্ররা শিক্ষকদের সঠিকভাবে সম্মান করে না। কয়েক দিন পর, পর আমরা দেখতে পাই ছাত্রদের হাতে শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে পরিবারের, সমাজের অনেক অবহেলা। পরিবার ও সমাজ ছাত্র ও শিক্ষকদের মাঝে যে সুন্দর একটি সম্পর্ক রয়েছে এটা তারা তৈরি করে দিতে পারছে না।

অথচ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাড়া কেউই আমার আপন নয়।’

পরিশেষে বলতে চাই শিক্ষকদের সবাই সম্মান করবেন সেই সাথে শিক্ষকের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে পারি।

Leave a Comment