ভ্রমণ নিয়ে ইসলামিক উক্তি

আমাদের এই ওয়েবসাইট বড় করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। যারা ঘুরতে পছন্দ করেন বা যারা বেড়াতে পছন্দ করেন তাদের কাছে আজকে একটি বিশেষ তথ্য নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। সাধারণত যারা বেশি বেশি ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের এই ঘোরাঘুরি নেশাতে পরিণত হয়। ঘোড়া জিনিসটা খুবই ভালো জিনিস তবে এটা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা অনেক মানুষই জানেন না। আল্লাহতালা এই সুন্দর পৃথিবী কে তৈরি করেছেন এবং এই সুন্দর পৃথিবীকে আমরা যদি সঠিকভাবে না দেখি তাহলে কখনোই তার সৃষ্টির সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবনা। যার কারণে অবশ্যই আমাদের পুরো পৃথিবীতে ঘুরে দেখার অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং আমরা পারলে অবশ্যই পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখব।

এখানে আমাদের ধর্মে বেড়ানো সম্পর্কে সাধারণত কি কথা উল্লেখ করা হয়েছে বা ঘুরাঘুরি সম্পর্কে কি বাণী দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলে থাকি। পুরো পৃথিবী জুড়ে মহান আল্লাহতালার নানা কুদরত এর নিদর্শন আমরা দেখে থাকি সেই নিদর্শন সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা আমাদের কিছু বলেছেন কিনা সেটাও আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু আমরা যদি একটু চেষ্টা করি জানা তাহলেই আমরা এই বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানবো এবং আজকের এই প্রতিবেদন এই বিষয়ে অবশ্যই আপনাদের সাহায্য করবেন। সব থেকে বড় ব্যাপার হল আপনারা যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন কোরআনের কয়েকটি আয়াতে খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পৃথিবীর এই সুন্দর নিদর্শন গুলো দেখতে।

ভ্রমণ নিয়ে কোরআনের আয়াত

ভ্রমণ নিয়ে আমরা কোরআনের কিছু আয়াত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আশা করছি এই আয়াতগুলো থেকে আপনারা অবশ্যই অনুপ্রাণিত হবেন এবং ভ্রমণের প্রতি আগ্রহী হবেন। ভ্রমণের চিন্তা জগত প্রসারিত হয় এবং এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আপনি গ্রহণ করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে একটি কোরআনের আয়াত আমরা এখানে তুলে ধরলাম আশা করছি আপনারা এই আয়াত থেকে হলেও কিছু না কিছু বুঝতে পারবেন। সরাসরি কুরআনের আয়াতের অর্থ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম আশা করছি এই অর্থ বুঝতে পারার তৌফিক আমাদের সকলের আছে।

“বল, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখো, তোমাদের আগের লোকদের কি পরিণাম হয়েছিল! তাদের বেশিরভাগই ছিল মুশরিক। “-সূরা রুম আয়াত নাম্বার ৪২ ।

উপরে উল্লেখ করা আয়াতটি কোরআনের একটি আয়াত এবং এখান থেকে পরিষ্কার ভাবে কিছু বিষয় সম্পর্কে আমাদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা তার পক্ষ থেকে তার বান্দাদের অবশ্যই পৃথিবী ভ্রমণ করতে বলেছেন। কারণ হচ্ছে তিনি সেখানে বুঝিয়েছেন যে আমরা যদি পৃথিবীর ভ্রমণ করি তাহলে বিভিন্ন ধরনের নিদর্শন বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাবশেষ দেখে বুঝতে পারবা আমাদের আগের যে জাতিগুলো ছিল যারা মুশরিক যারা আল্লাহ তায়ালার কথা শুনে তাদের কি পরিণাম করেছে আল্লাহ তা’আলা।এখান থেকে আমরা আমাদের জীবনে একটি বড় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং সেটা হচ্ছে আল্লাহ তাআলার আনুগত্য না হলে অবশ্যই আমাদের শাস্তি পেতে হবে এবং সেটা পৃথিবীর জীবনে হোক পৃথিবীর পরের জীবনে হোক না কেন। অবশ্যই আমাদের যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আমরা চেষ্টা করব সে সকল জায়গাতে যেতে যে সকল জায়গাতে এই ধরনের নিদর্শন আছে।

কোরআনের আরো একটি আয়াত আছে যে আয়াতটি সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব আশা করছি এই আয়াতের অর্থ ও ফজিলত আমরা সকলেই বুঝতে পারব।”তবে কি তারা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে না, যাতে তাদের অন্তর অনুধাবন করতে পারতো এবং তাদের কান (সত্য কথা) শুনে নিত ।”-সূরা হজ্জ আয়াত নাম্বার ৪৬ ।

এখানেও আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের পৃথিবী ভ্রমণ করতে বলেছেন। কারণ পৃথিবীর ভ্রমণ করলেই এর নিদর্শন দেখে বোঝা যাবে এর সৃষ্টি করেছেন কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালা। এই জাগতিক মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সব কিছুর মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা এবং সবকিছুর সৃষ্টি করেছেন তিনি সেটা আপনি এই ধরনের নিদর্শন দেখেই আরো বেশি বিশ্বাস করতে শিখবেন।

 

 

Leave a Comment