বর্তমান সময়ে যাক যেমন সকলেই আর বাড়িতে বা নিজের কাছে টাকা রাখে না কোন ব্যাংক অথবা বীমা অথবা বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা ইনভেস্ট করে রাখে। তেমনি ভাবে দেখা যায় যে অনেক ভই ফোর কোম্পানি আমাদের বিভিন্ন ধরনের ফোলো ফোন দেখিয়ে সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। তাই আমাদের সব সময় চিন্তা করতে হবে এবং চিন্তা করেই আমাদের কষ্ট উপার্জিত টাকা গুলো রাখা উচিত বলে মনে করি। কারণ এত কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে যে কোন ভুঁইফোর কম্পানির হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হবে না। এই কারণে অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে যে কোন ব্যাংকে অথবা কোথায় টাকা রাখলে নিরাপদে টাকা রাখা যেতে পারে। একথা সত্যি যে বর্তমান সময়ে সকলেই ব্যাংকিং সিস্টেমের মধ্যে চলে এসেছে কেউ আর বাইরে নেই।
কারণ ব্যাংকিং সিস্টেমে বেশ উপকার পাওয়া যায়। বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তো আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ সব সময় টাকা-পয়সা পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায় না। ছিনতাই রাহাজানি ইত্যাদি কবলে পড়তে হয় না। আপনি বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা টাও এই অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে করে ফেলতে পারেন। তাই আপনি যদি একটি নিরাপদ জায়গায় টাকা রেখে সেই টাকা বিভিন্ন কেনাকাটা অথবা ভ্রমণ যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক নিরাপদ হয়ে থাকে। কারণ বর্তমানে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির কারণে সবকিছুই সম্ভব হয়েছে। আবার আমরা আমাদের কষ্ট পরজিতের বিভিন্ন টাকা-পয়সা সংসার খরচের পর অবশ্যই অতিরিক্ত থাকে।
আর অতিরিক্ত টাকাগুলো যদি আমরা কোন নিরাপদ ব্যাংকে অর্থাৎ যে ব্যাংকে রাখলে টাকাগুলো নিয়ে পালানোর কোন কথা চিন্তা করতে হয় না সেরকম ধরনের নিরাপদ ব্যাংকে দেখে দিতে পারলে জনগণ খুবই স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে। তাই বাংলাদেশে প্রচুর ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের এনজিও বীমা কোম্পানি এবং ব্যাংক রয়েছে। সব ক্ষেত্রে দেখা উচিত আমাদের প্রতিষ্ঠিত এনজিও এবং মূলত প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকিং সিস্টেম গুলোর সাথে আমাদের পরিচিত হতে হবে।
মোটামুটি ভাবে আপনি যে ব্যাংকে টাকা রাখলে আস্থা রাখতে পারবেন না সে ব্যাংকে কখনোই আপনার টাকাগুলো রাখা উচিত নয় বলে মনে করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুদের হার দেখিয়ে বিভিন্ন ফলাফল দেখিয়ে তারা টাকা ডিপোজিট করতে উৎসাহ দিয়ে থাকে। কিন্তু আবার এ কথাও ঠিক যে এরা যে কোন সময় পালিয়ে যেতে পারে। আবার নিজেদের ব্যাংকে দেউলিয়া ঘোষণা করে উঠে যেতে পারে।
তাই আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন আমরা যে টাকা পয়সা গচ্ছিত রাখছি সেখানে অবশ্যই যেন নিরাপদে থাকে। এ কারণে আমাদের আজকে দেখতে হবে নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা কোনটি। মোটামুটি ভাবে আপনারা অবশ্যই সরকারি ব্যাংকগুলোকে নিরাপদ আছে ধরে নিতে পারেন। কারণ সরকারি ব্যাংকগুলো যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের একটা জবাবদিহিতা রয়েছে এবং সেটি সরকার জবাবদিহিতা করে থাকবে।
তাই যদি আপনারা নিরাপদের কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথমত বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কথা চিন্তা করতে পারেন। পরবর্তীতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কথা যদি মনে করে থাকেন তাহলে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক রয়েছে। যে ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাংলাদেশের সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসছে। এ সকল ব্যাংকগুলো কোন ধরনের প্রতারণা করবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
আপনি এ ধরনের প্রতিষ্ঠাতা ব্যাংকগুলো নিরাপদ স্থান ভাবতে পারেন। তবে সবচাইতে বেশি নিরাপদ স্থান সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ কথা বারবার বলতে হয় এ কারণে যে আপনার কষ্টার্জিত টাকা কিছুতেই যেন বেহাত না হয়ে যায়। সরকারি ব্যাংকগুলো ছাড়াও যে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ব্যাংকিং সিস্টেমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সেই সকল ব্যাংকগুলো আপনি নিরাপদ ব্যাংক ভাবতে পারেন অবশ্যই। আর এই ব্যাংক গুলির নাম হলো-ব্র্যাক ব্যাংক,ব্যাংক এশিয়া, ডাচ বাংলা ব্যাংক,সিটি ব্যাংক ইত্যাদি।