ফজরের নামাজ আগে সুন্নত না ফরজ

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটিতে ফজরের নামাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ফজরের নামাজ কত রাকাত ও কি কি এবং কিভাবে ফজরের নামাজ আদায় করতে হয় এই বিষয়গুলো অনেকেই জানেনা বা অনেকে অবগত থাকে না। অনেকে দেখা যায় যে অনলাইনে ফজরের নামাজ সম্পর্কে জানতে চায় বা ফজরের নামাজ কত ওয়াক্ত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চায়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে ফজরের নামাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

আপনি কি ফজরের নামাজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা ফজরের নামাজ কয় রাকাত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে করতে চাচ্ছেন? কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না? আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারছে না? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁসেছেন এবং এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য লেখা হয়েছে। আশা করি আপনি এই বিষয়ে চমৎকার ধারণ করতে পারবেন।

আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। আর মানব জাতির উচিত ইবাদত করার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করা। বিশেষ করে মুসলমান ব্যাক্তি আল্লাহতালার ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করে। যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করে আল্লাহতালা তার উপর রহমত বর্ষণ করেন। সে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।

তার জন্য দুনিয়ার জীবনে যেমন সফলতা রয়েছে, তেমনি ভাবে পরকালীন জীবনের চির শান্তির স্থান জান্নাতের ব্যবস্থা করা রয়েছে। যে ব্যক্তির আল্লাহতালার তাকওয়া অর্জন করতে পারে এবং ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করেছে, সে ব্যক্তি ইহকালীন জীবনে চিরশান্তির স্থান লাভ করতে পারবে এবং মুক্তি লাভ করতে পারবে। তাই প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির উচিত আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জনের চেষ্টা করা এবং তার ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা।

আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম রয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্নভাবে আল্লাহতায়ালা ইবাদত করা যায়। তবে অন্যতম প্রধান ইবাদত হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র মনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করে, তাহলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির উপর অনেক বেশি খুশি হন এবং রহমত বর্ষণ করেন। তাছাড়া কুরআন তেলাওয়াত করা আল্লাহতালা সন্তুষ্ট অর্জনের অন্যতম মাধ্যম । তাছাড়া অনেক ছোট ছোট ইবাদত রয়েছে, যে ইবাদত গুলোর মাধ্যমে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুশি হয়।

যেমন সদা সত্য কথা বলতে হবে। সত্যবাদীকে আল্লাহ অনেক বেশি পছন্দ করে। আর মিথ্যাবাদীকে পছন্দ করেনা। মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার জীবনও মানুষ পছন্দ করে না। আল্লাহও পছন্দ করে না। তাই আমাদের মিথ্যা বলার অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করতে হবে এবং সর্বদা সত্য কথা বলার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। অভাবী বা দুস্থ ব্যক্তিদের কে দান, খয়রাত করতে হবে বা সাহায্য করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করতে হবে। বিপদে পড়লে তাদের সাহায্য করতে হবে ইত্যাদি। এই সকল ছোট ছোট কাজগুলো করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয় এবং আল্লাহ তাআলা অনেক বেশি খুশি হয়।

তাই আমাদের এই কাজগুলো করতে হবে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হচ্ছে অন্যতম প্রধান ইবাদত। কোন ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করলে আল্লাহ তা’আলা তার উপর খুশি হয়ে তার উপর রহমত বর্ষণ করেন। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অবশ্যই শুদ্ধভাবে পড়তে হবে। অনেকে দেখা যায় যে ফজরের নামাজ কয় রাকাত এটা জানতে চায়। আমরা জানি ফজরের নামাজ ৪ রাকাত। ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত ফরজ৷ তবে ফরজের নামাজ পড়ার নিয়ত করে প্রথমত দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে৷ তারপর দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।

Leave a Comment