জগন্নাথ দেব অর্থাৎ জগতের নাথ বা জগতের প্রভু। জগন্নাথ হলেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নাথ বা প্রভু। জগন্নাথ সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একজন দেবতা। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ সহ বর্তমানে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গাতেও এই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা বা বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ভারত নেপাল সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন আমেরিকা ফ্রান্স ইতালি বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই প্রভু জগন্নাথের বিস্তার লাভ ঘটেছে রথযাত্রার মাধ্যমে। কারণ এই রথযাত্রা অনুষ্ঠান এখন শুধু ভারতের বাংলাদেশের নয় পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
আর এই রথযাত্রা অনুষ্ঠানের বাবা রথযাত্রার মূল যে দেবতা তিনি হলেন জগন্নাথ দেব। জগন্নাথ দেব এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি জগতের প্রভু। তাই তাকে আরাধনা যদি করি তাহলে অবশ্যই তিনি পৃথিবীর মঙ্গল করবেন আমাদের মঙ্গল করবেন বলে আশা করি। জগন্নাথ দেবকে সাধারণত বিষ্ণু বা তার অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি বিশেষ রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জগন্নাথ দেব হিসেবে এবং তার বোন সুতরা এবং দাদা বলরামের সঙ্গে পূজা করা হয় এই রথযাত্রা অনুষ্ঠানে। আর এই রথযাত্রা অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে ব্যাপক প্রচার লাভ করেছে এবং প্রসার লাভ করেছে।
জগন্নাথ দেবের মূর্তি কিভাবে গড়া হয়
সাধারণত জগন্নাথ দেবের মূর্তি কিভাবে করা হয় সে কথা বলতে গেলে আমরা বলতে পারি যে, জগন্নাথ দেবের মূর্তি কাঠের সাহায্যে তৈরি করা হয়। সাধারণত ‘নিম্ব বৃক্ষ’বা নিম গাছের কাঠ দিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি করতে হয়। এই মুহূর্তের চোখ দুইটি সাধারণত বড় বড় এবং গোলাকার তৈরি করতে হয়। এবং জগন্নাথ দেবের মূর্তির হাতগুলো সাধারণত অসম্পূর্ণ থাকে। জগন্নাথ দেবের এই অসম্পূর্ণ মূর্তি নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন ধরনের কাহিনী উল্লেখ রয়েছে। জগন্নাথ দেবের অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ বলরাম এবং সুভদ্রার যে মূর্তি তৈরি হয় সেই মূর্তিতে কোন পা দেখা যায় না।
বিদ্রোহের অসম্পূর্ণ হাত এবং পায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে যে ধরনের মতবাদ এবং পবিত্র বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে তা শাস্ত্রে বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জগন্নাথ দেবের পূজা পদ্ধতি সেই পূজা পদ্ধতিও অন্যান্য দেব দেবীর পূজা পদ্ধতির চেয়ে সামান্য ভিন্নতম। জগন্নাথ দেবের যে প্রধানমন্ত্রী রয়েছে তা ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরি শহরে অবস্থিত। এছাড়াও গোটা পৃথিবীতে জগন্নাথ দেবের অসংখ্য মন্দির রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উড়িষ্যার পুরি শহরটির মন্দিরকেই বোঝানো হয়। আর এই পুরীর মন্দির কে হিন্দু সনাতন ধর্মের যে চারধাম রয়েছে সেই চার ধামের অন্যতম একটি ধাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
জগন্নাথ দেবের ছবি
আপনারা যারা এতক্ষণ জগতের নাথ বা জগতের প্রভু জগন্নাথ দেবের ছবি দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সেই জগন্নাথ দেবের ছবি দেখে নিতে পারবেন। আপনাদেরকে অবশ্যই জগন্নাথ দেবের বিভিন্ন ধরনের ছবি আমাদের এখান থেকে দেখাবো। যাবতের প্রভু জগতের নাথ অবশ্যই সকলেই একবার সেই প্রভুর দর্শন করতে চান। এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জগন্নাথ দেবের বিভিন্ন ধরনের পরিচয় তুলে ধরলাম। সারা পৃথিবীতে জগন্নাথ দেবের ভক্তের অভাব নেই। তাই সকল ভক্ত সবসময় হৃদয়ে অবশ্যই জগন্নাথ দেবের মূর্তি প্রতিপালন করে থাকেন। তাই সকলের যেহেতু হৃদয়ে জগতের প্রভু জগন্নাথ দেবের ছবি বুকের মধ্যে হৃদয়ের মধ্যে ধারণ
করে তাই অবশ্যই তাদেরকে বাস্তবে জগন্নাথ দেবের ছবি দেখানো উচিত বলেই মনে করি। তাই আপনারা এতক্ষণে জগন্নাথ দেবের ছবি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন। আর এই কারণে আপনাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়। জগন্নাথ দেবের যারা ভক্ত তাদেরকে শুধু এতক্ষণ কেন যুগের পর যুগ জীবনের পর জীবন অপেক্ষা করতে হলেও তারা প্রভুর দর্শনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করে যাবেন বলে সবাই বিশ্বাস করেন। তাহলে আপনারা এখান থেকে ছবিগুলো দর্শন করতে থাকুন এবং যে ছবি আপনার কাছে রেখে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে আপনি অবশ্যই জগন্নাথ দেবের সাথে সুফলদা এবং দাদা বলরাম এর ছবিও আপনারা দেখে নিতে পারেন বা দেখবেন বলে আশা করি।