আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য যেমন অপরিহার্য তেমনি আবার আমাদেরকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে কোন খাদ্য গুলি আহার করব ও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করব। সব সময় সুষম খাবার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা চেষ্টা করে যাব। সুষম খাবারগুলি যদি খেতে হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। মানব দেহে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে এবং এ সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোর মধ্যে অধিকত মুহূর্ত পূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে। ফাহিদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোকে আমরা চোখে দেখতে পাই এবং সেগুলো কোথাও কোন সমস্যা হলে সেটি আমরা শারিয়া তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করি চিকিৎসকের পরামর্শ বিভিন্ন ধরনের ঔষধপত্র খেয়ে থাকে।
কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি রয়েছে। এ সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি আমরা সাধারণত দেখতে পাই না। অধিকতার গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি শরীরের অভ্যন্তরে রয়েছে যাতে করে বাইরের কোন আঘাতে এগুলি খতিগ্রস্থ না হতে পারে। সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলোর মধ্যে রয়েছে কিডনি বা বৃক্কের মতো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো। খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো ভালো রাখা সম্ভব।
কারণ আমরা মানব জীবনে বিভিন্ন ধরনের বদঅভ্যাসের সাথে জড়িয়ে যাই। তাই সর্বপ্রথম আমাদের ভেতরের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলোকে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই এই বদ অভ্যাস গুলো আমাদের ছাড়তে হবে। বদ অভ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে-ধূমপান মত্ত পান সহ আরো অনেক প্রাণ বেড়ে জর্দা এ জাতীয় খাবার কোন আমরা নেশা করে থাকি।
তাই ভেতরের কিডনির মত রঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই এগুলো পরিত্যাগ করতে হবে। তারপরে যেহেতু আমাদের জীবন ধারণের জন্য খাদ্য খাওয়া আবশ্যক তাই সবসময় চিন্তা করব ভেতরের এই অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো খাবারের মাধ্যমে সতেজ রাখা, ভালো রাখা। তাহলে আমাদের কোন খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান রাখতে হবে।
আপনি যদি কিডনি কে ভালো রাখতে চান তাহলে সর্বপ্রথম মনে রাখবেন যে কিডনির জন্য যে খাবার গুলো ভালো সেই খাবার গুলো আপনাকে খেতে হবে। আপনার সাধারণত জানি যে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাহলে কিডনিতে যদি পাথর হতে না দেই তাহলে একটু বেশি পরিমাণে জল পান করতে হবে। অর্থাৎ শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল পান করতে হবে। এরপর আপনাকে টাটকা শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে।
অর্থাৎ যেগুলি গ্রহণ করলে শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না এ ধরনের শাকসবজি ফলমূল আপনি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের দেশে মৌসুমী ফলগুলো আপনি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন। বয়স ত্রিশের কোটা পেরিয়ে গেলে আপনাকে চিনির পরিমাণ বা শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ রক্তে যেন শর্করার পরিমাণ না বাড়ে সেদিকে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তাহলেও কিডনি ভালো থাকবে।
আবার আপনার যদি একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম না হয় তাহলে অবশ্যই নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যবসায়ী রা অভ্যন্তরে প্রতিটি অঙ্গ কে ভালো রাখে সচল রাখে। এছাড়াও আপনাকে আরো একটা জিনিস খেয়াল করতে হবে সেটি সব সময় কঠোর পরিশ্রমের পর শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। এতেও আপনার শরীরের অভ্যন্তরে অবস্থিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি ভালো থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এই বিষয়গুলি দেখে থাকেন নিজের শরীরের জন্য তাহলে অবশ্যই শরীরের অভ্যন্তরে যে কিডনি রয়েছে সে কিডনি অবশ্যই ভালো থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
তাহলে বুঝে নিতে পারলেন যে আপনার শরীরের অভ্যন্তরে থাকা কিডনিকে ভালো রাখার জন্য কোন কোন খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন এবং কোন খাদ্যগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হতে পারে। আপনারা এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে মনে করি।