আপনি কি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যেতে চান? পরিবারসহ অথবা বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যদি আপনি এক সপ্তাহ অথবা তার চেয়েও বেশি দিন থাকতে চান এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে নিশ্চয়ই হোটেল রুমের। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয় সব হোটেলের নাম্বার পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই ফলো করবেন। সব হোটেলের কন্টাক্ট নাম্বার পেয়ে যাবেন আপনি এখানে। আপনার বাজেটের মধ্যে সব ধরনের হোটেলের নাম্বার গুলো আমরা এখানে উল্লেখ করে রেখেছি। কোন জায়গার হোটেলের পরিবেশ কিরকম সবকিছুই আপনাদের জানাবো।
কুয়াকাটার হোটেল গুলোর কন্টাক নাম্বারের তালিকা আমরা আপনাদের দিয়ে দিচ্ছি এখানে। এখানে নাম্বারগুলোতে আপনারা ফোন করে জেনে নিতে পারবেন কোন হোটেল গুলো খালি আছে এবং আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর তারা দিয়ে দেবে।আমরা বাংলাদেশবাসী প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে যে একবার না একবার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাব। পরিবার সহ যদি কোথাও ঘুরতে যেতে চান তাহলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কে বেছে নিতে পারেন। বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
এই সমুদ্র সৈকতটি লম্বায় ১৮ কিলোমিটার এবং বিস্তৃতিতে ৩ কিলোমিটার ফ। এই সৈকতের বিশেষত্ব হলো ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কুয়াকাটার সাদা বালির সৈকতের তীর থেকে বঙ্গোপসাগরের সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখা যায়। এর আরেক নাম সাগরকন্যা।
সন্ধ্যাবেলায় সূর্যাস্তের সময় পরিবারের সঙ্গে কুয়াকাটাতে সময় কাটানো খুবই ভালো। সূর্যাস্তের সময় অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে সারাদেশের অনেক মানুষ কিন্তু কুয়াকাটা ঘুরতে যায়।
আপনি যদি কম বাজেটের মধ্যে ভালো হোটেল এর সন্ধান পেতে চান তাহলে আমরা আপনাকে সেটাও দিতে পারি।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয় কিছু হোটেলের নাম।
১ সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলা।
২ কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল এন্ড সী রিসোর্ট।
৩ হোটেল গ্রেভার ইন।
৪ স্বপ্নরাজ্য পার্ক এন্ড রিসোর্ট।
৫ হোটেল কুয়াকাটা ইন ইন্টা. লি।
৬ হোটেল খান প্যালেস।
৭ সমুদ্র বাড়ি রিসোর্ট।
৮ সাগর কণ্যা রিসোর্ট।
হোটেল গুলোতে ধনী এবং মধ্যবিত্ত মানুষ সবাই চাইলে থাকতে পারবে। কারণ হোটেল গুলোতে থাকা এবং খাওয়া খরচ মানুষের সাধ্যের মধ্যে। এরপরেও আপডেট সকল তথ্য পেতে আমাদের দেওয়া হোটেল নাম্বার গুলোতে ফোন করে আপনি সবকিছু জেনে নিতে পারবেন।
কুয়াকাটার সবচেয়ে সুন্দর আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হল সমুদ্র সৈকত। বিশেষ করে সকালে সূর্য উদয়ের সময় এবং সূর্য অস্তের সময় সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য যেন যেকোনো কারো মন ছুয়ে নিতে বাধ্য। সমুদ্র সৈকতের অপরূপ সুন্দর্য উপভোগ করতে সারাদেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর কুয়াকাটাতে ভিড় করে। হোটেল গুলোতে সিরিয়াল নাম্বার পাওয়া যায় না এজন্য অবশ্যই ভ্রমণের ১০ থেকে ১৫ দিন আগে হোটেল বুকিং এর জন্য কল করে নেবেন।
কুয়াকাটার বেলাভূমি বেশ পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।কুয়াকাটার সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এ বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।
শুধু সমুদ্র সৈকতে নয় এখানে রয়েছে দৃশ্যমান আরো অনেক জায়গা। কুয়াকাটা সত্যিই খুব একটি সুন্দর জায়গা। আপনি যদি কুয়াকাটাতে কোনদিন না আসেন তাহলে বুঝতে পারবেন না। তাই পরিবারসহ কুয়াকাটা এসে নিশ্চয়ই একবার ঘুরে যাবেন।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে।বিখ্যাত এই কুয়াকাটা শুটকি মাছের জন্য বেশ জনপ্রিয়। আশা করি আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহ অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে।