আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আমাদের অজানা একটি ফুল কুসুম ফুল সম্পর্কে অনেক তথ্য জানবো। এরকম নাম না যেন অনেক উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলো খুবই প্রয়োজনীয় এবং উপকারী উদ্ভিদ। তেমনি আরও একটি উপকারি ফুল হল কুসুম ফুল। হলুদ রঙের এই ফুলটি ভেষজ ফুল হিসেবে পরিচিত। আমরা যারা এই ফুলের ছবি দেখি নি এবং এগুলো সম্পর্কে কিছু জানে না তারা আজ কুসুম ফুলের ছবিসহ কুসুম ফুলের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে পারবো।
পৃথিবীতে নাম জানা এবং নাম না জানা অসংখ্য ফুল রয়েছে। আমরা আমাদের পৃথিবীর বৈচিত্র সম্পর্কে কিছুই জানিনা। পৃথিবীর বিভিন্ন বৈচিত্র নয় সুন্দর সৃষ্টি গুলো দেখলে আমরা অনেকে অবাক হই। আমাদের এই পৃথিবীতে রয়েছে হাজার হাজার রংবেরঙের বিভিন্ন ধরনের ফুল। আজকে আমরা সেরকমই একটা ফুল নিয়ে আলোচনা করব এবং সেই ফুলের ছবিগুলো দেখব। আজকে আমরা কুসুম ফুল সম্পর্কে জানব। কুসুম ফুলের ব্যবহার এবং এই ফুলের কিছু ঔষধি গুন সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। কুসুম ফুল কেমন দেখতে? আমরা কিন্তু অনেকেই জানিনা।
তাই প্রথমে আমরা কুসুম ফুলের ছবিগুলো দেখব। ফুল মানেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি অপরূপ সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌভাগবৃদ্ধি করতে ফুলের জুড়ি মেলা ভার। ফুল হলো এমন একটি জিনিস যার মুগ্ধতায় সবাই মুগ্ধ। ফুল যে রকমই হোক না কেন ফুল মানে সুন্দর একটি বস্তু। আজকে আমরা কুসুম ফুলের ছবি দেখব । কুসুম ফুল কেমন হয়, কুসুম ফুল আকারে ছোট হয় না বড় হয় এবং কুসুম ফুল এর রং কি রংয়ের হয় এগুলোই আজকে আমরা জানতে পারবো কুসুম ফুলের ছবি দেখার মাধ্যমে।
কুসুম ফুলের পিকচার:-
এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনা আপনিই জন্মে। তাছাড়া কুসুম ফুল নদীর তীরে, পাহাড়ের ঢালে, কৃষিজমিতে, বসতবাড়িতে এমনকি টবেও লাগানো যায়। ঐতিহ্যগতভাবে মুলতঃ বীজের জন্যই কুসুম ফুলের চাষ করা হয়। এর বীজ খাদ্যদ্রব্য রঙিন ও সুঘ্রাণযুক্ত করতে এবং ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।কুসুম ফুলের বীজ থেকে উৎপন্ন তেল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। বীজ থেকে উৎপন্ন তেল দিয়ে ওষুধ বানানো হয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য , হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক, শ্লেষ্মা পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। নিউমোনিয়া ও টিউমারে কুসুম ফুলের তেল ব্যবহার হয়। নাম না জানা পরিত্যক্ত এই ফুলটি কিন্তু বেশ উপকারী । প্রাকৃতিক বিষাদ সম্পদের মধ্যেও কিন্তু কুসুম ফুলের উদ্ভিদটি একটি।
কুসুম ফুলকে কিন্তু অনেক সময় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রং করার কাজে কুসুম ফুলের রং কিন্তু খুবই বিখ্যাত। কাপড় রং করা এবং সুতা রং করা হয় কুসুম ফুলের রং ব্যবহার করে। কুসুম ফুলের গাড়ো হলুদ এবং কারো কমলা রং। এই ফুলটি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবেও কিন্তু চাষাবাদ করা হচ্ছে।কুসুম একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । ১ – ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা- হলুদ রংএর ফুর গুলি প্রায় ১ থেকে ১১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনকে সময় এটা খাবারে ব্যবহৃত করা হয়।
ভেষজ উদ্ভিদ হিসাবে কুসুম ফুলের ব্যবহার রয়েছে। এটি একটি গুণ সম্পূর্ণ ফুল। ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং রং করার জন্য তো বিখ্যাত।এর কিছু ঔষধি গুনাবলী রয়েছে। গরম পানিতে এর নির্যাস শরীর থেকে ঘাম নির্গত করে বলে ঠান্ডাজনিত রোগশোকে ব্যবহৃত হয়। শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। এর ফুল আবার জন্ডিসের জন্য উপকারী।কুসুম গাছ দুই ধরনের।
একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোটও ঝোপালো ধরনের। মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনাআপনিই জন্মে। কাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো ও বিখ্যাত। প্রাচীন মিসরেও এর চাষ হতো।আজকে আমরা কুসুম ফুলের ছবি দেখলাম এবং কুসুম ফুলের ব্যবহার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম।