আপনারা জানেন যে, সরকারিভাবে অনেক সময় জমির জরিপ করা হয়। এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর সরকারিভাবে এই জমির জরিপ চালানো হয়। তাহলে সরকারিভাবে জরিপ করা জমি জমার বিবরণ সংবলিত সরকারি দলিলকেই বলা হয়ে থাকে ‘খতিয়ান’। আর এই খতিয়ানে থাকে মৌজার দাগ অনুসারে ভূমির মালিকের নাম, ভূমি মালিকের পিতার নাম, ঠিকানা, মালিকানার বিবরণ, জমির শ্রেণি বা জমির প্রকার বা জমির বিবরণ, থাকে মৌজা নম্বর, জমির সীমানা প্রকৃতির সকল কিছুর হিসাব।
আর জমির এই সকল কিছুর খতিয়ানের অনুলুপিকে ই বলা হয় পর্চা। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারছেন যে কি এবং বর্ষা আমাদের ব্যক্তিগত জীবন এ এর ভূমিকা কতখানি। প্রত্যেক ব্যক্তির কিছু না কিছু পরিমাণ ভূ- সম্পত্তি রয়েছে। আর এই ভুল সম্পত্তিগুলোর পরিমাণ কতখানি জমির প্রকার কি ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়াদি এই খতিয়ান বা পর্যায়ে উল্লেখ থাকে বিধায় এটি সকলের জন্যই অত্যন্ত জরুরী এবং প্রয়োজনীয় একটি কাগজ।
পর্চার মূল্য
একজন ব্যক্তির কাছে বা ভূমি মালিকের কাছে পর্চার অনেক মূল্য রয়েছে। কারণ আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে পশ্চাতে জমি জরিপের সব ধরনের হিসাব রয়ে গেছে। অর্থাৎ এই পর্যায়ের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারবো জমির মালিক কে জমির মালিকের বাবার নাম কি তার বাড়ি কোথায় অর্থাৎ ঠিকানা কোথায় জমিটি বন মৌজায় অবস্থিত এবং জমিটির মৌজার দাগ নম্বর কত সেই বিষয়গুলি সকল কিছু উল্লেখ থাকে। আর এত কিছু উল্লেখ থাকার পর সেই কাগজের মূল্য থাকবে না এটা
হতে পারে না। অবশ্যই ভুমি মালিকের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বা মূল্যবান কাগজ হিসেবে জমির পর থেকে দেখা হয়ে থাকে। তাই জমিদারের সময় অর্থাৎ সরকারিভাবে জমি জরিপের সময় যে পর্যায়ে আপনাদেরকে দিয়ে রাখবে বা দিবে সে পর্যাটার যেহেতু মূল্য রয়েছে আর এই কারণে আমাদের উচিত হবে যে সে পর্যাটা সারা জীবনের জন্য সংরক্ষণ করা। সংরক্ষণ করতে হবে এই কারণে যে, যতদিন পর্যন্ত জমিটি তার নিজস্ব রয়েছে ততদিন পর্যন্ত সেই পর্চাটাও সংরক্ষণ করাই উচিত বলে মনে করি।
পর্চার ছবি
আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে জমির পর্চা ছবি দেখতে এসেছেন তারা অবশ্যই ঠিক কাজটি করেছেন। কারণ আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের এখান থেকে অর্থাৎ আমাদের এই পোস্ট থেকে জমির পর্চার ছবি দেখাবো। জমির ফর্সা আপনাদের অবশ্যই প্রয়োজন এবং সেই পর্চা শেষ পর্যন্ত আপনাদের রেখে দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত বলতে সাধারণত জমিটির যতদিন পর্যন্ত আপনার নিজের রয়েছে ততদিন পর্যন্ত সেই জমি পর্চা আপনাকে সংরক্ষণ করা উচিত।
কারণ জমির পর্যায়ে জমির সব ধরনের হিসাব-নিকাশ লিপিবদ্ধ থাকে। জমির মালিকানা থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল বিষয়গুলি এই জমির পর্চার মধ্যে লিপিবদ্ধ থাকে। তাই জমির পর্চা বা পরর্চার সেই ছবি অর্থাৎ অনলিপি আপনাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই পথটা যদি আপনারা দেখে দিতে চান বা দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টের শেষ পর্যন্ত যাবেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের এখান থেকেই আপনারা ভট্টাচার্য ছবি দেখে নিতে পারবেন।
আপনাদেরকে আমরা ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি আপনি কিভাবে পথচা পেতে পারেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন অপশনের মধ্যে আপনাকে আপনার বিভাগ সিলেক্ট করে সেখান থেকে আপনার জেলা উপজেলা এবং মৌজা সিলেক্ট করে অবশ্যই পর্যায়ের জন্য আবেদন করতে পারেন। তখন আপনারা সেই আবেদনে আপনি পর্চা যদি পেয়ে যান ভূমি মালিকের নাম দাগ নম্বর বাবার নাম জমির দাগ নম্বর ইত্যাদি পূরণ করার পর আপনি যদি সেন্ড করেন
তাহলে অবশ্যই আপনার সামনে আপনার জমির পর্চা ছবি ভেসে উঠবে। আপনি যদি সেদিন ডাউনলোড করে নিতে চান তাহলে অবশ্যই সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে সেটা আপনি প্রিন্ট আউট করে আপনার কাছে রেখে দিতে পারেন। তবে সেটি সার্টিফাইড কপি হবে না। সার্টিফাইড কপি পেতে হলে আপনাকে সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।