ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে হয়ে থাকে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনের পুরো ঘটনা আমরা সকলেই জানি তবে এই দিনে যারা শহীদ হয়েছিল তাদেরকে নিয়ে কি করা হয়েছিল সেটাও অনেকের কাছে অজানা রয়েছে। অনেকের মতামত অনুযায়ী একুশে ফেব্রুয়ারি দিনে সেখানে পুলিশের গুলিতে 7 জন শহীদ হয়েছিলেন। আবার অনেকের ধারণা এর থেকে বেশি মানুষ সেখানে শহীদ হয়েছিলেন। এবং ২২ শে ফেব্রুয়ারিও বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আরো দুইজন শহীদ হয়েছিলেন। তবে এই শহীদদের পরিচয় তখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি তার কারণ হচ্ছে এখানে রয়েছে বড় একটি ষড়যন্ত্র।
এখানে উল্লেখযোগ্য জাতের পরিচয় পাওয়া যায় তাদের মধ্যে পাঁচ জন শহীদের পরিচয় পাওয়া যায় এবং পাঁচ জন শহীদের পরিচয় থেকে তাদের মূলত ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়। শহীদদের সঠিক পরিচয় বা শহীদদের সঠিক সংখ্যা জানতে না পারার বড় একটি কারণ হচ্ছে তাদের যতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল হত্যা করার পরে তাদের সঙ্গে আরও বেশি নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিল তাদের লাশ নিয়ে।
মৃত ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরে তাদেরকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করা উচিত কিন্তু তখনকার পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রে এই শহীদদের লাশ কেউ ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে গুম করে দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে এই লাশগুলো গুম করে দেওয়ার কারণে সঠিক পরিচয় অনেক ক্ষেত্রেই গোপন থেকে যায় অনেকের লাশ গুম হয়ে যায় যার কারণে সঠিক সংখ্যা বের করে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের কাছে যে চারজন বা ৫ জন শহীদের ছবি আছে তাদের পরিচয় খুঁজে পাওয়া গেছে।
একজনের নাম হচ্ছেন সালাম তার ছবি আমরা এখানে সংযুক্ত করেছি আপনারা চাইলে আমাদের এখান থেকে তার ছবিগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে সরাসরি তার ছবি পাওয়া যায়নি যার কারণে ছবি থেকে তার ছবি আঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে যেটা সর্বজনের স্বীকৃত।
এরপরে যার ছবি আছে তার ছবি হচ্ছে বরকত তার ছবিও হুবহু এঁকে দেওয়া হয়েছে। তিন নাম্বার যিনি তার নাম হচ্ছে রফিক এবং তাকে ভাষা শহীদের প্রথম শহীদ হিসাবে ঘোষণা করা হয় তার ছবিও এরকম হাতে আঁকিয়ে এখানে দেওয়া আছে।
একমাত্র যার ছবি সরাসরি ছবি থেকে দেওয়া হয়েছে তার নাম হচ্ছে শফিউর। সর্বশেষ যার ছবি আমরা পেয়েছি তার নাম হচ্ছে জব্বার। এই পাঁচজন ভাষা শহীদের ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে তার কারণ হচ্ছে কেবলমাত্র এদের পরিচয় সনাক্ত করা গিয়েছে।পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের কারণে মূলত তাদের আসল পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়নি যারা এখন পর্যন্ত অজানা থেকে গেছে।
ভাষা শহীদদের ছবি আঁকা
বেশিরভাগ ভাষা শহীদদের ছবি আঁকা হয়েছিল তার কারণ হচ্ছে সেই সময় তাদের লাশগুলোকে গুম করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সঠিক পরিচয় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন দেশে এমন একটি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল যেন কোনভাবে কোন কিছু নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে নানা খোঁজের মাধ্যমে এবং নানা জিনিস তদন্ত করার মাধ্যমে পাঁচজন ভাষা শহীদের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় তবে দুঃখজনক হলেও তাদের সকলের সরাসরি ছবি সংগ্রহ করতে পারা সম্ভব হয়নি।
তাদের ছবিগুলো এঁকে দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র একজনের ছবি সরাসরি পাওয়া গিয়েছিল আপনারা যদি সেই ছবিগুলো সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের এখান থেকে সেই ছবিগুলো ঝটপট ডাউনলোড করে নিতে পারেন।এই পাঁচ জন ব্যতীত আরোগ্য ভাষা শহীদ সেদিন শহীদ হয়েছিল যার কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রত্যেকটা শহীদের প্রতি সমান প্রদর্শন। একটা বড় ব্যাপার এই শহীদদের প্রতি পুরো পৃথিবী একুশে ফেব্রুয়ারিতে সম্মান প্রদর্শন করেন তার কারণ হচ্ছে ভাষার জন্য তারা করে গেছেন এটা সবথেকে বড় নিদর্শন পৃথিবীর বুকে।