বই কেনার জন্য টাকা চেয়ে পিতার কাছে কিভাবে পত্র লিখতে হয় তা কিন্তু অনেকেই জানেন অথবা অনেকেই না জেনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন। পাঠ্য বইয়ে এই বিষয়ে পত্রের কথা উল্লেখ থেকে থাকলেও অনেক সময় আপনারা খুঁজে পান না বলে আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা এটা লেখার নিয়ম এবং ডেমো দেখিয়ে দিলাম। বই কেনার জন্য টাকা চেয়ে পিতার কাছে পত্র লেখার জন্য কোন ধরনের নিয়ম মানতে হবে অথবা কোন ধরনের নম্র ভাষায় পিতার সঙ্গে এই মতবিনিময় করতে হবে তা আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে জানিয়ে দিতে চলেছি।
যদিও বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের যুগ অথবা মোবাইল ফোনে কল করার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে দৈনন্দিন জীবনের লেখাপড়ার খরচ গুলো চালানো যাই তারপরেও আমাদের কিন্তু এখনো এই চিঠিপত্র লেখার নিয়ম শেখানো হয়। সুতরাং আপনি যদি বই কিনতে চান অথবা বই কেনার জন্য টাকা চেয়ে পিতার কাছে যখন একটা চিঠি লিখতে হবে তখন কোন পদ্ধতিতে লিখতে হবে তা জানতে চান তখন অবশ্যই এটা আপনাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী জানিয়ে দেবো।
আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে এটা জানতে পারবেন যেকোন একটা চিঠি লিখতে হলে প্রধানমতা ঠিকানা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হয় সেগুলো উল্লেখ করবেন। এরপরে পিতার সঙ্গে যেহেতু আপনারা কথোপকথন চালাবেন অথবা পিতাকে আপনার বই কেনার টাকার প্রয়োজন বলে জানাবেন তখন অবশ্যই পিতার সঙ্গে ভালোমতো কুশলাদি বিনিময় করে নিবেন। বাড়ির খোঁজ-খবর নেওয়ার পরে আপনি যে পড়ালেখা করার জন্য বাইরে আছেন তাতে করে পড়ালেখার কি অবস্থা সেটা অবশ্যই পিতা মাতাকে জানাতে হবে।
এ বিষয়ে আপনি উল্লেখ করবেন যে বিগত পরীক্ষাগুলোতে কোন সাবজেক্টে কত নাম্বার পেয়েছেন এবং আপনার এই পড়াশোনার বর্তমান অবস্থা কেমন ও কিরূপ চলছে। এভাবে প্রত্যেকটি বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে আসন্ন পরীক্ষার জন্য অথবা আসন্ন কোন ক্লাসের জন্য যখন বই কিনতে চাইবেন তখন আপনার টাকার প্রয়োজন এবং এ বিষয়টি উল্লেখ করবেন। সে ক্ষেত্রে কোন সাবজেক্টের কি বই কেনা লাগবে এবং আনুমানিক কত টাকা লাগতে পারে সে বিষয়গুলো উল্লেখ করাটা জরুরী।
বই কেনা ডিটেলস প্রদান করার পাশাপাশি আপনারা যদি মনে করে থাকেন পিতাকে আরো কিছু জানাবেন তাহলে জানাতে পারেন। কারণ এটা একটি ব্যক্তিগত চিঠি এবং এক্ষেত্রে আপনি নিয়ম মেনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারেন। এ সকল বিষয় উল্লেখ করে আপনার বই কেনার জন্য কত হাজার টাকা প্রয়োজন সেটা উল্লেখ করতে পারলে আশা করি আপনার পিতা বিষয়টা বুঝবেন এবং টাকা সংগ্রহ করে সেটা আপনাদেরকে নির্দিষ্ট মাধ্যম ব্যবহার করে পৌঁছে দেবেন।
বই কেনার জন্য টাকা চেয়ে বাবার কাছে চিঠি
তাছাড়া খান কিভাবে আঁকাতে হবে অথবা খামের ওপরে কিভাবে আপনারা প্রেরকের ঠিকানা ও প্রাপকের ঠিকানা প্রদান করবেন তা আশা করি জানেন। ঠিকানা প্রদান করার ক্ষেত্রে যেন সেটা আপনাদের হাতে ঠিকঠাক মতো পৌঁছায় সে বিষয়টা মাথায় রেখে প্রত্যেকটি স্থানের নাম সঠিকভাবে তুলে দিতে হবে। যদিও বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরে লেখাপড়া করা সন্তানগুলো পিতার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা পয়সা জোগাড় করতে পারছেন এবং টাকাগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে সে অনুযায়ী বই কিনতে পারছেন তারপরও এ সকল চিঠিপত্র লেখার বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বই কেনার টাকা চেয়ে চিঠি লেখার নিয়ম
প্রতিদিনের এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল বলে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করা মানুষজন যোগাযোগ করতে পারত। সঠিক নিয়মে আপনারা যখন এ বিষয়গুলো জানতে পারছেন অথবা চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পারছেন তখন সেটা আপনাদের জন্য ভালো হচ্ছে। বই কেনার টাকা চেয়ে চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা যদি আরো কিছু জানতে চান অথবা এ বিষয়ে আপনাদের যদি কোন ধরনের কনফিউশন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন লিখে জানাতে পারেন। এভাবে আপনারা বই কিনতে পারেন অথবা বই কেনার জন্য যে ডেমো দেওয়া হয়েছে সেই ডেমো দেখে পিতার কাছে টাকা চেয়ে পত্র লিখতে পারেন।