প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আপনারা যারা মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য এর যোগ্যতা এবং খরচ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা আজকের এই পোস্ট থেকে এটি সম্পর্কে জেনে নিন। মাস্টার্সে ভর্তি হতে হলে কত টাকা খরচ লাগে এবং এক কলেজ থেকে আরেক কলেজে ভর্তি হতে গেলে কি ধরনের যোগ্যতা লাগে তা অনেকেরই অজানা বিষয়। আর সেই উদ্দেশ্যে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে মাস্টার্স ভর্তি যোগ্যতা ২০২৪ সম্পর্কে আলোচনা করব যাতে আপনারা এই জিনিস বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। তাই আপনাদের জন্য নিচের দিকে মাস্টার্স ভর্তির যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া আলোচনা করার পাশাপাশি মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে মোট কত টাকা খরচ হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা এই পোস্টের মাধ্যমে অর্জন করুন।
অনার্স শেষ করার পর অথবা ডিগ্রী পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করার পর অনেক শিক্ষার্থী মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ থেকে শুরু করে বিবাহের মতো বিষয়গুলোতে জড়িয়ে পড়ার কারণে অনার্সে যত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় মাস্টার্সে অত শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনা। তবে আপনি যখন এই পড়াশোনার বিষয়ে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন অথবা মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করে কোন কর্ম ক্ষেত্রে প্রকাশ করবেন তখন সেটা আপনার জন্য অনেক সুবিধা জনক হবে।
তাই মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি যে কলেজ থেকে অনার্স প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন সেই কলেজেই আপনাকে মাস্টার্সের ভর্তির সুযোগ প্রদান করা হবে। অর্থাৎ আপনি যে কলেজগুলো থেকে ভর্তি হয়ে অনার্স সম্পূর্ণ করার পর সেই কলেজেই যদি আবার মাস্টার্স ভর্তি হতে চান তাহলে আপনার অনার্সের রেজাল্ট যেমনই হয়ে থাকুক না কেন আপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তবে যারা বাইরের কলেজ থেকে আপনার কলেজে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য আসবে তাদেরকে সিজিপিএ এর ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রার্থীদের চাইতে ভালো থাকতে হবে। অর্থাৎ যার সিজিপিএ ভালো সে মাস্টার্সে ভর্তির জন্য আবেদন করে চান্স পাবে এবং ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে মাস্টার্স ভর্তির জন্য আপনি কোন একটি কলেজে আবেদন করেছেন এবং সেখানে চান্স পাননি এমন উদাহরণ খুবই কম। কারণ মাস্টার্সের আসন সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে দেয়া হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে অথবা যারা আবেদন করে তারা প্রত্যেকেই ভর্তির জন্য মনোনীত হয়ে থাকে।
তাই মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে আপনি যদি নিজ কলেজেই মাস্টার্স করতে চান তাহলে আপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভর্তি করানো হবে। আর যদি এক কলেজ থেকে অনার্স করে আর এক কলেজে মাস্টার্স করতে চান তাহলে আপনাদের অন্যান্য আবেদন করার চাইতে ভালো সিজিপিএ থাকতে হবে। ভালো সিজিপি এর ভিত্তিতে আপনি আপনার চান্স নিশ্চিত করবেন। এক্ষেত্রে কোন ডিপার্টমেন্টের ভর্তির জন্য কত সিজিপিএ লাগবে তা বিগত বছরের পরীক্ষার ফলাফল দেখে আপনারা একটু এনালাইসিস করলেই বুঝতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা যদি বাইরের কলেজ থেকে আবেদন করেন তাহলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করার পাশাপাশি সেই কলেজের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করলেই খুব সহজেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
মাস্টার্স নিয়মিত ও অনিয়মিত ভর্তির খরচ
অনার্স প্রোগ্রাম চার বছরের হওয়ার কারণে চার বছরে ফরম ফিলাপ এবং বইপত্র থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক যে সকল খরচ রয়েছে সেগুলোতে অনেক খরচ হয়ে যাই। তাই মাস্টার্স এক বছরের একটি প্রোগ্রাম হওয়ার কারণে কত টাকা খরচ হতে পারে তা যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্ট অনুসরণ করবেন। আপনি যদি ডিগ্রী পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রিলিমিনারি মাস্টার্সে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং মাস্টার্স শেষ পর্বের ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে মূলত মাস্টার্স শেষ পর্বের বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাই আপনি যখন মাস্টার্স শেষ পর্বে ভর্তি হতে চাইবেন তখন সেখানে এক বছরের কোর্সে পরীক্ষা সহকারে মোটামুটি 15 মাসের মত সময় লাগবে।
এক্ষেত্রে আপনার আনুষঙ্গিক যে সকল খরচ অর্থাৎ থাকা খাওয়ার খরচ যা লাগবে সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আপনাদের ভেতরে যে সকল শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক খরচ সম্পর্কে জানতে চাইছেন তারা এখান থেকে জেনে নিন। ভর্তির আবেদন ফরম এর খরচ থেকে শুরু করে যাতায়াতের খরচ সেগুলো আপনাদের আলাদা বিষয়। প্রথমত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাস্টার্স প্রোগ্রাম এ নিয়মিত এবং অনিয়মিতদের জন্য ভর্তির আবেদন করার উদ্দেশ্যে মাত্র ৩০০ টাকা চার্জ গ্রহণ করে। তবে কিছু কিছু কলেজ রয়েছে যারা তাদের প্রদান করার উদ্দেশ্যে এবং অন্যান্য খরচের বিষয়ে আলাদা কিছু এক্সট্রা চার্জ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে হয়তো কলেজের নিজস্ব ব্যাংক শাখায় অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্টে ৪০০ টাকার মতো আপনাদেরকে প্রদান করা লাগতে পারে।
সেই সাথে অনলাইনে আপনি যখন আবেদন করবেন এবং কাগজপত্র আপলোড করবেন তখন সেটা অনলাইন চার্জ বাবদ ১০০ টাকা অথবা ১৫০ টাকা খরচ করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন করার পর আপনি যখন চান্স পেয়ে গেলেন তখন আপনাকে সেই কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য বিভাগ অনুযায়ী যে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হবে সেটি প্রদান করতে হবে। মূলত মাস্টার্সের এক বছর প্রোগ্রামে আপনাকে ভর্তির জন্য সর্বসাকুল্যে করলে ৫০০০ টাকা থেকে প্র্যাকটিক্যাল এর বিষয়গুলোতে ৬৫০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তি ফি প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও অনলাইন চার্জ এবং যাতায়াতের যে সকল খরচ রয়েছে সেগুলো আলাদা হিসাব করতে হবে। তাই আপনি মাস্টার্স এর প্রাইভেট কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকুন অথবা নিয়মিত করছে ভর্তি হয়ে থাকুন না কেন আপনাকে উপরে উক্ত টাকাগুলো খরচ করতে হবে। প্রাইভেট প্রোগ্রাম এ খরচ বেশি হবে এটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে। কেউ যদি ঘরে বসে মাস্টার্সের ভর্তির আবেদন করতে চান অথবা ভর্তি নিশ্চিত করতে চান তাহলে অবশ্যই http://app1.nu.edu.bd/ এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার প্রক্রিয়া আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাস্টার্স ভর্তি প্রোগ্রামে কেউ যদি যোগ্যতা এবং খরচ বিষয়ে আলাদা কোন প্রশ্ন করতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করে যেতে পারেন। আপনাদের প্রশ্ন অনুযায়ী আমরা কিছুক্ষণের ভেতরেই তার উত্তর প্রদান করার চেষ্টা করব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল
অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে 2020 সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল আজ দুপুর 12 টার দিকে প্রকাশিত হয়েছে। আপনি যদি এখন পর্যন্ত আপনার 2020 সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল দেখে নিতে না পারেন তাহলে ফলাফল দেখে নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এই পোষ্টের মাধ্যমে। কারণ আমরা আপনাদের কথা ভেবে এই পোস্ট লিখেছি যাতে আপনারা এখান থেকে ওয়েবসাইটের লিংক সংগ্রহ করার পাশাপাশি কিভাবে এসএমএস এর মাধ্যমে ফলাফল দেখবেন তা জানিয়ে দেবো।
কারণ 2020 সালের অনার্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে যেমন তৈরি হয়েছে তেমনি ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশিত হওয়ার কারণে আপনারা এখন গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে পারছেন এবং যারা কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন তারা এই কাজটি করতে পারবেন। আর যারা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করতে চান তারা পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সার্কুলার এর জন্য অপেক্ষা করুন।
2020 সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা 2021 সালের শেষে শুরু হলেও এই পরীক্ষা 2022 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের 6 তারিখে শেষ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা তাদের রুটিন অনুসারে এই পরীক্ষাগুলো সকাল 9 টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করে এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর্যন্ত তারা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।অবশেষে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজকে এবং এই ফলাফল দেখে নেওয়ার জন্য অনেক শিক্ষার্থীর ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরেও ফলাফল দেখতে পারেনি।
তাই আপনারা যারা ওয়েবসাইট চেক করে ফলাফল এখন পর্যন্ত দেখতে পারেননি তারা জলে রাতের বেলা এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল দেখতে পারেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদেরকে বলবো যে অধিক পরিমাণ চিন্তিত নয় ফলাফল দেখে নেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে তা বারবার চেষ্টা করুন। আপনার যখন ফলাফল দেখবেন তখন ওয়েবসাইটের লিংক জানতে হবে এবং এই ওয়েবসাইটের লিংক হলো https://www.nu.ac.bd/results/ ।
এই ফলাফল দেখতে হলে আপনাদেরকে প্রথমে যা করতে হবে তাহলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং এখানে আপনার পরীক্ষার নাম নির্বাচন করার পাশাপাশি কোন বর্ষের ফলাফল দেখতে চান তা দেখে নিতে পারবেন। তাই ফলাফল দেখে নেওয়ার জন্য আপনার রোল নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার যথাযথভাবে স্থানে বসিয়ে আপনার কত সালের পরীক্ষা দিয়েছেন সেটি উল্লেখ করুন এবং এক্ষেত্রে অবশ্য 2020 সাল নির্বাচন করবেনা অথবা ফাঁকা স্থানে বসিয়ে দিবেন।
তারপরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনাদের সামনে ফলাফল চলে আসবে এবং এভাবে আপনারা নিজেদের ফলাফল দেখে নিন। তাছাড়া আপনারা এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল দেখতে চাইলে মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী নাম এর সংক্ষিপ্ত রূপ অর্থাৎ এন ইউ লিখে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফলাফল দেখবেন বলে h4 লিখুন। তারপরে আপনার পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বসিয়ে 16222 নম্বরে এসএমএস সেন্ড করুন এবং কিছুক্ষণের ভেতরে আপনাদের ফোনে যে এসএমএস আসবে সেটি হলো আপনার পরীক্ষার ফলাফল।
এই ফলাফল নিয়ে অধিক পরিমাণ চিন্তিত না হয় আপনারা ফলাফল দেখে নিন এবং প্রত্যেক বছরের তুলনায় 2020 সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শতকরা 77% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া সারাদেশের 733 টি কলেজের প্রায় 2 লক্ষ 94 হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে 2020 সালের চতুর্থ বর্ষে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।