আপনারা যদি বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারেন তাহলে ঘরোয়া উপায়ে আপনি কিছু কাজ করতে পারেন যেগুলো করলে আপনি ঘরে বসে আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারবেন। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নারকেল তেল হতে পারে একটি উপকারী খাবার। বাচ্চাকে আপনারা যে খাবার খাবেন সেই খাবারটি অবশ্যই নারকেল তেল দিয়ে রান্না করতে পারেন। নারকেল তেল দিয়ে তার পেট মেসেজ করে দিতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে নারকেল তেলে আছে এম সি এফ এ এসিড যা কষ্টের কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
শিশুদের জন্য সব সময় নারকেল তেলের মালিশ অনেক উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারে কিছু নারিকেল তেল গরম করে আপনার হাত ও তালের ওপরে নিয়ে আপনি বাচ্চার পেটের উপরে তা মালিশ করতে পারেন আস্তে আস্তে মালিশ করতে হবে। আস্তে আস্তে মালিশ করলে দেখবেন আপনার শিশুর কষ্টি কাঠিন্য কমতে শুরু করেছে।
বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অবশ্যই বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। সে যদি সাইকেল চালাতে পারে তাকে সাইকেল চালানোর ব্যায়াম করতে হবে তাকে খেলাধুলা করার সুযোগ করে দিতে হবে সে যেন দৌড়াদৌড়ি করে খেলতে পারে। দৌড়াদৌড়ি করে খেলার মাধ্যমে তার শরীরের মাংসপেশী সহ সকল ধরনের পাকস্থলী সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে এবং শরীরে জমে থাকা বর্জ্য খুব তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাবে।
যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কেন আপনার বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে। আপনি যদি এই বিষয়গুলো জেনে থাকেন তাহলে আপনার বাচ্চার এই কঠিন অসুখটি হবে না। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হচ্ছে সেসব কাজগুলো থেকে অবশ্যই আপনাকে দূরে থাকতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ হলো বাচ্চাদের ঘরে আটকে রাখা ভুল জীবন যাপনের কারণে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। শিশুদের সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলাধুলা ও হাঁটাচলা সুযোগ করে দিতে হবে।আমরা শিশুদের দেখি তারা বিভিন্ন সময় টিভি মোবাইল কম্পিউটার দেখে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে এ সময়টা তাদের অবশ্যই খেলাধুলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।
বাচ্চারা খুব কম পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল ও পানি কম খাওয়ার কারণে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয়ে থাকে। তাই বাচ্চাদের অবশ্যই বেশি পরিমাণে শাক-সবজি ফলমূল খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তারা যেন ফাস্টফুড চিফ জাতীয় খাবার কম খায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।বাচ্চাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে তারা যেন তাদের পায়খানা আটকে না রাখে। পায়খানা আটকে রাখার কারণে তাদের শরীরে এই মল জমতে থাকে।যারা কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্ত সেসব বাচ্চাদের খোঁজ নিলে জানা যাবে তারা গরুর দুধ বেশি খায় গরুর দুধ বেশি খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে তাই। গরুর দুধ অল্প করে খাওয়াটাই ভালো।
শুদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে করণীয়
১. বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় আর জাতীয় খাবার রাখতে হবে। আজ জাতীয় খাবার বাচ্চাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়ায়। আপনারা বাচ্চাদের সবুজ শাকসবজি মিষ্টি আলুর স্বাদ কলমি শাক এ ধরনের খাবার গুলো দিতে পারেন এসব খাবারের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
২. বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে,বেশি পানি খেলে মাল পরিষ্কার হয় এবং শরীর নতুন ভাবে খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে খুব সহজেই।
৩.শিশুকে সবসময়ই এই মলত্যাগ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বকাঝকা করে কখনোই মন ঠিক করাবেন না।
৪.এই বাথরুম করতে পছন্দ করবে তাকে সেই জায়গায় বাথরুম করাতে হবে।
৫.যে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তাদের খাবার এবং মাংস জাতীয় খাবার কম খাওয়াতে হবে।
৬.অনেক বাচ্চায় আছে যাদের দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, তবে দুধ বাচ্চাদের অনেক প্রিয় তাই এটা আস্তে আস্তে কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
৭.সাধারণ জ্বর সর্দির কাশি হলে সব সময় বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে।