মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খতনা করা বা মুসলমানি করা। একজন ছেলে সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে তার কয়েক বছরের মধ্যেই এটা করিয়ে নেওয়া উচিত। এটা কেন করতে বলা হয়েছে বা এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আজকে না করলেও আমরা আজকে কিছু এমন আলোচনা করব যেটা অবশ্যই আপনাদের উপকারে আসবে। খতনা করার পরে সাধারণত কোন কোন ঔষধের ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা খতনা করার পরে খুব দ্রুত স্থানটা শুকানোর জন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে সেই বিষয়ে আমরা জানানোর চেষ্টা করব।
তবে সবার প্রথমে একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই সেটা হচ্ছে বাচ্চাদের যখন এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় বা এই কাজটি করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাদের মানসিকভাবে তৈরি করে নিয়ে যাওয়া উচিত সবথেকে আগে। সাধারণত এই বিষয়টা সকলেই ভয় পায় তারপরও আপনি যদি তাকে একটু হলেও সাহস দিতে পারেন এবং বোঝাতে পারেন যে এটাতে কোন ধরনের ভয় নেই তাহলে সে খুব সুন্দর বুঝতে পারবে এবং খুব ভালোভাবে সম্পূর্ণ কাজটি শেষ হবে। কিন্তু যারা একেবারে ভয় পেয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম কিছু হতে পারে যার কারণে অবশ্যই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
মুসলমানি করার পর কি করলে তাড়াতাড়ি শুকাবে
এই ক্ষেত্রে সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে ইনফেকশন প্রতিরোধ করা। মুসলমানি দেওয়ার পর সাধারণত বাচ্চাকে হাসপাতালে খুব একটা রাখা হয় না কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে বাড়িতে প্রেরণ করা হয় আর ইনফেকশন হওয়ার ভয় সেখান থেকেই শুরু হয়। আপনি যতই বলুন না কেন হাসপাতালের পরিবেশ এবং বাড়ির পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা এবং বাড়ির পরিবেশে বাচ্চার ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই সব সময় বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিছানায় রাখতে হবে এবং তার পোশাক অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
এটা নিয়ন্ত্রণ করার পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি ঔষধ খাওয়া যায় তাহলে ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে যেটা খুবই অল্প রোগীদের ক্ষেত্রে শুকাতে একটু দেরি হয় এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বিকল্প কোন ঔষধ অবশ্যই আছে।
কত বছর বয়সে মুসলমানি করা ভালো
মুসলমানি করার বয়স সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কোন নির্দেশনা নেই তবে একটা বাচ্চা যখন একটু বুঝতে শেখে এবং শারীরিকভাবে সে যদি তৈরি থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে মুসলমানি করিয়ে দেওয়া উচিত। অনেক বাবা মা আছেন সন্তানের কষ্ট হবে বলে সন্তানের মুসলমানি দিতে অনেক দেরি করেন এবং এই করতে করতে আস্তে আস্তে তার বয়স অনেক বেশি হয়ে যায় আর তখন মুসলমানের দিতে গেলে তার কষ্ট সব থেকে বেশি হয়। এক্ষেত্রে বাচ্চার বয়স তিন থেকে চার বছর অথবা পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে মুসলমানই দেওয়াটা সবথেকে ভালো।
মুসলমানের পর কোন কোন ঔষধ খেতে হয়
অবশ্যই আপনি যেখানে মুসলমানী দেবেন সেখান থেকে আপনাকে সুন্দর একটি প্রেসক্রিপশন তৈরি করে দেয়া হবে, প্রেসক্রিপশনে ওষুধ গুলোর কথা উল্লেখ করা আছে। তাই আমরা আলাদাভাবে এখানে আপনাদের কিছু জানাতে না তবে অবশ্যই সেখানে এন্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার করা হয়েছে এবং এখানে শুধুমাত্রযে একটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে এমন না এখানে দুই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার কথা রয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি অবশ্যই বাচ্চাদের ব্যথা কমানোর জন্য প্রথম তিন থেকে সাত দিনের জন্য সেখানে ব্যথার ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এই সময়ে বাচ্চাদের খাওয়ার প্রতি মনোযোগ খুব কম থাকে তাই এখানে বাচ্চাদের জন্য সিভিট জাতীয় ঔষধ দেওয়া যেতে পারে। এই ওষুধগুলো অবশ্যই প্রেসক্রিপশনে থাকতে হবে যদি না থাকে তাহলে আপনি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন এবং তার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।