বিষ ফোড়ার ঔষধ

আমাদের শরীরে যখন বিভিন্ন রোগ জীবাণু আক্রমণ করে তখন আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। অসুস্থ হলে আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। তাহলে আমরা সেই সকল সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাবো। আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতার মধ্যে একটি কমন বা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে বিষ ফোঁড়া। অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিষ ফোঁড়া হতে পারে বা বিভিন্ন ফোড়া হতে পারে। এই ফোঁড়া বা বিষফোঁড়া গুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য অথবা যদি বিষ করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা কিভাবে ভালো হবে এই বিষয়গুলো জানার জন্য অনেকেই দেখা যায় যে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে চায় বা খোঁজ করে।

এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে বিষ ফোঁড়া হলে কি করবেন বা আসলে বিষ ফোড়া হলে আমাদের করণীয় কি, বিষ ফোড়ার কি ধরনের ঔষধ রয়েছে, বিষ ফোড়া হলে কি ঔষধ সেবন করলে ঠিক হয়, কোন ঔষধ খেলে তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আশা করি এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি জানতে পারবেন এবং নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে বিষ ফোড়া। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিষ ফোড়া দেখা দিতে পারে বা বিষ ফোড়া হতে পারে। যদি আমাদের শরীরে বিষ ফোড়া হয়ে থাকে তাহলে সেই স্থানটি অন্যান্য স্বাভাবিক স্থানের চেয়ে আলাদা রকম দেখা যায়। অর্থাৎ বিষ ফোড়া যেখানে হয় সেখানে বিভিন্ন ধরনের জ্বালা বা যন্ত্রণা হতে পারে। নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিষ ফোড়া হলে বিষ ফোড়ার মধ্যে রক্ত বা পুঁজ জমা হওয়ার পর সেখান থেকে খুব যন্ত্রণা পরিলক্ষিত হতে পারে। শরীরের যেকোনো জায়গায় বিষ ফোড়া হতে পারে।

যেমন হাতে, পায়ে, মুখে, গালে ইত্যাদি জায়গায় যেখানেই বিষ ফোড়া হোক না কেন, তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিষ ফোড়া আসলে অত্যন্ত অসহ্য জনক একটি ব্যাপার বা অসহ্যকর যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এজন্য অবশ্যই বিষ ফোড়া যদি হয় বা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো ঔষধ সেবন করা উচিত। আবার অনেকেই দেখা যায় যে বিষ ফোড়া হলে সেই বিষ ফোঁড়া গুলো গেলে দেয় বা সেগুলো থেকে রক্ত পুঁজ বের করে দেয়।

আসলে বিষ ফোঁড়া হলে না গেলে ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া উচিত এবং এখান থেকে অনেক সময় দেখা যায় যে গালে যদি এ ধরনের বিষ ফোড়া হয় বা মুখমন্ডলে যদি এ ধরনের বিষ ফোড়া হয় সেগুলো গেলে দিলে সেখান থেকে দাগ হয়ে যেতে পারে বা আরো বেশি হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো তো সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মুখমন্ডলে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যদি ঘা হয়ে যায় বা সেখান থেকে যদি দাগ হয়ে যায়, তাহলে তা দেখতে কখনো ভালো লাগবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে যেকোনো বিষ ফোড়া হাত দিয়ে গেলে দেওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ঔষধ সেবন করলে এবং চললে সেই ধরনের বিষ ফোড়ার হাত থেকে বাঁচা যায় বা মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর কারণে এ ধরনের বিষফোঁড়া হতে পারে। তাই জীবাণু মুক্ত থাকতে হবে। বিভিন্ন জীবণু থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। তবে যদি একটি বিষ ফোড়া থেকে প্রচন্ড রকমের যন্ত্রণা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে বিষ ফোড়া খুব বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয় না। আবার খুব তাড়াতাড়ি সেখান থেকে ঠিক হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পরামর্শ না দিলেও চলবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কিছুদিন পর এমনিতেই সেই বিষফোড়া গুলো ভালো হয়ে যেতে পারে। আর বিষ ফোড়া থেকে যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তাহলে ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। যেমন ইটোরিক্স ঔষধটি ব্যথা কমার জন্য খাওয়া যেতে পারে।

Leave a Comment