দুর্বলতার ঔষধ

আপনি কি সব সময় দুর্বল বোধ করেন? বসে থেকে ওঠার সময় কি আপনার মাথা ঘুরে ওঠে? চোখের দৃষ্টি আপনার অন্ধকার হয়ে যায়? খুব সামান্য কাজ করলেই কি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন? আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু আপনার শরীর একজন বৃদ্ধদের মত দুর্বল? শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ সুস্থ সবল তারপরেও কি দুর্বল অনুভব হচ্ছে? দুর্বলতার জন্য কি কোন ঔষধ রয়েছে? শরীর দুর্বল হলে কোন ঔষধটি খাওয়া দরকার? শরীর দুর্বলতার ঔষধ?
এ সকল ধরনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনাদের ফলো করতে হবে।স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো সুস্থসম্মত টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ফলো করবেন।

কথা বলে বাঙালিরা বেশি বিবেচনা না করেই একটা কাজ করে বসে। বাঙালিরা একদম হেলথ কনশেস না। শারীরিক কোন সমস্যা হলে এরা সবার প্রথম ঔষধ খোজে। কিন্তু ঔষধ খাওয়া তৎক্ষণিক আরাম দিলেও ভবিষ্যতে যে সেটা ভয়াবহ!হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ঔষধ খেলে আমাদের তৎক্ষণাৎ আরাম বোধ হয় কিন্তু ভবিষ্যতে এই ঔষধের সাইড ইফেক্ট ডেকে আনতে পারেন মারাত্মক ধরনের ব্যাধি। ক্যান্সার এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই বাসা বাঁধতে পারে ঔষধের সাইডএফেক্ট থেকে। তাই ঔষধ নয় প্রাকৃতিক ভাবে কিভাবে সুস্থ থাকতে পারেন সেটা জেনে নেওয়াটা খুবই আবশ্যক। ঔষধ কি রাসায়নিক পদার্থ থেকে তৈরি হয় সেটা কি আপনারা জানেন?

এ রাসায়নিক পদার্থই বাকি দিয়ে তৈরি?আগেকার যুগের মানুষ বিভিন্ন গাছ-গাছড়া থেকে ঔষধ তৈরি করে খেত। কিন্তু এখন আর সেই পদ্ধতি খুব বেশি কার্যকর হতে দেখা যায় না। তাই আমরা যদি ঘরোয়া ভাবে আমাদের ঔষধ তৈরি করে নিতে পারি অর্থাৎ আমরা যদি ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারি তাহলে কেমন হয়?

হ্যাঁ, আমরা যদি ঘরোয়া ভাবে আমাদের শরীরের দুর্বলতা এবং যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে পারি তাহলে সেটা খুবই বেশি ভালো আমাদের শরীরের জন্য। ভাই আপনার শরীর যদি দুর্বল বোধ করেন, তাহলে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন সেটাই জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে।

আমরা জেনে নেব কোন ভিটামিন গুলোর অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে:

ভিটামিন ডির অভাবে হাড় দুর্বল হয় এবং আস্তে আস্তে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়। শিশুদের জন্য উপকার: শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের হাড়ের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের হাড়ে বিকৃতি বা রিকেট রোগ হতে পারে।

পুষ্টিকর খাবার: শরীরে পুষ্টি গুণের অভাব থাকলে সামান্য পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পুষ্টিকর ও শক্তি সঞ্চয়কারী খাবার যেমন ডিম, কলা, দুধ, ফল, বাদাম, মাছ, মাংস, শাক-সবজি খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা মিটবে, শক্তি মিলবে এবং দিনভর ক্লান্তিভাব দূর হবে।

সবজির মাঝে কচুশাক, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়া, আলু, গাজর এগুলো শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে । শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে ডাবের পানি ও বিভিন্ন ধরনের ফলের রস খেতে হবে। এ ছাড়া নরম সেদ্ধ জাউ ভাত, খিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের সবজি স্যুপ খেতে দিতে হবে রোগীকে।

শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন-সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সির অভাব পূরণে বেশি করে টকজাতীয় ফল যেমন— লেবু, কমলা, আঙুর খেতে হবে। এ ছাড়া কিউই, পালংশাক, লেটুসপাতা ও মরিচ বেশি খেতে পারেন। এগুলোও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার।

প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের দুর্বলতা কাটাতে অনেক কার্যকর। ডিম হচ্ছে— প্রোটিইনের একটি ভালো উৎস। এটি খেলে তা দেহের কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ,তা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ডাল ও মটরজাতীয় খাবারেও প্রোটিন থাকে। আমাদের শরীরে প্রোটিন অর্থাৎ আমিষের অভাব হলে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। একটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির স্থগিত হয়ে যায় যদি সেই শিশুটি প্রোটিনের অভাবে ভোগে।

দেহে আয়রন বা লৌহের পরিমাণ বজায় রাখতে সবুজ শাকসবজি, মটর, ডাল, টফু, শুকনো ফল ও ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এগুলো আয়রনের ভালো উৎস।
এভাবে আমরা আমাদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারি।

Leave a Comment