মুখ বেঁকে যাওয়া রোগের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সাধারণ মানুষের পক্ষে দানা অত্যন্ত জরুরী । সবার প্রথমে আমরা এই মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং হঠাৎ করে যদি কারো মুখ ভেঙ্গে যায় সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সে গ্রহণ করতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা কি বলছেন এই বিষয়ে আমাদের এই ছোট্ট প্রতিবেদন। চলুন জানার চেষ্টা করি হঠাৎ করে মুখ বেঁকে যাওয়ার কি কি কারণ থাকতে পারে এবং এই হঠাৎ করে মুখ বেঁকে যাওয়া সম্পর্কে চিকিৎসা পদ্ধতি কি আছে এ বিষয়ে।
হঠাৎ করে মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ
হঠাৎ করে মুখ বাকার সংক্রমণের মধ্যে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা প্রচুর হয়ে থাকে কিন্তু যখন কোন ধরনের বড় ব্যক্তি বর্গের মাধ্যমে এ সমস্যা হয় তখন পৃথিবী জেনে যায় যে মানুষের মধ্যে এই সমস্যাটি হয়েছে। সাধারণত এই সংক্রমণ কেন হয়ে থাকে কিসের জন্য হয়ে থাকে এ বিষয়ে আমরা আজকে জানার চেষ্টা করব। ঋতু পরিবর্তনের সময় হঠাৎ করে নানা প্রাদুর ভাবের সৃষ্টি হতে পারে এ সময় অনেকের মুখ বেঁকে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে এই রোগের নামকরণ করা হয়েছে বেল্স পলসি। আস্তে আস্তে এই রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণত ধারণা করা হয় ভাইরাসে আক্রমণজনিত এবং এ রোগের বিভিন্ন রোগের উপর নির্ভর করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
অনেকে খেতে এ রোগের কিছু কারণ এর মধ্যে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়া মানুষের মধ্যে এর রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি অনেকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা বাতাস লাগা বেশি রাত জাগলে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ভাইরাল সংক্রমণ সাধারণত মধ্য কর্নের এক ধরনের ইনফেকশন হতে পারে অথবা এক ধরনের স্ট্রোকের কারণে হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগা বা হঠাৎ করে আঘাত লাগার কারণেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রেও টিউমারের কারনে এ সমস্যা তৈরি হতে পারে আবার যতটুকু জানা গেছে যে কর্ণের অস্ত্রপাচারের সময় অর্থাৎ কানের অস্ত্র পাচারের সময় ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে সে রোগীকে আক্রান্ত হতে হয় পালসি নামক রোগে। এগুলো ছিল কারণ সঠিক কারণ সবার প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে এর জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে আপনাকে যেতে হবে এই কারণে এর জন্য আপনি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।
তবে অনেকের মনে ধারণা রয়েছে মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া মানে সে প্যারালাইজড হয়ে গেছে এবং এইভাবে আস্তে আস্তে তার পুরো শরীর প্যারালাইজড হয়ে যাবে এইভাবে তিনি আরো আদমকে পড়ে যান এবং আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যান। তবে এরকমকে আরো যদি হয়ে থাকে এবং আপনি যদি তার প্রতিবেশী বা আপনি যদি তার প্রিয় জন থাকেন তাহলে অবশ্যই তাকে বোঝাতে হবে যে এর সমাধান যত দ্রুত করা যাবে তত দ্রুত এসে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবে আর এর জন্য চিন্তা-ভাবনা করে কোন লাভ হবে না। চলুন এর সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানি যেখানে চিকিৎসক রোগের ইতিহাস জেনে স্নায়ু পরীক্ষা করেই এই সমস্যা অর্থাৎ ফেসিয়াল পালসির বিষয়ে ধারণা গ্রহণ করতে পারে।
মুখ বাঁকা রোগের চিকিৎসা
যেমনটা আমরা উপরে উল্লেখ করলাম সাধারণ কিছু টেস্ট করে এটা জানা যায় যে এই রোগ কেন হয়েছে। এরপরে এর কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রোগের উপর নির্ভর করে সামান্য কিছু ঔষধ অবশ্যই চিকিৎসক রোগীকে খেতে বলবেন। অনেকের ক্ষেত্রে ইস্টারয়েড জাতীয় ওষুধও ব্যবহার করতে হতে পারে আবার দেখা যায় যে এন্টিভাইরাল ঔষধ প্রয়োগ করা হচ্ছে অনেকের ক্ষেত্রে।
সব ওষুধের পাশাপাশি একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সব চিকিৎসকেরই কমন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি আছে সেটা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। তাই হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে একজন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে অবশ্যই তিনি আপনাকে সুপরামর্শ দিবেন এবং আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনি আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারবেন।