বাচ্চা থেকে শুরু করে ছোট বড় সবার চুলকানি হয়ে থাকে, এই চুলকানি রোগটা ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। ছোট শিশুদের এই চুলকানিরও খুব বেশি দেখা যায় এখন। ছোট শিশুদের এই চুলকানি রোগ হলে এটা খুবই কষ্টদায়ক, এই রোগে শিশুদের এলার্জির প্রবণতা বেশি হয়। ছোট শিশুর সাথে শিশুর বাবা-মায়ের ও এই রোগ দেখা দিতে পারে। গরুর দুধ ডিম বা গম জাতীয় খাদ্য খেলে শিশুর মা বাবার সাথে, শিশুর ও চুলকানি রোগ হতে পারে,তাই সব সময় খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা হতে পারে আবার খাওয়া দেখে বিরত থাকা উচিত।এছাড়া ওর ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করালে শিশুদের চুলকানি রোগ হতে পারে।
বাচ্চার চুলকানি রোগের লক্ষণ
এই চুলকানি রোগ এমন একটি অনুভূতি যেখানে হবে সেখানে শুধু চুলকাতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু ছোট বাচ্চারা তো আর পারেনা বা কথা বলতে পারেনা তাই তাদের চুলকানি রোগ হলে তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়। চুলকানি রোগ হলে বাচ্চাদের শরীর লালচে কালার হয়ে যায়। চুলকানি রোগ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, এদের ধরন ও বিভিন্ন রকমের। চুলকানি রোগ হলে বাচ্চার শরীরে ফুসকুড়ি, ও ছত্রাক সংক্রমনের কারণে, এবং পোকামাকড়ের কারণে চুলকানির রোগ হয়ে পারে। যেসব বাচ্চাদের শরির শুষ্ক তাদের চুলকানি বেশি হয়।যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনারা ভাবেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :
- বাচ্চার জায়গাটি লালচে হয়ে যাওয়া।
- প্রদাহ হতে পারে
- শরির জ্বালা করা
- শরির ফুলে যাওয়া
- শুষ্ক ত্বক
- শরির খসখসে হয়ে যাওয়া।
- ত্বক আঁশের মতন হওয়া
- ফোস্কা পড়া
- বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হতে পারে, মাথা, পা,হাত,বা যৌনাঙ্গে।
বাচ্চাদের চুলকানি রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ
শিশুদের চুলকানি রোগ খুব বেশি হয় তাই যেকোনো ধরনের খারাপ লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। এই সময় বাচ্চাদের মাথায় তেল দেওয়া যাবে না। ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে দুই থেকে তিন দিন পর পর হলেও। এতে করে যদি তাহলে অবশ্যই চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকরা অবশ্যই ছোট বাচ্চাকে মলম জাতীয় কিছু ওষুধ দিবে।
সেই মলমগুলো অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত বাচ্চাদের দিতে হবে তাহলে বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। চুলকানি কমে গেলেও আপনারা বেশ কিছুদিন বাচ্চার একাই এই মলম লাগাবেন তাহলে এটা একবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে। তা না হলে আবার কিছুদিন পরে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় বাচ্চাকে যতটা সম্ভব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিজেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনি বাচ্চাদের চুলকানি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেও আপনার বাচ্চার চুলকানি কমাতে পারেন। চলুন সেই বিষয়গুলো নিয়ে এখন কিছু আলোচনা করা যাক।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল বাচ্চাদের শরীরে মালিশ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ভিনেগার
বাচ্চাদের অল্প পরিমাণে ভিনেগার খাওয়া চুলকানি রোগ কমে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান মেয়েরা পুরো শরীরে শেষ করলে সকল ধরনের চুলকানি কমে যাবে। এলার্জির কারণে ছোট বড় সবার যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে। অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।
এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম
আপনারা যে কোন ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করবেন, এতে করে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না।
চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে পারে এমন ওষুধগুলির মধ্যে
রয়েছে।
অ্যান্টিহিস্টামিন (চুলকানি, হাঁচি ও সর্দিতে ব্যাবহৃত হয়)
★ডাইফেনাহাইড্রামিন
★সিটিরিজিন
★লোরাটিডিন
★ডেসলোরাটিডিন
★ফেক্সোফেনাডিন
এছাড়াও আপনারা বাচ্চাদের হোমিও ওষুধ খাওয়াতে পারেন চুলকানি রোগের কারণে হোমিও ওষুধ এখন অনেক উন্নত মানের তৈরি করা হচ্ছে। হোমিও ঔষধ ব্যবহার করে অনেক বাচ্চার সকল ধরনের অসুখ ভালো হচ্ছে। তাই আপনারা চাইলে হোমিও ওষুধও ব্যবহার করতে পারেন বাচ্চাদের পাশাপাশি যে কোন অসুখে।