শিশুদের কফ কাশির ঔষধ

আবারো আপনাদের স্বাগতম জানাচ্ছি স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি পোস্টে যেখানে নিজের সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক কিছুই আপনারা জানতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যে আবহাওয়া চলছে সে আবহাওয়া অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক তাপমাত্রা থাকেনা যার কারণে সন্তানেরা যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাপমাত্রার এই বিরূপ প্রভাবের কারণে সন্তানের ছোট দেহ সেটা সহ্য করতে পারছে না যার কারণে যেকোনো সময় ঠাণ্ডা লাগা যেকোনো সময় সর্দি লাগা যেকোনো সময় কাশি হওয়া এই প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে। আর এর কারণে যারা অভিভাবক আছেন তারা অনেক চিন্তায় আছেন তারা ভাবছেন নিজের সন্তানকে পুরোপুরি সুস্থ করার জন্য কোন ঔষধ অত্যন্ত ভালো হবে এই পরিস্থিতিতে জানার জন্য।

আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব বাচ্চাদের সর্দি কাশির জন্য যে ধরনের সিরাপ ব্যবহার করা হয় সেই ধরনের সিরাপ এর মধ্যে কোন গুলো ভালো এবং কোন ঔষধ গুলো খেলে অবশ্যই সন্তানটা সুস্থ হবে। এছাড়াও ঔষধ ছাড়া কোন বিকল্প পদ্ধতি আছে কিনা বা কোন ঘরোয়া পদ্ধতি আছে কিনা সন্তানের সর্দি-কাশি দূর করার জন্য সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা যদি আমাদের উপর বিশ্বাস রাখেন তাহলে আমাদের ছোট্ট প্রতিবেদন অবশ্যই করবেন এবং এখান থেকে বিস্তারিত তথ্য জানবেন।

বাচ্চাদের কাশির সিরাপ টোফেন

এই ওষুধটি বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ এবং এটা হচ্ছে এমন একটি কোম্পানির ঔষধ যেটা বাংলাদেশে অনেক ভালো কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড এর টোফেন সিরাপ দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য এটি ব্যবহৃত সিরাপ। এটা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ এবং ঔষধের ক্ষেত্রে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে টোফেন সিরাপ সাধারণত এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এখানে অবশ্যই নির্ধারিত পরিমাপ আপনাকে জানতে হবে নিজের সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য এবং কতদিন নাগাদ এই ঔষধ আপনি খাবেন সেই বিষয়েও আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। এই ধারণা নেওয়ার পরে আপনি মূলত নিজের সন্তানকে এই ওষুধ খেতে পারেন। এজন্য অবশ্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বাচ্চাদের শুকনো কাশির সিরাপের নাম

বাচ্চারা সব সময় কাশি দিচ্ছে কিন্তু কক্স তুলতে পারছে না মনে হচ্ছে সেটা হচ্ছে শুকনো কাশি। এই শুকনো কাশির সমাধান খুঁজতে আপনি জানতে চাচ্ছেন কোন ধরনের সিরাপ আপনার বাচ্চাকে আপনি দিবেন। বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাসের উপর হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে এমব্রক্স নামক সিরাপ আপনি দিতে পারেন নিজের সন্তানের কাশি ভালো করার জন্য। যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে সেই সঙ্গে আপনি ব্যবহার করতে পারেন আরো অন্যান্য কফ সিরাপ যেমন টোফেন সিরাপ থেকে শুরু করে ফেক্সো সিরাপ বা সালভিটামল এই ধরনের সিরাপ।

বাচ্চাদের কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

বাচ্চাদের দীর্ঘদিন ধরে কাশি হয়েছে কিন্তু সেই কাশির সমাধান হচ্ছে না যার কারণে আপনি মনে করছেন একটি অ্যান্টিবায়োটিক তাকে খাওয়াবেন। কাশির ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় সেটা হচ্ছে মক্সিফ্লক্সাসিন গ্রুপের এন্টিবায়োটি। কোম্পানির প্রমোটের জন্য আমি কোন একটি ওষুধের নাম উল্লেখ করছি না তবে মক্সিফ্লক্সাসিন গ্রুপের যেই ওষুধটি বাজারে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় সেই অ্যান্টিবায়োটিক অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনাকে নিজের সন্তানের জন্য খাওয়াতে হবে।

তবে কাশি যদি এতেও ভালো না হয় তাহলে এন্টিবায়োটিক এর পরিবর্তন করা লাগতে পারে এই ক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের যে কোন একটি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে খুবই সামান্য পরিমাণে রোগীর শারীরিক সুস্থতা ওজন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

ওষুধের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা সকলকে অবলম্বন করতে হবে এবং যদি সেটা শিশু সন্তানের জন্য হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সন্তানের ঔষধ খাওয়াতে হবে।

 

Leave a Comment