একটি শিশুকে সুস্থ সবল রাখার জন্য নিয়মিত খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। তবে খাবার খাওয়ানো যেমন জরুরী তেমনি ভাবে খেয়াল রাখতে হবে কি ধরনের খাবার খেলে বাচ্চা ভালো থাকতে, সুস্থ থাকতে পারে। কারণ অতিরিক্ত খাবার খাওয়ালে বা যে ধরনের খাবার বাচ্চা সহ্য করতে পারে না সে ধরনের খাবার খাওয়ালে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চার বদ হজম হতে পারে এই বিষয়টি খেয়াল রেখে বাচ্চাকে অবশ্যই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। আবার যে খাবার খেলে বাচ্চার সমস্যা হয় সেই ধরনের খাবার দেওয়া উচিত নয়। তাই বাচ্চার খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে পুষ্টিকর খাবার গুলো নির্বাচন করতে হবে এবং পরিমিত পরিমানে খাবার দিতে হবে ।
অনেকে মনে করে যে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ালে মনে হয় বাচ্চা সুস্থ ও ভালো থাকে। কিন্তু আসলে এ ধারণাটি একটি ভুল ধারণা। কেননা অতিরিক্ত খাবার যেমন বড়রা খেতে পারে না বা অতিরিক্ত খাবারে সমস্যার কারণ হয় তেমনি ভাবে বাচ্চারা অতিরিক্ত খাবার খেতে পারে না। অতিরিক্ত খাবার যদি জোর করে বাচ্চাদের খাওয়ানো হয় তাহলে তাদের বদহজম হতে পারে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে তাদের গলায় খাবার আটকে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এই বিষয়টি খেয়াল রেখে বাচ্চাদের অবশ্যই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। আবার অনেক বেশি খাবার খাওয়ানো যেমন উচিত নয় তেমনিভাবে যে সকল খাবার বদহজম হতে পারে সে সকল খাবার গুলো দেওয়া উচিত না।
আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতার সাথে খাবার নির্বাচন করতে হবে। যে সকল বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কম তাদের কখনোই বাইরের খাবার দেয়া উচিত নয়। কারণ তাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট। বাচ্চাকে যদি মায়ের বুকের দুধ পরিপূর্ণভাবে খেতে দিতে পারে এবং সেই খাবারে বাচ্চা সন্তুষ্ট থাকে তাহলে বাচ্চার মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ তৈরি হয়। কিন্তু বাচ্চাকে যদি বাইরের খাবার দেওয়া হয় এবং ছয় মাস বয়স হওয়ার আগেই বাড়তি খাবার দেওয়ার কারণে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে বা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক অসুবিধা হতে পারে এবং বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই ছয় মাসের আগে কখনোই বাচ্চাকে অতিরিক্ত খাবার দেওয়া উচিত নয়। অনেকে মনে করে যে অতিরিক্ত খাবার দেওয়া মনে হয় শিশুর জন্য ভালো এবং শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিন্তু এ ধারণাটাই ভুল। যারা এভাবে বাচ্চাদের অতিরিক্ত খাবার দেয় তারা আসলে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির কারণ সৃষ্টি করে এবং বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় যে বাচ্চাদের পরিমিত খাবার দিলেও ঠিকমতো খাবার দিলেও বদহজমের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। বাচ্চাদের যদি এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয় তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করতে হবে এই বদহজম কমানোর। কিন্তু বদ হজম যদি না কমে বা না ভালো হয় তাহলে শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুটিকে ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ খাওয়াতে হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের নাম জানা থাকলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে না। সেই ওষুধগুলো নিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়। তাই অনেকেই বাচ্চাদের বদহজমের জন্য কি ধরনের ওষুধ খাওয়ানো উচিত বা কি ধরনের ওষুধ খাওয়ালে তাড়াতাড়ি ভালো হবে এ বিষয়গুলো জানতে চায়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন এই ধরনের ওষুধ গুলো সম্পর্কে খুব সহজে জেনে নিতে পারে যেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
শিশুদের বদহজম বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে ঘরোয়া ভাবে শিশুকে নিয়মিত খাবার খাওয়ালে এবং শিশুর পিঠে মালিশ করলে অনেক সময় দেখা যায় যে এর বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে যদি এভাবে সমাধান না হয় তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।