মুখের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা তৈরি হতে না পারে তাহলে অনেকেরই গলা শুকিয়ে যাই। এইমাত্র পানি খাওয়ার ৫ মিনিটের মাথায় অথবা 10 মিনিটের মাথায় আবার যদি আপনার গলা শুকিয়ে যায় তাহলে এটা আসলে কেন হচ্ছে তা সর্বপ্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। তাই গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে যদি মুক্ত পেতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করলে আপনারা সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন। গলা শুকিয়ে যাওয়ার ওষুধ প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা করা হবে বলে আপনারা সেই অনুযায়ী তথ্যগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়ে এবং এই সময় আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে। তাই গরমের প্রচণ্ড তাপদাহ থাকার কারণে আমাদের গলা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং এই শুকানোর ফলে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে পান করার প্রতি আগ্রহ পাই। গ্রীষ্মকালে যদি আপনার এরকম ভাবে পানির পিপাসা খুব বেশি বেশি পায় অথবা গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় তাহলে আপনারা পানি পান করতে পারেন।
গ্রীষ্মকাল ব্যতীত অথবা অন্যান্য সময় যদি আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে গলা শুকিয়ে যায় অথবা পানি পান করার কিছুক্ষণের মধ্যে যদি আবার একই সমস্যা হয় তাহলে নিশ্চয়ই কোন সমস্যা থেকে এগুলো বারবার হচ্ছে বলে মনে হবে। তাই আপনার বয়স অনুযায়ী হোক অথবা অন্য কোন কারণে হোক যখন ডাক্তারের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে চাইবেন তখন তারা হয়তো সর্বপ্রথমে আপনাকে ডায়াবেটিস চেক করতে বলবে। তবে অনেকেই যে ধারণা গুলো প্রদান করে থাকেন তাতে করে ডায়াবেটিসের সমস্যা ছাড়াও গলা শুকানোর আরো অনেক কারণ থাকতে পারে।
তাই আপনি যদি এখানে এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে গলা শুকিয়ে যাওয়ার ঔষধ সম্পর্কে বারবার জানতে চান তাহলে বলবো যে নির্দিষ্ট লক্ষণ ছাড়া অথবা কি কারণে এটা হচ্ছে তা জেনে নেওয়া ছাড়া ওষুধ প্রদান করা সম্ভব নয়। তাছাড়া এটা যদি ডায়াবেটিসের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। তাছাড়া অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে রক্তের ভেতরে যদি চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে এ ধরনের সমস্যাগুলো ঘটে থাকে।
গলা শুকিয়ে যাবার প্রতিকার
গলা শুকিয়ে যাবার প্রতিকার হিসেবে জানতে আসলে সর্বপ্রথমে বলবো দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। যদি খুব সূক্ষ্মভাবে আলোচনা করি তাহলে আমাদের জীবনে যে শর্করার খাদ্যাভ্যাস রয়েছে তা দূর করে ফেলে আমিষের উপরে নির্ভরশীল হতে হবে এবং গুড ফ্যাট খাওয়ার প্রতি আমাদের আগ্রহী হতে হবে। ক্ষুধা লাগলে আমরা যে সকল খাবার খায় সে সকল খাবার যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা এখন বুঝতে পারি না। যখন বয়স হবে তখন এগুলো বুঝতে পারার আগে যদি আগে থেকে আমরা এগুলোর প্রতিকার করতে পারি তাহলে গলা শুকিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্যান্য অনেক সমস্যার সমাধান আপনি পেয়ে যাবেন।
গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমাধান
গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমাধান হিসেবে আপনারা সর্বপ্রথমে উপরের উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস এর ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবেন। রক্তে চিনির পরিমাণ অথবা চর্বির পরিমাণ বাড়তে দেওয়া যাবে না এবং এটা যদি মাথায় রাখতে পারেন তাহলে আপনারা ভালো কিছু উপভোগ করতে পারবেন। আর গলা শুকিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাদের ধূমপান বা অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস রয়েছে তারা এই সময় মুখের ভেতরে লালা উৎপাদন করতে পারেন না বলে বারবার গলা শুকিয়ে যাই। সকল ক্ষেত্রে ধূমপান এবং অ্যালকোহল জাতীয় বাজে অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
সাধারণত ধূমপান অথবা অ্যালকোহলের কারণে গলা শুকিয়ে যায়। আবহাওয়া জনিত কারণে ও মানুষের অতিরিক্ত গরমে গলা শুকিয়ে যেতে পারে। আবার গলার ভেতরে যদি কোন ধরনের সমস্যার কারণে লালা উৎপাদন না হয় তাহলে আপনার গলা শুকিয়ে যাবে প্রতিনিয়ত। এছাড়া গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে ধরা হয় ডায়াবেটিস। অর্থাৎ আপনার যদি এই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে পানি খেতে না খেতেই গলা শুকিয়ে যাবে এবং এই সমস্যাগুলো আপনারা তখন বারবার দেখবেন।