ফিস্টুলা রোগের ঔষধ

কোন ব্যক্তি যদি মলদ্বারে ফিস্টুলা রোগ নিয়ে বসবাস করেন তাহলে সেই ব্যক্তি কিন্তু অনেক কষ্ট সহ্য করে বসবাস করছেন। তাই ফিস্টুলা রোগের ক্ষেত্রে কি ধরনের ওষুধ খেলে ভালো হয় তা এখানে অনেকেই জানতে এসেছেন। তবে এটা অত্যন্ত জটিল একটা রোগ এবং ব্যথার জন্য শুধু ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে কোন সমাধান পাবেন না বলে আপনাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে। তাই ফিস্টুলা হয়ে থাকলে কি ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে অথবা কোন চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চললে আপনি এই সমস্যা থেকে অনেকটাই সমাধান পাবেন তা আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।

মলদ্বারে যেমন অর্শ পাইলস গেজ হয়ে থাকে তেমনি ভাবে অনেক মানুষের ফিস্টুলা রোগ হয়ে থাকে। আপনারা যারা এই রোগ সম্পর্কে একেবারেই জানেন না তাদেরকে বলব যে মলদ্বারে যদি ফোড়া হয়ে থাকে তাহলে সেখানে পুঁজ জমায়িত হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সেই ফোঁড়া যখন মুখ নিয়ে ফেটে বের হয়ে যায় তখন সেটা যেমন প্রচন্ড ব্যথা সৃষ্টি করে তেমনি ভাবে ফোড়া থাকা অবস্থায় সেটাতে আপনি বসতে যেমন কষ্ট পাবেন তেমনি ভাবে অন্যান্য আরো অনেক সমস্যা হবে।

তবে এই ক্ষেত্রে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা থেকে শুরু করে অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যা হয় এবং ফোড়া ফেটে পুজ বের হয়ে গেলে ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। সাধারণত মলদ্বারের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস অথবা জীবানুর সংক্রমণের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। সুতরাং বাথরুম ব্যবহার করার পর মলদার ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড়চোপড় পরিধান করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

আর যারা ফিস্টুলা রোগের ঔষধ সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের ভেতরে হয়তো অনেকে আছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে থাকছেন অথবা অনেকেই আছেন এলোপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এলোপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে সাময়িকভাবে এগুলো আরাম পেয়ে থাকলেও আপনি ওষুধ খাওয়া যখন বাদ দিবেন ঠিক তার কয়েক মাসের মধ্যে আবার এটা রিপিট করবে। অনেক সময় মলদ্বারে ক্যান্সার অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কারণেও কিন্তু এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাই পিস্তলে রোগের জন্য আপনাকে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে নয়তবা এটা আরো জটিল আকার ধারণ করবে।

ফিস্টুলা রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

ফিস্টুলা রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে বলে এটা যদি সাধারণ অবস্থায় থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এটা সমাধান হয়ে থাকে। তাই যেকোনো ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং ধৈর্য ধারণ করে সেই ব্যথা যে চেপে রাখবেন সেটা কখনোই করবেন না। ফিস্টুলার রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যদি এটা বাড়ানো হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সার্জারির দিকে যেতে হবে। তাছাড়া এ বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের কাছে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো হবে।

ফিস্টুলা রোগে করণীয় কি

ফিস্টুলা রোগের ক্ষেত্রে আপনি যদি বুঝতে পারেন যে এটার উপসর্গ ফেস্টুলা রোগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তাহলে আপনাদের যদি সার্জারি করতে অসুবিধা না থাকে তাহলে সেটা করাতে পারেন। তবে সার্জারি করার বিষয়ে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে করতে হবে এবং এক্ষেত্রে যদি কোনো কারণে অপারেশন আনসাকসেসফুল থাকে তাহলে এটা আবার রিপিট করবে। তাই ব্যথা হয়ে থাকলে শুধু ব্যথার ওষুধ না খেয়ে এ বিষয়ে আপনারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে যদি বুঝতে পারেন রয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত।

ফিস্টুলা রোগ থেকে মুক্তির উপায়

ফিস্টুলা রোগ থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় হিসেবে যারা জানতে চান তারা হয়তো অনেক সময় ইউটিউবে অথবা বিভিন্ন জায়গায় মুখরাচক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনেক ধরনের ওষুধের নাম শুনে থাকবেন। তবে আপনি যদি অযত্নে এবং অবহেলায় এগুলোর প্রতি খুব একটা গুরুত্ব ভূমিকা না রাখেন তাহলে এটা পরবর্তীতে আবার রিপিট করবে এবং ব্যথা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা রোগ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এবং এই ক্ষেত্রে কি করা লাগবে তা বুঝতে পেরেছেন।

Leave a Comment