গনোরিয়া রোগ যেহেতু ব্যাকটেরিয়া বাহিত বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি যৌনবাহিত রোগ। এই কারণে গনোরিয়া রোগ কে ধ্বংস করতে হলে বা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গনোরিয়া রোগ ছড়ায় সেই ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে হবে। এখন দেখতে হবে যে কোন কোন ব্যাকটেরিয়া গনোরিয়া রোগ সৃষ্টিতে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করে থাকে।
এবং এই ব্যাকটেরিয়া গুলো আসলে কোন ঔষধের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে পারে সেই বিষয়গুলি জানলেই আমরা গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাব। অর্থাৎ এই বিষয়গুলি জেনে ফার্মাসিস্টরা আমাদের জন্য কোন ধরনের ঔষধ তৈরি করেছেন সেই বিষয়গুলি এখন আমরা দেখব। ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা যেহেতু রোগটি ছড়ায় তাই ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করলে যুক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। এই ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করার জন্য ফার্মাসিস্টরা কোন ঔষধ তৈরি করেছেন সে বিষয়গুলি দেখা যেতে পারে।
গনোরিয়া
গনোরিয়া একটি স্বাভাবিক রোগ। অর্থাৎ বিভিন্ন সময়ে মানুষের যৌনবাহিত যে রোগগুলি হয়ে থাকে তার মধ্যে গনোরিয়া একটি। গনোরিয়া রোগটি যৌনবাহিত হওয়ার কারণে মানুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে লজ্জা বোধ করে। গনোরিয়া রোগটি সাধারণত Neisseria gonorrhoeae ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ছড়িয়ে থাকে। এই রোগটির ইংরেজি নাম হলো- Gonorrhea. নারী পুরুষ উভয়েরই এই রোগ হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয় পুরুষেরা। এবং এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত চুপচাপ বসে থাকে এই কারণে যে এটি জন বাহিত রোগ এবং চিকিৎসকের কাছে বলতে লজ্জা বোধ করে।
কিন্তু বাঁচতে হলে লজ্জাবোধ করে কোন লাভ নেই। চিকিৎসকের কাছে সবকিছু খোলামেলা বললে অবশ্যই চিকিৎসক বুঝে আপনাকে ঔষধ দিতে পারবেন। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাদের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আর সঠিক সময় আপনারা যদি চিকিৎসকের কাছে পৌঁছান তাহলে অবশ্যই এই রোগ থেকে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি লাভ করতে পারেন। এদিক বিবেচনা করে আপনাকে অবশ্যই লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন বলে আশা করি। তাহলে এর লক্ষণ গুলো কি তা দেখতে থাকি।
গনোরিয়া রোগের লক্ষণ
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার কোনোরিয়া রোগ হয়েছে। গনোরিয়া রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেই লক্ষণগুলি যদি আপনারা জানেন তাহলে অবশ্যই গনোরিয়া রোগ হয়েছে বলে বুঝতে পারবেন। তখন আপনি চিকিৎসক কে বলতে পারেন যে আমার এই লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে তাহলে আমার কি এই রোগ হলো কিনা এবং হলে কোন ধরনের ঔষধ আপনি দিবেন আপনি ব্যবস্থা করেন। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয়, মূত্রথলী দিয়ে
পুঁজ বের হয়, টেস্টিকালে ব্যথা দেয়। আর স্ত্রী লোকের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থাৎ কোন কোন মেয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যোনিপথে পুঁজ বের হয় এবং তলপেটে ব্যথা অনুভূত হয়। যদি সময় মত এই রোগের চিকিৎসা করা না হয় তাহলে এই ব্যথা শরীরের সর্ব অঙ্গে চলে যায়। পুরুষের এপিডিডাইমিস ও মহিলার তলপেটে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। গনোরিয়া সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি এটি শরীরের অস্থিসন্ধিসমূহ ও হার্টের কপাটিকাকেও আক্রান্ত করতে পারে।
গনোরিয়া রোগের ঔষধ
এই রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত ক্যাচফ ২০০ এম জি ট্যাবলেট (Cachof 200 MG Tablet) গনোকোকাল সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয় যা নিশিয়ারিয়া গনোরিয়ায় যৌনসম্পর্কিত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। ক্যাচফ ২০০ এম জি ট্যাবলেট (Cachof 200 MG Tablet) চিকিত্সা এবং যৌগ সংক্রমণের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়। এন্টারোব্যাক্ট ক্লোকেই, সিডোমোনাস এয়ারুগিনোসা দ্বারা সৃষ্ট।
এই ওষুধগুলি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেহেতু কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয় তাই আপনারাও এই একই কাজ করবেন অর্থাৎ ঠিক কাজ যেটা করতে হয় সেটাই করা উচিত। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি পরামর্শ দেবেন এবং তিনি বুঝে শুনে এর মধ্যে থেকে কোন ঔষধ অথবা তার নিজের মত ঔষধ দিতে পারেন।