সিফিলিস এ রোগটি অনেক বেশি মারাত্মক একটি রোগ, এ রোগটি হলে যৌনপথে সংবাহিত হয়ে থাকে। শারীরিক সম্পর্কের কারণে এ রোগটির অনেক বেশি ঝড়াতে পারে। অনেকদিন যাবত এই রোগ মানুষের মধ্যে থাকতে পারে। এই রোগ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকে এবং এই সংক্রমণটি নানাভাবে একটি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।
তাই অবশ্যই এ রোগ যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত। আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে সিপফিলিস এই রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত আপনার জানার চেষ্টা করব। কোন লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনি ভেবে নিতে পারেন যে আপনার সিফিলিস রোগ হয়েছে। সেই সাথে এই ওষুধগুলো র আপনি খাবেন যে ওষুধগুলো আমরা আমাদের আর্টিকেলে আজকে তুলে ধরব।
সিফিলিস এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি
সিফিলিস এ রোগটি একজন মানুষকে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত করতে পারে তিনটি পর্যায়ে এর নির্দিষ্ট বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই সিফিলিস ৩ মাস পর্যন্ত একজন রোগীর শরীরে দেখা যায়। যেই রোগী এই রোগে আক্রান্ত হবে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় খুদনি রোগের সৃষ্টি হবে। এ সমস্যা দেখা দিলে খুব বেশি সমস্যা হয় না। হবার পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই, এই রোগটি ভালো হয়ে যায়।
দ্বিতীয়বারের মতো এই রোগ যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে তার উপসর্গের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। হাতে পায়ে ও যৌনাঙ্গে নানা ধরনের ফুসকুড়ি দেখা যায়। দ্বিতীয়বার যদি কোন ব্যক্তির এই রোগ হয় তাহলে ৬ মাসের মতো এই সমস্যা থেকে থাকে আমাদের। এছাড়াও এ রোগ হওয়া আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর মাথা যন্ত্রণা সহ যৌনাঙ্গে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সিফিলিস এই রোগটি হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে তাই অবশ্যই আমাদের সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে আমরা আমাদের এই সিফিলিস রোগটি সমস্যা দূর করতে পারি। যেসব ব্যক্তি তাদের যৌনাঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেনা তাদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও অনেক সমকামী পুরুষ রয়েছে যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীতে এখন মেয়ে ও ছেলে সমকামির অভাব নেই। সমকামিতা এর মাধ্যমে এ রোগ অনেক বেশি ছড়িয়ে থাকে।
কোন বাচ্চার মা যদি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।তো ভাবার পর সে আবার তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারবে।
কোন ব্যক্তি যদি এই রোগটি হয়ে থাকে তাহলে তার আক্রান্ত স্থানে অন্য ব্যক্তির ছোঁয়া লাগলে সে ব্যক্তিরও এ রোগ হয়ে যেতে পারে।তাই কোন ব্যক্তির এই সিফিলিস রোগ হলে অবশ্যই তাকে আলাদা থাকতে হবে এবং থাকার মাধ্যমে সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
সিফিলিস এর ঔষধ
সিফিলিস রোগের ওষুধ নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসক প্রথমে একজন রোগীর যৌন সমস্যার বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইবে যেমন ত্বক যৌনাঙ্গের ত্বক এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে তারপর তিনি ওষুধ দিবেন। উপসর্গ যদি অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে যে ওষুধগুলো খাওয়া লাগে সেই ওষুধগুলো নিঃসন্দেহে খাওয়া যেতে পারে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই সে রোগীকে যৌন কার্যকলাপ ও শারীরিক যে সম্পর্ক রয়েছে সেই সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।তা না হলে যার সাথে আক্রান্ত রোগী শারীরিক সম্পর্ক করবে তারও এই রোগ হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে এই সময় নিজেকে সংযুক্ত রেখে সুস্থ হওয়া।
এই সমস্যা হলে আপনারা জোর ওষুধ খেতে পারেন অথবা হোমিও ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা আপনার নিতে পারেন আশা করা যায় দিনের মধ্যে আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা নেন তাহলে অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবেন।