একজন গর্ভবতী মা প্রথম তিন মাস কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ের মধ্যে থাকেন। কারণ ভ্রুণ থেকে বাচ্চার শরীরের অবয়ব তৈরি হয় এই সময়। তাই একজন মা হিসেবে অবশ্যই প্রথম তিন মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় টা মেনে চলতে হবে এবং কোনোভাবে যেন বাচ্চার উপরে চাপ না পড়ে সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ সম্পর্কে অথবা প্রথম তিন মাস একজন গর্ভবতী মায়ের কি ধরনের খাদ্যের প্রয়োজন সে বিষয়ে জানিয়ে দিচ্ছি।
প্রত্যেকটা মানুষের শরীরের অবস্থা আলাদা অথবা বডি ফাংশন আলাদা হয়ে থাকার কারণে আপনাদের অবশ্যই গর্ভ অবস্থায় একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারলে তারা আপনাদেরকে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারবে অথবা শারীরিক অবস্থার উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া আপনারা যারা যে সকল বেসিক ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে থাকেন সেক্ষেত্রেও কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
আমাদের ভেতরে অনেকেই আছেন যারা ওষুধ বিষয়ে মোটামুটি ভাবে ধারণা রাখেন এবং বাড়িতে কোন কিছু হয়ে থাকলে কোন একটা ওষুধ তাদেরকে প্রদান করেন। কিন্তু ওষুধ সম্পর্কে ধারণা রাখলেও অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরের অবস্থা আপনাদেরকে বুঝতে হবে এবং এটা যেন বাচ্চার উপর কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব না পেলে সেটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তাই আপনারা হয়তো এখান থেকে ওষুধের নাম জেনে নিতে এসেছেন এবং সেই প্রসঙ্গে বলবো যে অসুখের নাম না জেনে কিভাবে ওষুধ প্রদান করা সম্ভব।
তাই সাধারণত কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকলে সেটা আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ খাওয়ালেই আশা করি সকল সমস্যা মিটে যাবে। তাই অসুখ যেন না হয় সে বিষয়ে আপনাদেরকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ যে সকল খাদ্যাভ্যাস রয়েছে সেগুলোতে যদি সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই তা পরিবর্তন করতে হবে। আর পরিবর্তন করে যখন পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্য দিয়ে যাবেন তখন দেখা যাবে যে সেটা স্বাস্থ্য আরও ভালোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সর্তকতা
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে এই তিন মাসের ভেতরে অবশ্যই নির্দিষ্ট একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। তাহলে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। সকালের দিকে যদি বমি বমি ভাব আসে তাহলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে এবং একবারে বেশি করে খাবার গ্রহণ না করে বারে বারে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খাওয়ার পরপরই কখনোই বিছানায় যাবেন না বরং একটু নড়াচড়া করার পর কিছুক্ষণ পর বিছানায় গেলে সবচাইতে ভালো হয়।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার রুটিন
গর্ভবতী মা হিসেবে আপনারা প্রথম তিন মাসে যে সকল খাবার অনুসরণ করতে পারেন তার ভেতরে ফলিক এসিড জাতীয় খাদ্য রয়েছে। ফলিক এসিড খাদ্য কি ধরনের হতে পারে তা আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে লিখলে সেটা উত্তর প্রদান করা যাবে। এছাড়াও আপনাদেরকে আইরন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং যে সকল খাবারের জিংক রয়েছে সেগুলো খেতে হবে। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে অথবা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে এমন খাবার আপনাদেরকে খেতে হবে। একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং আশ জাতীয় খাবারের সময় খুবই কাজে আসে।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের যত্ন
গর্ভবতী মায়েদের প্রথম তিন মাসে খুব সুন্দর ভাবে যত্ন নিতে হবে এবং তাদেরকে ভালো খাবার দেওয়ার পাশাপাশি মন মেজাজ যাতে ভালো থাকে সেই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মন প্রফুল্ল রাখার জন্য কোন ধরনের চাপ দেওয়া যাবে না এবং শরীর ভালো রাখার জন্য হালকা ভাবে খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি হালকা শরীর চর্চার অভ্যাস রাখা যেতে পারে। সেই সাথে রাতে ঘুম ভালো মতো হওয়ার জন্য ক্যাফিন সমৃদ্ধ খাবার অথবা চা-কফি বাদ দিতে হবে। ধন্যবাদ।