সময় অসময় নেই অনেকের জিভে ঘা হতে দেখা যায়। ভাই জিভে যদি ঘা হয় তাহলে এর ওষুধ হিসেবে কি ব্যবহার করা যেতে পারে তা আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি। নির্দিষ্ট কোন ভিটামিনের অভাবে ও অনেক সময় ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এগুলো হয়ে থাকে। তাই খাদ্য যদি ভিটামিনের গুণ ও পুষ্টিগুণ ঠিকঠাক মতো থেকে থাকে তাহলে জিভে ঘা থেকে রক্ষা পাব। তাছাড়া জিভে ঘা হয়ে থাকলে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো অনেক সমস্যার ভেতরে আমরা চলে যাই বলে এটা থেকে প্রতিকার পাওয়া অবশ্যই জরুরী।
বিভিন্ন বয়সী মানুষের জিভে খাওয়া হয়ে থাকে। তবে জিভে ঘা হওয়ার জন্য সবচাইতে যে বিষয়টা অভাবজনিত কারণ হিসেবে দেখায় সেটা হল ভিটামিন সি এর অভাব। দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় যে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করে না এবং এটার অভাবে জিভে ঘা থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক রোগের দেখা দেয়। তাই এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভিটামিন সি খেতে হবে।
যেহেতু বিভিন্ন টক জাতীয় ফল থেকে আমরা ভিটামিন সি পেয়ে থাকি সেহেতু এই ফল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে ছোটখাটো এ ধরনের রোগ আমাদের খুব সহজে কাবু করতে পারবে না। তাছাড়া ভিটামিন বি টুয়েলভ নামক এক ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেটার অভাবজনিত কারণে এই ঘা হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় ঠিকমত মুখের ভেতরে কুলি দিয়ে পরিষ্কার না করা অথবা ঘুমানোর পর যদি এটা আমরা মুখের মধ্যে বারবার অপরিষ্কার রাখি তাহলে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
তাই এখন থেকে আপনাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং মুখ পরিষ্কার রাখার বিষয়ে গরম পানি দিয়ে গার্গল করার পাশাপাশি আমরা মাউথ ওয়াশ দিয়ে গার্গল করতে পারি। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যাতে করে আমাদের এই সমস্যাগুলো না হয়। বয়স এবং স্বাস্থ্য এবং শরীরের ওজনের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি মানুষের একটি ব্যালেন্স ডায়েট থাকা উচিত। আমরা যদি ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলতে পারি তাহলে কিন্তু সকল দিক থেকে নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে পারি এবং সঠিক জীবন ব্যবস্থাই বিভিন্ন ঔষধ থেকে আমাদেরকে নিরাপদ রাখতে পারে।
জিভে ঘা এর ঘরোয়া ঔষধ
জিভে যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে এর ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে আপনারা প্রথমত মুখ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দেবেন। এরকম পরিস্থিতিতে তেল জাতীয় খাবার কম খেয়ে আপনাদেরকে ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের দোকানে গিয়ে জিভে ঘা এর সমস্যার কথা বললেই তারা আপনাদের এক ধরনের হলুদ বড়ি খেতে দিবে। তিন বেলা তিনটি করে এই ওষুধ খেতে পারলে আশা করি আপনাদের সমস্যা দুই দিনের ভেতরে সমাধান হয়ে যাবে এবং আপনারা সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন।
জিভে ঘা এর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
জিভে ঘা হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে যদি ভূমিকা রাখতে চান অথবা জানতে চান তাহলে আমরা আপনাদেরকে বিষয়ে জানিয়ে দিচ্ছি। এ ধরনের হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত পাওয়া যায়। তবে হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম কখনোই ডিসক্লোজ করা হয় না বলে এটা কোন ডাক্তার আপনাদেরকে জানিয়ে দেবে না এবং এক্ষেত্রে আপনারা তা জানতেও পারবেন না। তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম জেনে নেয়ার চাইতে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে অথবা তাদের ব্যবহার করা ওষুধ খেলেই এটার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
জিভে ঘা এর ওষুধ এর নাম কি
ভিটামিন বি টুয়েলভ নামক ওষুধ চেয়ে থাকলে আপনাদেরকে কিন্তু ডাক্তারেরা এটা প্রদান করবে এবং আপনারা যদি হলুদ বড়ি বা মুখে ঘায়ের হলুদ ঔষধ চেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে প্রত্যেকটা দোকানদার এটা প্রদান করতে পারবেন। কারণ এই সমস্যা কমবেশি অনেকেরই হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটা ডাক্তারের দোকানে এটা রাখা হয়। তাছাড়া এই ওষুধের দাম কিন্তু খুবই কম এবং মোটামুটি ভাবে বর্তমান সময়ে এটা ৫ টাকায় দশ পিস কিনতে পাওয়া যায়। তাই জিভে ঘা হয়ে থাকলে আপনারা ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।