আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং শরীরের যত্ন নিতে ভুলবেন না। চলুন আজকে দাঁতের মাড়ি র ব্যথা সম্পর্কে কিছু কথা আপনার সাথে আলোচনা করা যায়। চলুন আজকের আলোচনার মূল পর্যায়ে যাওয়া যাক।
দাঁতের ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা। দাঁতের ব্যথা কে অনেকে গুরুত্ব দেয় না। শরীরের অন্য কোন জায়গায় সমস্যা হলে আমরা যতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকি দাঁতের ক্ষেত্রে কি আমরা অতটা গুরুত্ব দিই,?কখনোই না দাঁতের সমস্যাগুলোকে আমরা সব সময় তুচ্ছ বলে মনে করি। কিন্তু দাঁতের এই ব্যথাগুলোর তৎক্ষণা চিকিৎসা না করে পরবর্তীতে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথম থেকে চিকিৎসা নিলে এরকম সমস্যা হয় না। তাই আপনাদের যাদের দাঁতে ব্যথা হয়, তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই বেশি কার্যকরী হবে। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন, যে সঠিক সময়ে দাঁতের চিকিৎসা না করলে কত সমস্যা হতে পারে।
আমাদের শরীরে যখন আমরা ব্যথা অনুভব করি তখন আমরা চাই যে কিভাবে সেই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবো। আর শরীরের অন্য অঙ্গে ব্যথা হলে তাও সেটা সহ্য করা যায় কিন্তু দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে আমরা আমাদের পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারি না। শরীরের অন্য অঙ্গ পতঙ্গের সাথে দাঁতের চিকিৎসা সম্পন্ন আলাদা। এর জন্য আলাদা ডাক্তার রয়েছে আপনি সবসময় দাঁতের যে কোন সমস্যায় দন্ত চিকিৎসককেই দেখাবেন।
ব্যক্তির সৌন্দর্যের অনেকখানি নির্ভর করে সুন্দর হাসির ওপর। আর সুন্দর হাসি নির্ভর করে সুস্থ ও সুন্দর দাঁতের ওপর। সৌন্দর্য ছাড়া শারীরিক সুস্থতার জন্যও দরকার সুস্থ দাঁত। শুধু সঠিক সময়ের সঠিক যত্ন ও পরিচর্যাই পারে সুস্থ দাঁতের নিশ্চয়তা দিতে। সময়মতো দাঁতের যত্ন নেবেন না, আর বলবেন, দাঁত হলুদ হয়ে গেছে, মাড়ি ফুলে গেছে, দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা কিংবা বয়স হয়েছে! দাঁত তো পড়বেই। মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে দাঁত নড়ার বা পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক সঠিক পরিচর্যার সঙ্গে। সঠিক পরিচর্যার অভাবে দাঁতের স্বাস্থ্য সমস্যা প্রাথমিকভাবে হালকা ব্যথা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে তীব্র ব্যথায় রূপ নেয়।
খাবারের পর দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা জমে। বিশেষ করে আঠালো, শর্করা ও মিষ্টিজাতীয় খাবার হলে তো কথাই নেই। এসব খাদ্যকণা মুখের মধ্যে থাকা নানা ব্যাকটেরিয়া বা ওরাল ফ্লোরার আবাস ও বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত স্থান। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই খাদ্যকণায় পচন ধরে এবং লেকটিক অ্যাসিড নামের একধরনের অ্যাসিড নির্গত হয়। এ সময় মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি অ্যাসিড ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেল এবং আরও পরে ডেন্টিনকে ক্ষয় করে, যাকে আমরা বলি দাঁতক্ষয় বা ডেন্টালক্যারিজ। এভাবে দাঁত ক্ষয় হয়ে দাঁতের মধ্যে গর্ত বা ক্যাভিটি তৈরি হয়, যেখানে সহজেই ময়লা ও খাদ্যকণা জমে সংক্রমণ ও ক্ষয় আরও দ্রুত হয়। এ ক্ষয়প্রক্রিয়া যখন দাঁতের মজ্জা বা পাল্প পর্যন্ত পৌঁছায়, তখন দাঁতের পাল্পে একধরনের প্রদাহ তৈরি হয় এবং তীব্র ব্যথা ও শিরশির অনুভূতি শুরু হয়।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে কি ঔষধ খাবেন?দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে আমরা সাধারণত ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকি। এটা একদমই করবেন না। কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারকে দেখাতে হবে। শরীরের অন্য অঙ্গে ব্যথার জন্য যে ঔষধ কি আপনি সচরাচর খেয়ে থাকেন। দাঁতের মাড়ির ব্যথার জন্য কিন্তু সেই ঔষধ খেলে চলবে না।দাঁতের মাড়ির ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন। দাঁতে ব্যথা অনুভব করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডেন্টিস্টের কাছে যাবেন।
দাঁতের মাটিতে ব্যথা হওয়া। স্বল্প ব্যথা থেকে গুরুতর ব্যথা তে রূপান্তরিত। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এই লক্ষণ গুলোর কারনে দাঁ ত গুরু তরো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শেষ পর্যায়ে দাঁতের ব্যথা হতে হতে দাঁত পড়ে যেতে পারে। তাই সাবধান। দাঁতের মাড়িতে যদি হালকা ব্যথা অনুভব হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন। দাঁতের ব্যথার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ সেবন করা ভালো।