মেয়েদের মাথায় এক ধরনের ছোট ছোট পোকা বাসা বাঁধে এবং চুলের ক্ষতি করে। একেই বলা হয় উকুন। অনেক মেয়েরা অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেও উকুন থেকে মুক্তি পায় না। আজকে আমরা উকুন থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনার মাথায় যদি উকুন হয়ে থাকে এবং আপনি যদি এর থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই সম্পন্ন ফলো করবেন। যে সকল মেয়েদের মাথায় উকুন রয়েছে
তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি উপকৃত হবে। মাথায় উকুন থাকা একটি সত্যি লজ্জার বিষয়। তাই যে সকল মহিলাদের মাথায় উকুন নামক পোকার উপদ্রব বেশি তারা অবশ্যই এই উকুন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখবেন।আপনি যদি প্রতিদিন আপনার মাথা পরিষ্কার করেন ,চুলের শ্যাম্পু করেন তাহলে আপনার মাথায় কোনদিনই উকুন হবে না। উকুন থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচাইতে কার্যকারী উপায় হল মাথার চুলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং প্রতিদিন শ্যাম্পু করে গোসল করতে হবে। কারণ মাথার চুল যদি পরিষ্কার থাকে তাহলে মাথায় এসব উকুন বাসা বাঁধতে পারবে না।
উকুন হলো একটি ছোট আকারের জীব। এটি একটি পরভোজী কিট। মানুষের মাথায় এরা খুব সহজেই বংশ বিস্তার করে এবং মানুষের রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এরা মাথার চুলে বসবাস করে। উকুনের ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায় এবং মাথায় বিভিন্ন ধরনের চুলকানি ফুসকুড়ি হতে পারে। তাই মাথায় উকুন হওয়া মোটেও ভালো না। অনেক সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও মাথায় উকুন বাসা বাঁধে। এর অন্যতম কারণ হলো আপনি প্রতিদিন কার সঙ্গে মেলামেশা করেন অথবা কোন ধরনের
পরিবেশে আপনার যাতায়াত আছে। বিশেষ করে স্কুলের মেয়েদের মাথায় উকুন বেশি হয় কারণ এরা প্রতিদিন স্কুলে যায় এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করে। উকুন এক জনের মাথা থেকে অন্য জনের মাথায় খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। একদিনের মধ্যে একটি উকুন খুব তাড়াতাড়ি নিজের বংশবিস্তার ঘটায়। আপনি যদি উকুন থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বিশেষ করে কম বয়সী মেয়ে অর্থাৎ স্কুল-কলেজের মেয়েদের মাথায় বেশি উকুনের উপদ্রব লক্ষণীয়। কারণ এরা প্রতিনিয়ত বাইরে যায়। দূষণের কারণে এদের মাথার চুল অপরিষ্কার হয়ে যায়। লেখাপড়ায় ব্যস্ততায় এরা অনেক সময় চুল পরিষ্কার করতে ভুলে যায়। এজন্যই কম বয়সী মেয়েদের মাথায় উকুনের উপদ্রব বেশি। এছাড়াও ট্রেনে-বাসে নিয়মিত যাতায়াত করলেও অনেক সময়ে চুলে উকুনের সমস্যা আসতে পারে।
অন্য কোনও ব্যক্তির ব্যবহৃত চিরুণি ও অপরিষ্কার ব্রাশে চুল আঁচড়ালে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। অন্যের তোয়ালে দিয়ে চুল মুছলেও সেখান থেকে উকুন আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার (Hair Care) রাখা উচিত।প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে নিজের মাথার চুল। এবার আমরা উকুন দূর করার জন্য প্রাকৃতিক অর্থাৎ ঘরোয়া কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সপ্তাহে সাত দিন যদি আপনি এই ঘরোয়া পদ্ধতি ট্রাই করে দেখেন তাহলে নিশ্চয়ই ফলাফল পাবেন। তাহলে চলুন উকুন দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবার আমরা জেনে নেব।
নিম পাতা উকুন দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। নিম পাতা বেটে মাথায় লাগাতে হবে প্রতিদিন। পরিষ্কার চুলে একদম মিহি করে বাটা নিমপাতা ভালোভাবে লাগাতে হবে। তারপর একটি স্কাব অথবা ওড়না দিয়ে চুল ভালোভাবে বেঁধে ঢেকে রাখতে হবে। তারপর চুল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ওভাবেই থাকতে হবে।
তারপর চুল শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সাত দিন যদি নিমপাতা লাগিয়ে চলে শ্যাম্পু করা যায় তাহলে উকুন দূর হয়ে যায়। এছাড়াও অনেক উপন্যাসক শ্যাম্পু বাজারে রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করেও উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি রোজ আমাদের এই ঘরোয়া নিমপাতার পদ্ধতি কি ট্রাই করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন এটি খুবই একটি কার্যকরী টোটকা।