দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ

বয়সন্ধিকাল থেকে ছেলেদের দাড়ি গোঁফ হালকা হালকা গজানো শুরু হয়। কিন্তু কোন কোন ছেলের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল পার হবার পরেও দাড়ি-গোঁফ গজানোর লক্ষণ প্রকাশ পায় না।এই সমস্যা মূলত হরমোন এর তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। শরীরের সঠিক মাথায় হরমোন নিঃসৃত না হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ছেলেদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার লক্ষ্য করা যায়। তবে এতে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই কারো ক্ষেত্রে দেরি এবং কারো ক্ষেত্রে কম হয়ে থাকে। শারীরিক গঠনের ওপর ভিত্তি করেও এটা হয়ে থাকে।

তাই যেসব ছেলেদের দাড়ি গোঁফ উঠতে দেরি হয় তাদের পরিবার দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। আপনার ছেলের যদি এরকম কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। হরমোন জনিত বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায় যেগুলো সেবন করলে এইসব সাধারণ সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে।

আপনার কি কাঙ্খিত বয়স চলে যাচ্ছে কিন্তু দাড়ি গোঁফ উঠছে না?আপনার ছেলের কি দাড়ি-গোঁফ উঠতে দেরি হচ্ছে এই নিয়ে কি আপনি দুশ্চিন্তায় আছেন?
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব যে কোন ধরনের ঔষধ সেবন করলে ছেলেদের দাড়ি গভ জলদি গজায় এবং হরমোনজনিত সমস্যা দূর হয়। এবং কি কারণে ছেলেদের দাড়ি খুব করতে দেরি হয়।তাই এরকম সমস্যায় যদি কেউ পড়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য কার্যকর হবে।

একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর শিশুদের দাড়ি গোঁফ ওঠে। এবং তারা ছেলে শিশু থেকে একজন পুরুষে পরিণত হয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে কি হয় যে ১৪, ১৫ বছর বয়সেও দাড়ি গোঁফ গজানা শুরু হয় না। ১৪ ,১৫ বছর বয়সের পর যদি দাড়ি গজ না গজায় তাহলে সেটা স্বাভাবিক কিন্তু অনেক ছেলের ক্ষেত্রে ১৮-১৯ বছর বয়সেও দাড়ি-গোঁফ গোজানা শুরু হয় না। এটা এক ধরনের হরমোন জনিত সমস্যা।

বয়সন্ধিকালে শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। শারীরিক হরমোন এর তারতম্য ঘটলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন কোন কোন ছেলের ক্ষেত্রে এসব হরমোন এর মাত্রা বেশি। তাদের খুব তাড়াতাড়ি দাড়ি গোঁফ উঠে যায়। অনেক অনেক ছেলের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে ১১ বছর এবং 12 বছর বয়সের পরেই দাড়ি গোঁফ উঠতে শুরু করে।

একটি মানব শিশু জন্মের পর থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু থাকে তারপর বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হওয়ার পর তার মধ্যে পুরুষত্বের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি হয়ে থাকে। শারীরিকভিদের সাথে সাথে শরীরের অভ্যন্তরে কিছু হরমোন এর সৃষ্টি হয় যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন হয়ে থাকে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে এবং নারীদের ক্ষেত্রে একই কারণে হরমোনের প্রভাবে এ ধরনের প্রভাব দেখা দেয়। একজন শিশু শিশুকাল হতে বয়সন্ধিকালে যখন পা দেয় তখন তার দাড়ি গোঁফ উঠা শুরু হয়। এটা একজন শিশুর পুরুষত্বের লক্ষণ। একজন মানব শিশু থেকে পরিপূর্ণ পুরুষ তৈরি হওয়ার কার্যক্রম চলে বয়সন্ধিকাল থেকে। নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায় যেমন তাদের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে এবং বিভিন্ন ধরনের হরমোন পরিবর্তন হয়।

সাধারণত বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ পুরুষলোকের দাড়ি গজায়। একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ বছর অর্থাৎ এই বয়সেই পুরুষের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যার একটি হচ্ছে দাড়ি-গোঁফ ওঠা । এক্ষেত্রে পুরুষ হরমোন টেস্টস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ।

পুরুষদের বয়োঃসন্ধিকালে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনের উদ্দীপনার কারণে দাড়ি গজায় । ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন টেস্টোস্টেরন হতে নিঃসৃত হয়, যার মাত্রা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন হয়। ফলে গ্রীষ্মকালে দাড়ি দ্রুত বাড়ে ।এই টেস্টোস্টেরন হরমোন সমস্যার কারণে আবার অনেকের প্রকৃত বয়সের পরে দাড়ি গোঁফ গজায় । বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পারিবারিক বা জন্মগত কারণেও দাড়ি-গোঁফ কারো কারো কম বা দেরিতে ওঠে । তবে তা যদি অনেক বেশি দেরি হয়ে যায় তাহলে এটিকে শারীরিক সমস্যা বলে অভিহিত করা যায়। এমতাবস্থায় অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Leave a Comment