আপনার যদি প্রসাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা কমানোর জন্য কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করলে ভালো হবে তা জানতে এসে ভালো করেছেন। কারণ প্রসাবে জ্বালাপোড়া করলে সেটা আমাদের অনেক অস্বস্তির কারণ হয় এবং এই ক্ষেত্রে ভোগান্তিটা আরো বেশি বলে মনে করে থাকি। সাধারণত প্রসাবের রাস্তায় যদি কোন ধরনের ইনফেকশন হয়ে থাকে সেটার কারণে এই জ্বালা পোড়া হতে পারে এবং অনেক সময় পানি কম খাওয়ার কারণে কিন্তু এমন ধরনের সমস্যা হয়। তবে এই সমস্যা যদি ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেলে আশা করি সমাধান খুব দ্রুত পাবেন।
আমাদের সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা তিনবেলা ভাত খাবার সময় অথবা যখন ভারী খাবার খাবে তখনই একমাত্র পানি পান করে থাকেন। কিন্তু খাবার গ্রহণের পরেও খাবার কে হজম করার জন্য পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা যে কতটা অপারেশন তা কিন্তু অনেকেও বুঝে সেটা মেনে চলেন না। আর সেই জন্য পরবর্তী সময় যখন অধিক গরম পরে অথবা দিন যেমনি যাক পানি কম খাওয়ার কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া আসতেই পারে।
তাই এরকম পরিস্থিতিতে যদি এমন সমস্যার বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পারেন অথবা পানি কম খাওয়ার কারণে যদি এই সমস্যা গুলো হতে পারে বলে মনে করে থাকেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যদি পানি পান করার প্রতি আগ্রহ না থাকে তাহলে অন্ততপক্ষে শরবত বানিয়েও পানি পান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। যদি আপনি লেবু পানি খেতে পারেন তাহলে সেটা খুব ভালো হয় এবং এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার পানি শূন্য থেকে দূর করবে। তাই লেবু পানি আপনারা তিনবেলা খাবেন এবং খাবার গ্রহণের সময় এই পানি পান করার প্রতি আগ্রহ ভাব থাকতে হবে।
আপনি যখন পানি পান করতে চাইবেন না অথবা লেবু পানি খেতে চাইবেন না তখন অন্যান্য ফলের অর্গানিক জুস খেতে পারেন। যদি অনেক বেশি জ্বালাপোড়া হয় তাহলে সারাদিনে দুই থেকে তিনটি ডাব খেলে কিন্তু আপনাদের এই জ্বালাপোড়া খুব দ্রুত কমে যাবে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাদেরকে এ বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকলেও যদি কোন ইনফেকশনের কারণে অথবা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে এটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অথবা অনেকেই কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে এই জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আসলে কি দিচ্ছে তা কিন্তু আমরা সাধারণ রোগীরা জানিনা। আপনি যদি কোন চিকিৎসকের দোকানে গিয়ে এই সমস্যার কথা খুলে বলেন তাহলে হয়তো তারা একটা খোলা পাত্রে আপনাদের তরল ওষুধ অথবা ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ প্রদান করবেন। তাই প্রসাবে জ্বালাপোড়া করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটা না জেনে ডাক্তার রোগীর বয়স এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ প্রদান করে বলে তা এখানে প্রদান করা গেল না।
প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে উপরের যে পানি পানের বিষয়টা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আপনারা খুব ভালোভাবে গুরুত্ব দিয়ে মানতে পারেন। যদি ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাসের সংক্রমনেও এটা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু অধিক পরিমাণে পানি পান করার ফলে আপনাদের প্রসাব ঘন ঘন হবে। আর প্রসাব যখন ঘনঘন হবে তখন যাবতীয় ময়লা অথবা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া গুলো ধুয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। তাই অবশ্যই আপনারা বেশি বেশি করে পানি পান করবেন এবং সমস্যা জটিল হয়ে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারেন।
প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়
আমরা ইতোমধ্যে উপরের দিকে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যেহেতু খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমাদের খাবার হজম করতে হয় এবং বেতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের ভেতরের যাবতীয় ময়লা পরিশোধিত হয়ে প্রসাবের মাধ্যমে এবং মলত্যাগের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে সেহেতু আমাদের অবশ্যই সকল ক্ষেত্রে পানি পানের গুরুত্ব বুঝতে হবে। আর যখন আপনারা এ বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন অথবা পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন তখন এক্ষেত্রে আর কখনোই কার্পণ্য করবেন না।