কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ

একটু বয়স হয়ে গেলেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকেই ভুগে থাকেন। এটা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য একটা জটিল সমস্যা এবং এই সমস্যার কারণে পেটের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আস্তে আস্তে বড় ধরনের অসুখ সৃষ্টি হতে পারে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে আমাদের আশা করি কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। সেই সাথে যে সকল খাবার গ্রহণ করছে এগুলো গ্রহণ করার পাশাপাশি আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের খাবার ঠিকঠাক মতো হজম হবে এবং সেখান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে এবং বৃদ্ধ বয়সের মানুষের এই সমস্যাগুলো দৈনন্দিন জীবনে বেশি হয়ে থাকে। তবে অনেক কম বয়সী মানুষেরও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকতে পারে যদি সেই ব্যক্তি সঠিক মতো শাকসবজি না খাই অথবা অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবারের পরে অভ্যস্ত হয়ে থাকে। তবে আমাদের মানুষ হিসেবে বর্তমান সময়ে খুব একটা কমন বদভ্যাস হয়ে গিয়েছে যে কোন কিছু হলে আমরা সরাসরি ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই এবং সেখান থেকে চিকিৎসা পাওয়ার চেষ্টা করি।

সব সময় ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে এবং ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরবর্তীতে আমরাই যাতে না ভুগতে চাই তার জন্য ঘরোয়া উপায়ে অথবা প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে সারানোর চেষ্টা করব। তবে মানুষের ভেতরে ধৈর্য কম থাকার কারণে যেকোনো ধরনের অসুখ থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। তাই আপনারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সরাসরি ওষুধ গ্রহণ করার পরিবর্তে সর্ব প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি প্রত্যেকদিন খাবারের পর রাতের বেলায় ইসুবগুলের ভুষি খেতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে।

ইসুব গুলের সঙ্গে যদি তোকমা দানা অথবা সোনা পাতার গোড়া একত্রে খেতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হয়। শুধু এ সকল ওষুধ বা পদ্ধতি হবে না বরং তার সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভাজাপোড়া খাবারের চাইতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং খাবার যেতে হজম হয় তার জন্য পানি পান করতে হবে। ধুমপান অথবা অ্যালকোহলের বাজে অভ্যাস থাকলে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে যাতে করে এই সমস্যাগুলোর ভিতর দিয়ে আমরা না যাই। প্রাথমিকভাবে এ সকল পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন এবং পরবর্তীতে যদি কোন সমাধান না পান তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিলেই ভালো হয়ে যাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলব যে বর্তমান সময়ে যে সকল শাকসবজি মাটির উপরে ফলে সেগুলো খেতে হবে। এছাড়াও খাবার গ্রহণ বা রান্না করার ক্ষেত্রে আমরা যদি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল খেতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। শাকসবজি গ্রহণ করার পাশাপাশি পাকা কলা অথবা হলুদ ফল খেতে পারি। তাছাড়া উপরের উল্লেখিত ইসবগুলের ভুষি যদি আমরা খাই অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খায় তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের খাবার ঠিকঠাক মত হচ্ছে এবং এ ধরনের সমস্যার ভেতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি না।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবজি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবজির নাম যদি জানতে চান তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আপনারা খেতে পারেন। তবে সবজির ভেতরে কাঁচা কলাটা বাদ দিতে হবে যাতে করে সেটার মাধ্যমে আপনাদের এই সমস্যা না হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রত্যেকটি সবজি খেলেই আশা করি কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদের যে সকল সবজি খেলে এলার্জিজনিত সমস্যা হয় সেগুলো বাদ দেওয়াটাই ভালো।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম বাংলাদেশ
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে যখন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার নাম জানতে চাইবেন তখন সেই সিরাপের নাম জানিয়ে দিতে পারলে হয়তো সেটা কিনে নিয়ে খেতে পারবেন। কিন্তু সিরাপ এর উপর নির্ভরশীল না হয় আপনারা যে কোন বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করাতে পারেন এবং তাতে করে আশা করি ফলাফল পেয়ে যাবেন। তবে খুব দ্রুত যদি সমস্যা বোধ করেন এবং তা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলেই তারা আপনাদেরকে সঠিক ঔষধ বয়স অনুযায়ী প্রদান করতে পারবেন।

Leave a Comment