দাঁতের মাড়ি ব্যথা করা, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া এইসব অসুবিধা ছোট আকার থেকে বড় আকার ধারণ করে। এক সময় এই সমস্যায় আমিও পড়েছিলাম এবং প্রথমে গুরুত্ব না দিয়ে পড়ে সেটা বড় আকার ধারণ করে। দাঁতের মাড়ি ব্যথার ফলে শরীরে জ্বর চলে আসতো। খাবার খাওয়া যেত না। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম এবং অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন দাঁতের সমস্যা অনেক কমে গেছে। কিন্তু আমি যদি প্রথম থেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিংবা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতাম তাহলে হয়তো এত কষ্ট পেতে হতো না।
তাই প্রিয় বন্ধুগণ আপনাদের যেন আমার মত কষ্ট না হয় এবং আমার মত ভুল যেন আপনারা না করেন সেজন্যই সচেতন হয়ে যান। আপনাদের যারা অল্প মাড়ির ব্যথায় ভুগছেন তারা এই অল্প ব্যথা কে তুচ্ছ না মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে এবং ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে এবং দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়।দাঁত বা দাঁতের মাড়ি ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে দাঁতের ক্ষয়। দাঁতের ক্ষয় যদি চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকে, তবে সেখানে ফোড়া তৈরী হতে পারে। এটি হলো আপনার দাঁতের কাছে বা দাঁতের ভিতরের পাল্পে সংক্রমণ। আপনার যদি মনে হয়, আপনার দাঁতে বা মাড়িতে ফোড়া আছে, তাহলে দ্রুততার সাথে দন্তচিকিৎসকের কাছে যান।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া যায় সেটা যারা জানতে চান তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। দাঁতের মাড়ি ব্যথা করলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। কিন্তু দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ব্যথা নাশক ঔষধ রয়েছে। যদিও ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঠিক না। তবুও দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়। এবং ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেও কিন্তু আমরা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি। যাদের দাঁত ব্যথা করে তারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কার্যকরী ঔষধের নাম জেনে নিতে পারবে।
ব্যথার ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না। ব্যথার ওষুধ খেলে তার সঙ্গে গ্যাসের ঔষধ খেতে হয়। হাই পাওয়ারের ব্যথার ওষুধ খেলে যকৃতের এবং বৃত্তের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা যত সম্ভব ব্যাথার ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করব। দাঁতের জন্য এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ সেবন করলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। যাদের দাঁতে হালকা হালকা ব্যথা করে তারা কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে সেই পানি পান করতে পারে অথবা সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলেও অনেক আরাম পাওয়া যাবে। নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে এবং আপনার টুথব্রাশ যেন আপনার দাঁতের জন্য উপকারী হয় সেই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
যাদের দাঁত ব্যথা করে তারাই বোঝে এর যন্ত্রণা। দাঁত ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হলো ক্যালসিয়ামের অভাব। দাঁতের মাড়ি ব্যথা করলে খাবার চিবানো যায় না। মাংস জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। খাবার চিবোতে না পারার যে কষ্ট সে যার দাঁতের ব্যথা সে বোঝে।
দাঁতে ব্যথা হলে কিছুই ভালো লাগেনা ।তাই ব্যথা যাতে কমে যায় সেজন্য আমরা ব্যথার ঔষধ সেবন করে থাকি। ব্যথার ঔষধ সেবন করা যদিও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিন্তু ব্যথা পেতে মুক্তি পেতে কিছু ব্যথার ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।ফ্লুব্লাস্ট ট্যাবলেট (Flublast Tablet), হালকা অ্যালেনেজিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ, জ্বরের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্যথা রিলিভারে দ্বারা হয়ে থাকে । এটি ব্যাথা, মাথাব্যাথা, আর্থথ্রিটিস এবং একটি দাঁত ব্যাথা করার ক্ষেত্রে ব্যথা উপশম করতে ব্যবহৃত হয় ।
এটি হল মাড়ির সংক্রমণজনিত রোগ। সঠিক যত্নের অভাবে দাঁতের উপর প্লাকের একটি স্তর পড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এটি থাকার ফলে মাড়িতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ধূমপান, অপুষ্টি, ডায়াবিটিস, দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহার— এমন কয়েকটি কারণ এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি দাঁতের যত্ন নিন। নিয়মিত চেকআপ করলে দাঁতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে না।