আঘাত জনিত কারণে কারো যদি পায়ের ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে সেটার জন্য আপনারা অবশ্যই এক্সরে করবেন এবং পায়ের কি কন্ডিশন সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করবেন। কারণ আঘাত লাগার কারণে পায়ের কোন অংশ ফেটে যেতে পারে অথবা সেখানকার হাড় সরে যেতে পারে। আর এখান থেকে যদি আপনার হাড় ভেঙে যায় অথবা হাড়ের কোনো ক্ষতি হয় তাহলে প্রচন্ড ব্যথা হবে যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না। আর যদি সেরকম সমস্যা না হয় এবং সেটা যদি শুধু লেগে থাকে তাহলে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা যারা পড়েছেন তারা হয়তো জানতে চাইছেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যথা কমানোর ওষুধের নাম জেনে নিতে পারলে সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং খুব দ্রুত চিকিৎসা নিতে পারবেন। কিন্তু প্রত্যেকটা বিষয়েরই কোন না কোন নিয়ম অথবা ধারা রয়েছে। আপনি যদি একজন ডাক্তারের কাছে যান এবং এই সমস্যার কথা খুলে বলেন তাহলে তিনি হয়তো আপনাদের থেকে বর্ণনা শুনবেন কিন্তু পায়ের যে কি কন্ডিশন সেটা ভেতরের দিকে সমস্যা হওয়ার কারণে তিনি বুঝতে পারবেন না। তাই এরকম পরিস্থিতিতে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত যিনি আপনাদেরকে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তুলবেন।
প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সময়ের যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মাধ্যমে আমরা সেবা পাচ্ছি তাতে করে আপনার পায়ের ভেতরে কি হয়েছে তা অত্যাধুনিক মেশিন দ্বারা ছবি তুলে দেখানো হবে। আর সেই ভিত্তিতে ডাক্তার আপনাকে ক্যালসিয়ামের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ থেকে শুরু করে আরো ভিটামিন সংক্রান্ত কিছু ওষুধ প্রদান করতে পারে। তবে আপনার সমস্যা কি রকম সেটার উপরে নির্ভর করেও কিন্তু আপনাকে ওষুধ প্রদান করবে এবং এই জন্যই এক্সরে করা হয়ে থাকে।
তাই পায়ের ব্যথার সমস্যা নিয়ে যারা ভুগছেন তারা এ ব্যাপারে ওষুধ পেতে চাইলে আমরা কখনোই সাজেস্ট করব না। আপনি হয়তো কোন দোকানে গিয়ে ব্যথার ওষুধ চেয়ে খেতে পারেন এবং সেই ক্ষেত্রে আপনার ব্যথা সাময়িকভাবে উপশম হয়ে থাকলেও সেই ব্যথা আবার জাগ্রত হবে। তাই এভাবে চিকিৎসা না নিয়ে একটা স্থায়ী চিকিৎসা নিন যেটার মাধ্যমে আপনার এই ব্যথা আস্তে আস্তে কমে যাবে এবং আপনি আরাম পাবেন। তাই পায়ের ব্যথার সমস্যার জন্য আপনারা নিজেরাই ডাক্তারি না করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং এই ব্যথা যদি দিনের পর দিন দীর্ঘায়িত হতে থাকে তাহলে সেটা আপনার জন্যই ক্ষতিকর ভূমিকা রাখবে।
পায়ের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আর যদি কোন ধরনের আঘাত জনিত কারণে পায়ের ব্যথা না হয়ে থাকে এবং আপনার স্বাস্থ্য যদি মোটা হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনার এই পায়ের ব্যথার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের কারণে পায়ের দিকে রস জমে এবং সেই পা ফেলতে খুবই অসুবিধা হয়। আবার অতিরিক্ত ওজনের কারণে সম্পূর্ণ শরীরের ভার পায়ের উপর এসে পরে বলে পা ব্যথা হতে পারে।
তাই এ ধরনের বিষয়ের ক্ষেত্রে আপনারা যদি ঘরোয়া চিকিৎসা পেতে চান তাহলে হয়তো সেখানে বিভিন্ন ধরনের অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ওজন বেশি কারণে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকলে ওজন কমানোটা জরুরি হয়ে ওঠে। তাই আপনার পায়ের সমস্যা কেন হচ্ছে এবং কি কারনে হচ্ছে এ বিষয়গুলো আগে নির্ণয় করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। আর কারণ জেনে নিয়ে এবং রোগের অবস্থান জেনে নিয়ে যদি চিকিৎসা প্রদান করা হয় তাহলে সেটা একটা রোগীর জন্য খুবই ভালো হয়।
পায়ের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম
পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য যারা সবসময় জরতা নিয়ে বসে থাকেন তারা মাঝেমধ্যে হাঁটা চলাফেরা করুন। হাঁটা চলাফেরা করতে কষ্ট হয়ে থাকলেও অথবা এই ক্ষেত্রে আপনার যদি থাই ব্যথাও করে তারপরও একটু চলাফেরা করার চেষ্টা করতে হবে। আর এভাবে যদি আপনি আস্তে আস্তে ওজন কমানোর দিকে যেতে পারে অথবা আপনার যদি শারীরিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে ব্যথা উপশম হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আপনি আরাম পাবেন। তাই প্রত্যেক দিনের জীবনে আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে।