আমরা জানি যে আমাদের প্রতিটি সুস্থ মানুষের জন্য সুস্থ মানুষের শরীরে এই পাইলসের উপস্থিতি রয়েছে। পাইলসের উপস্থিতি বলতে সাধারণত যে বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে তা হল পাইলস মলদ্বারের একটি অংশ। মালদারের যে অংশ দিয়ে সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরের বাতাস আটকে রাখে এবং টয়লেটের বেগ আসলে সেটি হওয়ার পক্ষের জন্য বা কিছুক্ষণের জন্য ধরে রাখতে সমর্থ হয় তাকে ঐ অংশটুকু এর নাম হল পাইলস। পাইলসের অটোফাদ নরম মাংসপিণ্ড এবং এখানে বিভিন্ন পরিমাণে বা প্রচুর পরিমাণে রক্তের স্রোত আছে। এ কারণে অল্পতেই এবং অল্প আঘাতে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে।
রক্তক্ষরণ যদি হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণে বা প্রচন্ড পরিমাণে এখানে ব্যথাও হতে পারে। আর এই কারণে ব্যথায় কাতর এবং যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। তবে আমাদের উচিত হবে যে যে কোন চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে আমাদেরকে অবশ্যই এই রোগটি প্রথম থেকেই ভালো করে দিতে হবে। পাইলসের ব্যথা অনেকটাই তীব্র ব্যথা এবং যেহেতু এটি মলদ্বারে হয়ে থাকে এই কারণে মলদ্বারের ব্যথা অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক ব্যথাতেই পরিণত হয়। এই যন্ত্রণাদায়ক ব্যথার থেকে বা এই যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে হয় বা গ্রহণ করতে হয়। তাই আজকে আপনাদেরকে দেখাবো ব্যথা কমানোর ঔষধ কোনটি।
পাইলস এর ব্যাথা কমানোর ঔষধ
পাইলস সাধারণত মলদ্বারের একটি অংশ এবং এই অংশটি যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখনই তাকে বলা হয় যে পাইলসের রোগ হয়েছে। তাই পাইলসের রোগ থেকে মুক্তির জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। এ বিভিন্ন ধরনের কাব্য কুলি থেকে রোধ পাওয়ার জন্য বা আমরা যদি পাইলসের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি বা পেতে চাই তাহলে অবশ্যই ঔষধ এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আর একটি কাজ রয়েছে তা হল যে কোন প্রকারে আমরা যেন পাইলস থেকে মুক্ত হতে পারি। আজ থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে হবে সবার পূর্বে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের যে কাজগুলো করতে হবে তা
হলো প্রচুর পরিমাণে ফলমূল এবং সবজি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ যে খাদ্য গুলো খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় সে খাদ্যগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলেই দেখবেন যে আপনি ফাইল থেকে মুক্ত হতে পারেন। এছাড়াও আরো কেউ কিছু কাজ করতে হবে তা হল পাইলস যদি সারিয়ে তুলতে হয় তাহলে আমাদের কিছু কিছু বিষয় অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারি। পাইলসের চিকিৎসার জন্য সবচাইতে কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা।
এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন তারা যেভাবে বুঝবেন অর্থাৎ কোন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে বেশি ভালো হয় সেই পদ্ধতি গুলো তারা অবলম্বন করবেন বলে আশা করি। এছাড়াও তারা যদি মনে করেন অস্ত্র পাচার করতে হবে তাও তারা করতে পারেন। তারপরেও আমাদের দেখতে হবে পাইলসের ব্যথার জন্য আমরা কোন ধরনের ঔষধ গুলি সেবন করতে পারি। ব্যথা কমানোর জন্য আমরা ঘরোয়া ভাবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি আর তা হল-
উইচ হেজেল:উইচ হেজেলের রোগ প্রতিরোধের গুন অর্শ্বরোগ কমাতে সাহায্য করে। অর্শ্বরোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত প্রভাবিত জায়গায় উইচ হেজেলের জেল লাগান। লেবুর রস: লেবুর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই অবস্থার চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। এটি সরাসরি প্রভাবিত এলাকায় প্রয়োগ করুন কিংবা আদা এবং মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খান। এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার কারণে আপনার এক দিকে তাই থেকে মুক্তি পাবেন এবং পাইলসের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আপনারা এই ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন বলে মনে করি।