দাঁত শির শির করা হল দাঁতের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ। দাঁতের যেকোনো ধরনের সমস্যা গুরুতর রূপ নেওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কিন্তু দাঁত শিরশির করে। ঠান্ডা এবং গরম পানি খেতে না পারা হলো দাঁতের সেন্সিটিভিটি লক্ষণ। আপনি যদি ঠান্ডা বা গরম পানি পান করলে দাঁত শির শির করে তাহলে বুঝতে হবে আপনার দাঁত সেনসিটিভ।
আপনার দাঁত শির শির করে?দাঁত শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো জেনে নিতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়বেন। দাঁত শেয়ারের জন্য কোন ঔষধ সেবন না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। দাঁত শিরশির করলে আপনি যদি দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ওষুধ সেবন করতে পারেন।
যারা দাঁত শিরশিরানি সমস্যায় ভুগছেন এবং দাঁত শিরশির করার জন্য ঔষধ সেবন করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। আপনাদের দাঁত যদি শিরশির করে তাহলে তার জন্য কোন ঔষধ সেবন না করে ঘরোয়া ভাবেও কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। দাঁত শিরশিরানির জন্য ঔষধ সেবন করার থেকে ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করায় উত্তম। দাঁত শিরশিরানির মাত্রা যদি তীব্র হয়ে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন।
কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি অল্প দিনের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পারবেন। তাহলে চলুন যারা দাঁত শিরশির করার সমস্যায় ভুগছেন এবং যাদের দাঁত শিরশির করে তাদের জন্য ঘরোয়া কিছু টিপস রয়েছে। ঘরোয়া এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে কিন্তু আমরা দাঁত শিরশির করা থেকে চিরকালের মুক্তি পেয়ে যেতে পারি।
রোজ অন্তত দু’বার ঈষদুষ্ণ নুন জল গার্গল বা কুলকুচি করলে দাঁত শিরশির করা থেকে আরাম মিলতে পারে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে আধা চামচ নুন মিশিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড সেই জল মুখে রাখতে হবে। হলুদ: এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চামচ সর্ষের তেল ও আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁত শিরশির করার সমস্যা।
দাঁত শিরশিরানি থেকে মুক্তি পেতে সবচাইতে কার্যকরী টোটকা হলো হালকা অর্থাৎ কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করা। তারপর আপনি যদি খুব বেশি ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তার থেকেও কিন্তু আপনার দাঁতের শিরশিরানী বেড়ে যেতে পারে। তাই যাদের দাঁত শিরশির করে তারা আইসক্রিম জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এনামেল আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্ত হাড়, যা সহজেই ব্যাকটেরিয়াল এসিড দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে, এনামেল ক্ষয় হলে ডেন্টিন শক্তি বের হয়ে যায় আর তখন দাঁত শিরশির করে। যখন দন্তমজ্জা বের হয়ে যায় তখন দাঁতে তীব্র ব্যথা হয়। দাঁত শিরশির করা সাময়িক সময়ের জন্য হতে পারে অথবা দীর্ঘ সময়ের জন্যও হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি খেলে দাঁত শির শির করে আবার কারো ক্ষেত্রে গরম পানি খেলে দাঁত শিরশির করে।
ঠান্ডা এবং গরম পানি খেলে যাদের দাঁত শিরশির করে তাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। কমজোর এবং অপুষ্টিকর দাঁত শিরশির করে। দাঁতের সুরক্ষায় আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর সঠিক পরিমাণে উপস্থিতি থাকতে হবে। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের শিরশির সহ যাবতীয় দাঁতের সমস্যার সৃষ্টি হয়। দাঁত শির শির করা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। দাঁত শির শির করা দাঁত ক্ষয়ের লক্ষণ। যাদের অতিরিক্ত দাঁত শিরশির করে তাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়ার ভয়ে রয়েছে। তাই যদি দাঁত শিরশির করে তাহলে এর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
নিয়মিত দাঁত ব্রা শ করলেই হবে না বছরে অন্তত দুইবার ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়ে চেকআপ করাতে হবে। যারা সচেতন তারা পরিবারসহ সবাই নিয়মিত দাঁতের চেকআপ করে। দাঁত শির শির করা যেকোনো ধরনের দাঁতের সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়। তাই দাঁত শিরশির করলে আমাদের আর্টিকেল থেকে ঘরোয়া এই পদ্ধতি গুলো অবশ্যই অবলম্বন করে দেখবেন।