যদি কোন কারণে পায়খানার সাথে রক্ত পড়া শুরু হয়ে থাকে তাহলে সেটা বন্ধ করার জন্য আপনারা ওষুধের নাম জানতে এখানে এসেছেন। পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। কোন কারনে আপনার মলদ্বারের টিস্যুগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা সেটা যদি ফেটে যায় তাহলে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। যেহেতু পায়খানা করার সময় আপনার সেই মুখ বর্ধিত হয় এবং পায়খানা যদি নরম না হয় শক্ত হয় তাহলে এক্ষেত্রে চাপ প্রয়োগের ফলে রক্ত আরও বেশি বের হতে পারে।
মানুষের এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা যদি রক্ত বন্ধ করার ওষুধের নাম জানতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে আপনাদেরকে আমরা বলব যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওষুধের নাম জেনে নিয়ে সেটা গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ আপনার বয়স কত, আপনার শারীরিক উচ্চতা ও ওজন কেমন, আপনার ইমিউনিটি লেভেল কেমন, সেগুলোর উপর নির্ভর করে কোন কোন উপসর্গের ভিত্তিতে এগুলো হচ্ছে সেগুলো ডাক্তারেরা খুব ভালোমতো বুঝবেন। তাই এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা যদি এসে যান তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করুন যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং এদের মাধ্যমে যদি পূর্বের কোন রোগী ভালো হয়ে থাকে তাহলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারেন।
সাধারণত যাদের পাইলস সমস্যা আছে তাদের মলত্যাগ করার সময় সেখান থেকে রক্ত নির্গত হয়। তাই আপনার যদি মলদ্বারে কুঠির মত কিছু হয়ে থাকে এবং সেটা যদি পাইলসের লক্ষণগুলো প্রকাশ করে তাহলে সেই অনুযায়ী আপনাকে ঔষুধ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ ইন্টারনেট থেকে দুই একটা ওষুধের নাম জেনে নিয়ে সেটা নিজেদের মতো সেবন করলেন তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যার সমাধান যদি করতেই চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটা অনুযায়ী সমাধান করতে হবে।
পাইলস ছাড়াও অর্শ অথবা এই ধরনের কিছু পাশাপাশি রোগ রয়েছে যেগুলো একজন মানুষের পায়খানার সাথে রক্ত বের করতে পারে। আবার অনেক সময়ই মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে পায়খানা যদি কষা হয়ে যায় তাহলে সেটা মলত্যাগ করার সময় এত পরিমাণে চাপ পড়ে যে টিস্যু ফেটে যায় অথবা সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রক্ত নির্গত হতে থাকে। তাই সর্ব প্রথমে আমাদের সাজেশন হবে দৈনন্দিন জীবনে এমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা যেটার মাধ্যমে আপনার প্রতিনিয়ত পায়খানা ক্লিয়ার হয়। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে আপনার যদি এটা ক্লিয়ার না হয় এবং আপনি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে না পারেন তাহলে এই সমস্যাগুলো বারবার রিপিট করবে।
পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়
পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে যদি অর্শ এবং পাইলসের মতো রোগগুলোর কারণ হিসেবে দাঁড়ায়ে তাহলে সেই ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়েও অনেক সময় কোন ফলাফল পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে youtube থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মুখরোচক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শতভাগ ভাবে আপনাদের এই সমস্যার সমাধান করে দিবে বলে ভিউ বাড়ানোর যে ফোন দিয়ে এটা থাকে তাতে করে আপনাদের কোন লাভ হবে না।
পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয়
তাই পায়খানার সাথে রক্ত যাচ্ছে এবং এ বিষয়টি আপনারা যদি অল্পতেই বুঝতে পারেন তাহলে দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আশা করি সেটা ভালো হবে। আর যদি সেটা অবহেলা ও অযত্নের কারণে দিনের পর দিন পুষে রাখেন তাহলে সেটা আপনার জন্যই ক্ষতিকর হবে। আর অর্শ টাইলসের মত সমস্যা গুলো হয়ে থাকলে কলিকাতা হারবাল মেডিকেলের সাহায্য না নিয়ে আপনারা যদি একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাহলে হোমিও চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুযায়ী এগুলো দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।
পায়খানার সাথে রক্ত আসার কারণ ও প্রতিকার
দৈনন্দিন জীবনে মলত্যাগ করার সময় আপনি যদি পরবর্তীতে ভালোমতো পরিষ্কার না হয়ে ওঠেন অথবা সেখানে যদি মল লেগে থাকে তাহলে সেটা থেকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর সৃষ্টি হবে। আর এটা আপনাকে সেই পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে যেখান থেকে আস্তে আস্তে রক্ত বের হতে পারে। তাই সমস্যার সমাধান পেতে যখন থেকে এটা বুঝতে পারবেন তখন থেকে চিকিৎসা নিন যাতে করে দেরি না হয়ে যায়। এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদের সামনে পায়খানার সাথে রক্ত আসার কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন।