চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ

যারা চুল পড়া বন্ধ করতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি। চুল পড়া বন্ধ করতে হলে আপনাদেরকে বিশেষ কিছু বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে। আপনি যদি আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে চান তাহলে আপনাকে বলতে চাই যে আপনি আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ুন। আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বিশেষ কিছু আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই উপায়গুলো যদি আপনি উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন। চুল পড়া সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে চুল পড়া কি? চুল কিভাবে পড়ে?

চুল পড়া কাকে বলে?
চুল পড়া একটি অত্যন্ত অপ্রীতিকর সমস্যা যেখানে মাথা থেকে অপ্রয়োজনে অনেক বেশি চুল পড়তে থাকে। দৈনিক ১০০টি পর্যন্ত চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এই চুলগুলো পরবর্তীতে নতুন করে গজায়। তবে যখন চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায় তখন এই চুলগুলো আর পরবর্তীতে গজায় না। এই সমস্যা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ার কারণে মানুষের টাক পড়ে যায়।

চুল পড়ার লক্ষণ ও উপসর্গ
চুল পড়া সাধারণত অন্তর্নিহিত রোগের উপসর্গ। অন্যান্য যে উপসর্গ চুল পড়ার সাথে সম্পৃক্ত সেগুলো হল:
● মাথার কিছু অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ চুল উঠে যাওয়া
● বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু কিছু চুল অসমান ভাবে উঠে যাওয়া
● সমগ্র দেহ থেকে পর্যায়ক্রমে চুল পড়ে যাওয়া
● মাথা অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানো
● চুল শুকিয়ে যাওয়া এবং ডগা ফেটে যাওয়া
● মাথার ত্বক শুকনো এবং আঁশের মত হয়ে যাওয়া
এই এই সকল উপসর্গ গুলো দেখা যায়।

চুল পড়া বন্ধের জন্য করণীয় ও চিকিৎসা

চুল পড়া বন্ধের জন্য আপনি কি করতে পারেন সেটা হয়তো আপনার জানা নেই। সাধারণত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিকিৎসার ইতিহাস সংগ্রহ ও পরীক্ষার মাধ্যমে চুল পড়ার সমস্যার নির্ণয় করা হয়। তবে কিছু তদন্ত পদ্ধতির সাহায্যে চুল পড়ার কারণ এবং সমস্যাটির নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণের সব থেকে উপযুক্ত চিকিৎসা জানা যেতে পারে। আমরা নিজে বেশ কিছু পদ্ধতি আপনাদেরকে দেখাচ্ছি। এই পদ্ধতি গুলো আপনারা অবলম্বন করতে পারেন।
● আপনার রক্তে ভিটামিন ও খনিজের অভাব আছে কিনা সেটি জানার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন।
● পুল টেস্ট এবং লাইক মাইক্রোস্কোপি মৃদু টানের মাধ্যমে চুলের স্থিতিস্থাপক ও গড়ার জোর বুঝতে পারা যায় লাইট মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে তুলে ঘনত্ব এবং রুম কূপের গঠন পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

চুল পড়ার চিকিৎসা সম্পন্ন হবে সমস্যাটির কারণের উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নিরাময় করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় এটি থেরাপির সাহায্যে নিরাময় করা যেতে পারে। নিচে বেশ কিছু পদ্ধতি আপনাদেরকে জানানো হচ্ছে।

● ঔষধ হিসেবে আপনারা জিংক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই প্রভৃতি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট মিনোক্সিডিল ফিনাস্টেরাইড হরমোন প্রতিস্থাপন ঔষধ এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
● লেজার থেরাপি ব্যবহার করে অর্থাৎ মাথার ত্বকে লেজার রশ্মির প্রয়োগের মাধ্যমে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।
● ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি অর্থাৎ মাথার ত্বক থেকে ঘন চুল যুক্ত সামান্য অংশ নিয়ে চুল পড়ে যাওয়া অঞ্চলে প্রতিস্থাপন করে অনেকটা নিরাময় করা সম্ভব।
● সর্বশেষ পদ্ধতি হলো চুল বপন করা। চুল বপন করে আপনি আপনার মাথার চুল বৃদ্ধি করতে পারবেন।

সম্মানিত পাঠক মন্ডলী, উপরে যে সকল উপায় গুলো আপনাদেরকে দেওয়া হয়েছে এই সকল উপায় বলে যদি আপনার সঠিকভাবে উপলব্ধি করেন এই সকল উপায় গুলো যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এসবের উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি মাথার চুল পড়ার সহজ সমাধান আপনি করতে পারবেন। চুল পড়ার জন্য যা কিছু করণীয়, চুল পড়া বন্ধ করতে যে সকল কর্মকাণ্ডগুলো আপনার হাতে নিতে পারেন সেগুলো আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কিছু তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে সেগুলো পেতে হলে নিয়মিত আমাদের প্রবন্ধ গুলো পড়বেন।

 

Leave a Comment