আজকে আমাদের পোস্টটি করা হচ্ছে বাচ্চাদের বিভিন্ন স্টাইলের মেহেদি ডিজাইন নিয়ে। আমাদের মুসলিম দের জন্য হাতে মেহেদি পড়া একটি সুন্নত। আমাদের ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা আসলেই বাচ্চাদের মেহেদী পড়ার উৎসব হয়। চাঁদ রাতে মেহেদি না পড়লে যেন মনে হয় না ঈদ ঈদ ভাব। আপনাদের ছোট ভাইবোনদের মেহেদি পড়া নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, কার হাতের মেহেদি কেমন রং হল কার হাতের মেহেদী কত সুন্দর ডিজাইন হল এসব নিয়ে ছোট বাচ্চারা অনেক আনন্দ ফুর্তি করে এই দিনে। মেহেদি পাতার গান মনে করিয়ে দেয় আমাদের সেই ছোটবেলার কথা।
এই উৎসবে সবার আগে ছোটদের মেহেদী রঙে রাঙিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। আমরা এই পোস্টে ছোটদের মেহেদি ডিজাইন নিয়ে নতুন কিছু আপনাদের মাঝে এখন তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া মেহেদি র ছবিগুলো দেখে ছোট বাচ্চাদের হাতে মেহেদি দিয়ে দিতে পারেন।
সবাই মেহেদি ডিজাইন করে দিতে পারে না। কিন্তু অনেকেই আছে অনেক সুন্দর করে মেহেদী ডিজাইন করে দিতে পারে বিশেষ করে মেয়েরা অনেক সুন্দর ডিজাইন করে দিতে পারে। হাটে মেহেদি দিয়া একটা শিল্প এই চিরন্তন ঐতিহ্য সব বয়সের ছেলে মেয়েরা পছন্দ করে। বাচ্চাদের মেহেদী ডিজাইনগুলো সব সময় আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনায় ভরা থাকে। কেননা বাচ্চাদের পছন্দ মত মেহেদী ডিজাইন করে দিতে হয় আমাদের।
ছোট বাচ্চাদের ফুলের ডিজাইন
বাচ্চাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেহেদী ডিজাইন গুলোর মধ্যে একটি হল ফুলের ডিজাইন। এই ডিজাইনটি অনেক সূক্ষ্ম এবং সুন্দর এবং লতা পাতা দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে তাই বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে থাকে। আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার সন্তান এবং আত্মীয়-স্বজনকে হাতে প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরার।
বাচ্চাদের কার্টুন ডিজাইন
অনেক বাচ্চা আছে যারা কার্টুন ডিজাইন গুলো অনেক পছন্দ করে আপনি চাইলে তাদের পছন্দগত কাটুন ডিজাইনগুলো তাদের হাতে এঁকে দিতে পারেন। বাচ্চা যদি কার্টুন বেশি পছন্দ করে থাকে তাহলে আপনি যদি তাকে কার্টুন ডিজাইন করে দিয়ে খুশি করতে পারেন সে অনেক আনন্দ পাবে। তার পছন্দমত হলে সে অনেক মজা এবং দুর্দান্ত ভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। বাচ্চাদের বিভিন্ন ডিজাইন নিয়ে আমাদের করা আজকের পোস্ট আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের উৎসবমুখর দিনগুলো আরো সুন্দর করে ফেলতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া মেহেদি ডিজাইন গুলো দেখার মাধ্যমে।
মেহেদির রং লাল করার কৌশল
বাচ্চাদের হাতে মেহেদি লাগানোর পরে প্রাকৃতিক ভাবে শুকাতে যতক্ষণ লাগে আপনি ততক্ষণ ধরে তাদের অপেক্ষা করানোর চেষ্টা করুন। হাতে মেহেদি দেওয়ার পরে এটি শুকাতে দিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগতে পারে আপনারা ধৈর্য ধরে এটি হাতে লাগিয়ে রাখুন। আর যদি আপনারা প্যাকেট মেহেদী দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা 5 থেকে 10 মিনিটের মধ্যেই শুকে যাই। যতক্ষণ না হাতের মেহেদী শুকাচ্ছে ততক্ষণ আপনারা বাচ্চাদের সঙ্গে নানা ধরনের কথা বলুন এবং তারা যেন বিরক্ত বোধ না হয় সে ডেকে লক্ষ্য রাখুন তাহলে দেখবেন আপনার গল্প শুনতে শুনতে তার হাতে মেহেদি শুকিয়ে যাবে। এরপর যখন আপনারা হাতের মেহেদী গুলো তুলে ফেলবেন তখন বুঝতে পারবেন মেহেদি রং কতটা ভালো হয়েছে।
নকশা দীর্ঘস্থায়ী করা
নকশা দীর্ঘ স্থায়ী করতে হলে বেশ কিছু পন্থা রয়েছে যেই পন্থাগুলো আমরা এখন আপনাদের বলার চেষ্টা করব এই পন্থাগুলো অবলম্বন করলে আপনারা আপনাদের নকশাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন। মেহেদী নকশা দীর্ঘস্থায় করতে হলে মেহেদীতে একটু চিনি এবং লেবুর মিশ্রণ লাগাতে হবে যার রং সেট করতে এবং নকশাকে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলবে। আমাদের আজকের পোষ্ট সম্পর্কে আপনাদের ভালো একটি ধারণা হবে আশা করি আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের পছন্দ সে জিনিসগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ধরে ধরতে আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন।