একটা নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করার পর প্রায় প্রতিটি মেয়ের মাসিক হয়। আর মাসিকের সময়টা প্রতিটি মেয়ের কাছে বেশ দুশ্চিন্তার। কারন এই সময়টাই তার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে একটি মেয়ে অনেক সময় দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তাই এই সময় টাতে মেয়েদের শরীরের উপর বেশি যত্ন নিতে হবে। কোন মেয়ে যদি মাসিকের সময় নিজের শরীরের প্রতি অবহেলা করে তাহলে পরবর্তী অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই মাসিক চলাকালীন মেয়েদের করনীয় কি অবশ্যই তা জেনে নিতে হবে।
মাসিক চলাকালীন একটি মেয়ে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়েন। আর সে যেন সেই সমস্যায় না পরেন তাই মাসিক চলাকালীন কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় সে সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনাতে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো মেয়েদের মাসিক হলে করণীয় কি সেই বিষয়ে। যেসব মেয়ে সঠিকভাবে জানে না মাসিক চলাকালীন তাদের কি করা উচিত তারা আমাদের পুরো আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন মেয়েদের মাসিক হলে কি কি করতে হবে সেই বিষয়টি সম্পর্কে।
মাসিক চলাকালীন প্রত্যেকটি মেয়েকে তার শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ এই সময়টাতে প্রতিটি মেয়ের শরীরের ভিতরে একটি অস্থিরতা কাজ করে। আর একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রত্যেক মেয়ের সাধারণত মাসে একবার মাসিক হয়ে থাকে। তাই মাসিক চলাকালীন একটি মেয়েকে কি করনীয় সে বিষয়টি অবশ্যই জেনে নিতে হবে। এই বিষয় টি আগে থেকে জেনে নিলে একটি মেয়ে মাসিক চলাকালীন যে সমস্যা গুলোর মধ্যে পড়ে সেই সমস্যায় আর পড়তে হবে না। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের অনেক সময় অতিরিক্ত মাত্রায় মাসিকের সমস্যা টি হয় যেটা খারাপ।
মেয়েদের মাসিক হলে করণীয় কি
অনেক মেয়ের কাছে মাসিক হওয়াটা অনেক স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে মাসিক চলাকালীন একটি মেয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে। তবে একটি মেয়ে যদি আগে থেকে জেনে নিতে পারে মাসিক হলে তার করণীয় কি তাহলে তাকে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না। তবে আপনারা যারা মাসিক হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানেন না আমরা এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো মেয়েদের মাসিক হলে কি কি করা উচিত। আপনারা যারা জানেন না অবশ্যই এটা জেনে নিন। চলুন দেরি না করে করনীয় কি এখন তা জানা যাক।
ঘনঘন পানি পান
পানি প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তবে মাসিক চলাকালীন পানি মেয়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। কারণ মাসিকের সময় মেয়েদের শরীর থেকে রক্তের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়। তাই পারোতো পক্ষে মাসিক চলাকালীন একটি মেয়েকে ঘনঘন পানি খেতে হবে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
মাসিক চলাকালীন একটি মেয়ের শরীর থেকে অনেক সময় আয়রন পরিমাণ কমে যায়। আর এই আয়রনের ঘাটতির কারণে একটি মেয়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন মাথাব্যথা, ভীষণ ক্লান্তি, মাথা ঘুরে যাওয়া তাই একটি মেয়েকে মাসিক চলাকালীন আয়রনের ঘাটতি যেন না হয় তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবারগুলো একটু বেশি খেতে হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা
মাসিক শুরু হলে একটি মেয়েকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বিশেষ করে যে সকল মেয়ে মাসিক চলাকালীন প্যাড ব্যবহার করেন তাদেরকে ঘন ঘন প্যাড চেঞ্জ করতে হবে নয়তো সেখান থেকে জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে।এই বিষয়টি একটি মেয়েকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
মাসিক হলে যেহেতু একটি মেয়ের শারীরিক ও মানসিক দুটার উপরই অনেক বেশি পেশার পরে।তাই মাসিক শুরু হলে একটি মেয়েকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। কমপক্ষে তাকে নয় থেকে দশ ঘন্টা বিশ্রাম নিলে এই সময় ভালো হয়।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে
অনেক মেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় থাকে। তবে যদি মাসিক চলাকালীন কোন মেয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় দুশ্চিন্তায় থাকে তাহলে সে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাই পরতে পারে তাই এই সময় টাতে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।