আমাদের ওয়েবসাইট আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে নবজাতককে কখন দুধ খাওয়াতে হবে এবং কিভাবে দুধ খাওয়াতে হবে এই পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হয়েছে। আপনি কি নবজাতকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন বা কিভাবে দুধ খাওয়ানো ভালো হবে, কোন সময় দুধ খাওয়ালে ভালো হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আর এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি উপকৃত হতে যাচ্ছেন। কেননা এই আর্টিকেলটিতে নবজাতকের দুধ খাওয়ানোর যাবতীয় পদ্ধতি খুবই চমৎকারভাবে সহজ-সাবলীর ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন বলে আশা করছি। তাই আর দেরি না করে আপনার প্রয়ওজনঈয় বিষয়গুলো জানার জন্য আর্টিকেলটি ঝটপট পড়ে ফেলতে পারেন।
প্রত্যেকটি পরিবারে শিশুর ভূমিকা অপরিসীম। একটি শিশু একটি পরিবারের মধ্যমণি। একটি পরিবারকে ভালো রাখতে, একটা পরিবারকে সুন্দর রাখতে একটি শিশুর ভূমিকা অপরিসীম। প্রত্যেকটি পরিবারই সেই পরিবারের শিশুদের সুন্দর রাখতে চায়, ভালো রাখতে চায়। একটি পরিবারে যখন একজন শিশু জন্ম গ্রহণ করে তখন আনন্দের সীমা থাকে না। সেই শিশুটিকে ঘিরে সবাই বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করতে থাকে এবং সে শিশুটি যাতে ভালো থাকে সেই ব্যবস্থা করতে থাকে। কিন্তু কোন কারণে যদি শিশুটির সমস্যা হয় বা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে পরিবারের সকলেই সেই শিশুটিকে সুস্থ করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আবার বাবা মা সেই শিশুটিকে সুস্থ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াই এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেই।
একটি নবজাতক শিশুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সে শিশুটিকে ভালো মতো দুধ খাওয়ানো। মায়ের দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। একটি শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধের বাইরে অন্য দুধ খাওয়ানো যাবে না বা অন্য বাড়তি খাবার খাওয়ানো যাবে না। এতে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এজন্য একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর ডাক্তাররা বলে দেন যে সে শিশুটিকে অন্ততপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ দিতে হবে। কিন্তু কোন কারণে যদি মায়ের দুধ না পায় তাহলে বাড়তি খাবার তাকে দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুটির স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি মায়ের দুধের বাইরে বাড়তি খাবার দেওয়া হয় এবং ছয় মাসের কম বয়সের বাচ্চা হয় তাহলে বাঁচার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে অপুষ্টিতে ভুগতে পারে। তাই সেসব বাচ্চাদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে হয়।
তবে প্রত্যেকটি বাবা মাকে বাচ্চাদের খাওয়াতে অবশ্যয় সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চার মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় নিয়ে একটি নবজাতক শিশুকে খাওয়ানোর সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাটি ঠিকমতো খাবারগুলো খাচ্ছে কিনা তার কতটুকু খাবার লাগবে এ বিষয়গুলো বাচ্চার মাকে বুঝতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চাকে সব সময় খাবার দেওয়া যেমন অনুচিত তেমনিভাবে অনেক দেরি করে খাবার দেওয়া অনুচিত। তাই সময়মতো বাচ্চাকে খাবার দিতে হবে। তবে নবজাতক শিশুকে ঘনঘন দুধ খাওয়াতে হবে। এতে শিশুর বিকাশ পরিপূর্ণভাবে হবে এবং শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে।
নবজাতক শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনভাবে যেন তার দুধ বেঁধে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সতর্কতার সাথে বাচ্চাকে দুধ না খাওয়ালে অনেক সময় বাচ্চার গলায় দুধ আটকে যেতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই অবশ্যই একজন মাকে তার বাচ্চাকে যখন দুধ দিবে তখন সতর্ক থাকতে হবে এবং সুন্দর যত্ন সহকারে খাওয়াতে হবে। শিশুকে একবারে অতিরিক্ত খাবার না দিয়ে বারবার কিছু সময় পর পর খাওয়াতে হবে। এর ফলে শিশুর পেট ভরা থাকবে এবং শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ পরিপূর্ণভাবে হবে।