অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অত্যন্ত দেখতে সুন্দর একটি ফলের নাম হচ্ছে মেওয়া ফল। সেই মেওয়া ফল বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত। তার মূল কারণ হচ্ছে এগুলো একেবারেই গ্রামীণফোন এবং এগুলোর বংশবিস্তার হতে খুব সময় লাগে এবং ফল ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। এই মেওয়া ফল যাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল তারা আমাদের এখান থেকে আজকে মেওয়া ফলের কিছু ছবি সংগ্রহ করতে পারবেন। মেওয়া ফল সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে জানতে পারবেন এ বিষয়ে।
আরো একটি নাম আছে যেটাকে অনেকেই শরিফা ফল হিসেবে দেখে থাকেন। এটা গ্রাম বাংলাতে অনেক সুপরিচিত একটি ফল এবং অনেকে আছে যারা আতা ফলের সঙ্গে এই ফলকে মিশিয়ে ফেলেন। তবে আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি যে মেওয়া ফল অর্থাৎ শরিফা ফল এবং আতা ফলে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। ভেতরের আজ থেকে উপরের চামড়ার অংশে বিস্তার পার্থক্য থাকার কারণে দুইটাকে দুই ধরনের ফল এবং দুই ফলে রয়েছে দুইটা বৈজ্ঞানিক নাম। আতা ফল অথবা শরিফা ফল এছাড়াও মেওয়া ফল ও নোনা ফল এই ফলগুলোর মধ্যে বেশ কিছু মিল পাওয়া যায় যার কারণে অনেকে এগুলোকে গুলিয়ে ফেলেন। আর মেওয়া ফল নিয়ে আরেকটি উক্তি আছে যেটা আমাদের কাছে শিক্ষণীয় সেটা হচ্ছে “সবুরে মেওয়া ফলে”।
আতা ফল ছবি ডাউনলোড
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আতা ফল খুব ভালোভাবে জড়িত। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং প্রত্যেকটি গল্পে আপনি এই ফলের নাম শুনে থাকবেন । সাধারণত এনোনেসি পরিবারভুক্ত এক ধরনের যৌগিক ফল হচ্ছে এটি। আতা ফল সাধারণত খুব ছোট ছোট কোষ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফল এবং কোষের ভেতরে একটি করে বীজ থাকে এবং সেই বিচকে ঘিরে থাকা যে নরম অংশ থাকে সেগুলোই খেতে সবথেকে সুস্বাদু হয় এবং সবথেকে নরম ও মিষ্টি হয়।
যারা এখন পর্যন্ত জীবনে আতাফল অথবা মেওয়া ফল এই ফলগুলো খাননি তাদেরকে বলব পৃথিবীর সাধের একটি অংশ এখন পর্যন্ত আপনার খাওয়া বাকি আছে। যদি কারো হাতে গাছ পাকা শরিফা ফল বা গাছপাকা আতা ফল আসে তাহলে কখনো আপনি এটাকে না খেয়ে ছেড়ে দেবেন না সেটার দাম যেটাই হোক না কেন। প্রকৃতি থেকে পাওয়া গাছপাকা এই ফলগুলো সত্যি প্রচন্ড মিষ্টি হয় এবং প্রচন্ড সুস্বাদু এবং খুব ঘ্রাণ যুক্ত হয়।
এই জাত আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হচ্ছে কিন্তু এখানে বৈজ্ঞানিকভাবে আতার প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি যা পাওয়া যায়। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার জন্য আতা ফলের একটি জাত উপমহাদেশের বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা সংকর ধরনের একটি আ তার জাত।
মেওয়া ফল চাষ
বাণিজ্যিকভাবে যদি আপনি এই ফলের চাষ করেন তাহলে অবশ্যই লাভবান হতে পারেন তার কারণ হচ্ছে এগুলো বিলুপ্তপ্রায় ফল। আর এই ফলের সাধ সম্পর্কে অবশ্যই আমরা আপনাদের জানিয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে চাষের ক্ষেত্রে এই ফল লাভজনক না এটা অনেকের দাবি তার কারণ হচ্ছে এই ফলের গাছে ফল আসতে বেশ কয়েক বছরের লেগে যায়। কিন্তু আপনাদের মধ্যে ভুল ধারণা হচ্ছে যে আপনারা এই ফল চাষ করে লাভবান হবেন। তার কারণ হচ্ছে বর্তমানে জাত উন্নয়নের মাধ্যমে এটাকে এমন একটি গাছের রূপান্তর করা হয়েছে যেখানে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে।
জাত উন্নয়ন এবং কলমের মাধ্যমে এই গাছ লাগানো গেলে সেখান থেকে ফলন পাওয়া যাবে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই। আর এই ফলের এতটাই চাহিদা যে সঠিকভাবে বাজারজাতকরণ করলে আপনি গাছ থেকে পাওয়া মেওয়া ফলগুলো বাজারে দিয়ে শেষ করতে পারবেন না। আশা করছি আপনি বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন তাই যদি নিজের ইচ্ছা থাকে তাহলে নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রেনিং গ্রহণ করে আপনি এই কাজে লেগে পড়তে পারেন।