একজন নারীর খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা অথবা বিভিন্ন গন্ধ এলাকার ব্যাপার স্যাপার থাকলেও সবচাইতে ক্যালসিয়ামের বড় উৎস হচ্ছে দুধ। তবে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য সময়ে দুধ খাওয়া গেলেও গর্ভ অবস্থায় একজন নারী দুধ খেতে চান না। তবে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা যায় তাহলে আমরা মনে করে যে এ খাবার হবে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য। তাই এখানে গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করছি এবং দুধ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা আলোচনা করব।
স্বাভাবিকভাবে দুধ অত্যন্ত ভারী একটা খাবার এবং এই ভারি খাবার আমরা অনেক সময় না বুঝে খাবার সাথে সাথে শুয়ে পড়ি অথবা এই ভারী খাবার আমাদের শরীরের জমতে সাহায্য করায়। কিন্তু একজন নারী যখন গর্ভবতী অবস্থায় থাকে তখন তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় অথবা তার শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসার কারণে অনেক সময় খাবার গ্রহণ করতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই একজন অভিভাবক হিসেবে অথবা গর্ভবতী নারী হিসেবে আপনারা যখন এ বিষয়ে সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে তথ্য জানিয়ে দেব।
বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে দুধ খাওয়া যাবে কিনা সেটা যদি জানতে চান তাহলে বলব যে অবশ্যই খাওয়া যাবে। গর্ভাবস্থায় যদি একজন নারী দুধ খেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ খেতে হবে। সাধারণত একজন নারী যখন গর্ব অবস্থায় থাকে তখন তার প্রত্যেকদিন এক হাজার থেকে এক হাজার তিনশ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। যদি মনে করেন এই ক্যালসিয়ামের চাহিদা কোথায় থেকে পূরণ করবেন তাহলে বলব যে আপনি যদি ৫০০ গ্রাম বাধা লিটার দুধ খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
আর আপনি যখন এই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবেন তখন সেটা আপনার জন্য খুবই ভালো ভূমিকা রাখবে এবং আপনার পাশাপাশি আপনার সন্তানের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম ও মিনারেল এর চাহিদা খুব সুন্দর ভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়। তাই অন্যান্য সময় স্বাভাবিকভাবে যেভাবে দুধ খেতে হয় ঠিক একইভাবে দুধ খেতে হবে এবং ঘুমানোর ঠিক দুই ঘন্টা আগে এই দুধ খেতে হবে যাতে করে তা হজম শক্তিতে কোন ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি না করে।
গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়া যাবে কি
অনেকেই মনে করেন গর্ব অবস্থায় দুধ খাওয়া যাবে কিনা এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার ক্ষেত্রে বলব যে অবশ্যই দুধ খাওয়া যাবে। কারণ দুধ খাওয়ার মধ্য দিয়ে একজন গর্ভবতী মা তার শরীরের ক্যালসিয়াম ও মিনারেল এর চাহিদা পূরণ করতে পারবে। আর যখন এই চাহিদা পূরণ হবে তখন একজন মা খুব সহজেই প্রত্যেকটা বিষয়ের সঙ্গে সারভাইভ করতে পারবে এবং গর্ভের সন্তান মায়ের পুষ্টিগুণ অনুযায়ী আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে পারবে।
গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার সঠিক সময়
গর্ভাবস্থায় দুধ কখন খেতে হয় অথবা দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কখন তা যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে দিনের যে কোন অংশে দুধ খেতে হবে। তবে দুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে বলবো যে এটা অত্যন্ত ভারী খাবার এবং ভরা পেটে খেলে এটা আপনাকে আরও অসস্তিতে ফেলবে। তাই আপনি যদি মনে করেন যে হালকা খাবার খেয়ে দুধ খাবো এবং এক্ষেত্রে পুরোপুরিভাবে রেস্ট না নিয়ে কোন কিছু করবো তাহলে সেই সময়টা সবচাইতে ভালো হবে। তাই অন্যান্য সময়ের মতো করে ক্যালসিয়াম ও মিনারেল এর চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনারা সঠিক নিয়ম মেনে দুধ খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এ সময় যদি একজন নারী পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পান করে তাহলে বাচ্চার ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যায়। সেই সাথে দুধের মধ্যে যে আয়রন উপাদান রয়েছে তা বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সুন্দর ভূমিকা পালন করে এবং বাচ্চা ভবিষ্যতে বুদ্ধিমান হয়। সাধারণত নবজাতক জন্মগ্রহণ করার পর হাড়ের ভেতরে যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে সেগুলো মা দুধ খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চার হাড়ের সমস্যা গুলো গর্ভের ভেতরে সমাধান করে ফেলেন। এছাড়াও দুধ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।