মোবাইল আসক্তি অনুচ্ছেদ

বর্তমান সময়ে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল। মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে একটি স্থান থেকে অন্যান্য স্থানে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। তাছাড়া মোবাইল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে খুব সহজে সারা বিশ্বের খবর সংগ্রহ করা সম্ভব। কিন্তু মোবাইলের যেমন বিভিন্ন ইতিবাচক দিক রয়েছে তেমনিভাবে নেতিবাচক দিকও রয়েছে। মোবাইল প্রয়োজনে ব্যবহার করা ঠিক আছে। কিন্তু অনেকে দেখা যায় যে অপ্রয়োজনে বেশি মোবাইল ব্যবহার করে বা মোবাইলে আসক্তি হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলে আসক্তি এই জিনিসটা খুবই খারাপ একটি বিষয় এবং যে ব্যাক্তি মোবাইল ফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে যায় সেই ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

মোবাইলে আসক্তির বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মোবাইল ফোন আসক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অনেকে দেখা যায় মোবাইল ফোন আসক্তি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চায়। মোবাইল আসক্তি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি মোবাইল আসক্তি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন। এখান থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনি লিখতে পারবেন খুবই সহজে। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহার করে না এরকম মানুষ খুব কমই রয়েছে। তবে মোবাইলের প্রয়োজনীয় ব্যবহারের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারই বেশি হয়। কারণ বর্তমান সময়ে খেয়াল করলে দেখা যায় যে ছোট বড় সকলের হাতে মোবাইল রয়েছে। তারা তাদের সময় নষ্ট করার জন্য এই মোবাইলটি বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে তাদের সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তারা বুঝতে পারছেনা। একবার মোবাইলে বিভিন্ন ভিডিও দেখা শুরু করলে বা মোবাইলে গেম খেলা শুরু করলে মানুষ থামতে চায়না বা মোবাইল ব্যবহার না করতে থাকে না। এর ফলে যেমন তার চোখের সমস্যা হতে পারে তেমনিভাবে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

যে ব্যক্তি মোবাইলে আসক্ত সে হয়তো সহজে বুঝতে পারবে না, তার সমস্যাটা মোবাইল এর ফলে হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষতি হবে তা পরবর্তীতে টের পাওয়া যাবে। এর কারণ মোবাইলে আসক্তি হলে মোবাইল ব্যবহার না করা পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যায় না। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে দীর্ঘক্ষন ধরে মোবাইল ব্যবহার করার ফল। আবার অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করছে। এর ফলে তাদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা পড়াশোনা ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না। আর মোবাইল ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের চোখে সমস্যা হচ্ছে। আবার বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে মাথা ব্যথার মতো দুটি সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। এর ফলে ঠিকমতো পড়াশোনা তারা করতে পারছে না।

আর ফলশ্রুতিতে বর্তমান সময়ে ভালো ছাত্র তৈরি হওয়া বা ভালো মানুষ তৈরি হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্য অল্প বয়সে ছেলে মেয়েদের মোবাইল দেওয়া উচিত নয়। তাদের প্রয়োজনে অভিভাবকের মোবাইল তারা ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু তাদের পার্সোনাল মোবাইল দেওয়া উচিত নয়। কারণ তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন ধরনের গেম, ভিডিওতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর ফলে তারা পড়াশোনায় মনোযোগ যেমন দিচ্ছে না তেমনি ভাবে তাদের স্বাস্থ্যের সমস্যা হচ্ছে বা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই মোবাইলের আসক্তির হাত থেকে বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আস্তে আস্তে আসক্তিমূলক একটি প্রজন্ম তৈরি হবে যা একটি দেশের জন্য কখনো ভালো হতে পারে না।আমাদের উচিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার না করা। কারণ প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই মোবাইলে আসক্তি তৈরি হতে পারে। যেকোনো বয়সের মানুষের মোবাইলে আসক্তি তৈরি হতে পারে, যার ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।

Leave a Comment