জাদুঘর অনুচ্ছেদ

জাদুঘরের নাম বলে থাকলেই অনেকেই হয়তো আপনারা ভাববেন যে নিশ্চয়ই সেই ঘরের ভেতরে জাদু দেখানো হয়। কিন্তু জাদুঘর বলতে গেলে কোন জাদু দেখানোর স্থান নাই বরং প্রত্নতাত্মিক আমলের অথবা আগেকার দিনের আমলের ব্যবহার যে জিনিস এখানে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। খুব স্বাভাবিকভাবে আপনি যদি ভাবেন যে এখনকার যে সকল ব্যবহার যে জিনিস এবং আগের ১০ বছরের আগের ব্যবহার যে জিনিস এক হবে না। তাছাড়া যুগে যুগে বিভিন্ন জিনিসের পরিবর্তন হয়েছে এবং যুগে যুগে এই সকল পরিবর্তনের কারণে মানুষের ব্যবহার যে জিনিসের মধ্যেও রুচির পরিবর্তন হয়েছে।

তাছাড়া আগেকার দিনের দেশ পরিচালনার ভার এক সিস্টেমে পরিচালিত হয়ে থাকত এবং এখনকার দিনের সকল ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পরিবর্তণ এসেছে। তাই আমরা যখন আগেকার দিনের কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চাইবো অথবা আগেকার দিনের কোন বিষয় পাঠ্য বই থেকে পড়ে সে বিষয়ে স্বচক্ষে কোন জিনিস দেখতে চাইবো তখন আমাদেরকে জাদুঘরে যেতে হবে। নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ইতিহাস জানতে হলে তারা আসলে কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন অথবা কোথায় মৃত্যুবরণ করেছেন তার ওপরে নির্ভর করে শেষে সকল স্থানে বিভিন্ন ধরনের জাদুঘর রয়েছে।

আপনি যদি রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি অর্থাৎ কুষ্টিয়া তে গিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু সেখানে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন পাত্রে খেয়েছেন অথবা কোন বিছানাতে ঘুমিয়েছেন এ সকল বিষয়গুলো দেখতে পাবেন। আবার আপনি যদি লালবাগ কেল্লায় গিয়ে থাকেন তাহলে সেখানকার মানুষেরা কি কি জিনিস ব্যবহার করেছে অথবা যারা শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছে তারা কোন জিনিসগুলোতে জীবন কাটিয়েছে সেগুলো দেখা যাবে। একজন মানুষের জীবনে অতীতে কি কি জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়গুলোই জাদুঘরে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।

তাই আপনারা জাদুঘরে বেড়াতে গেলে কিন্তু সেখানকার বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন এবং বিভিন্ন রাজাদের ব্যবহার যে জিনিস আমরা চোখের সামনে দেখতে পারব বলে বুঝতে পারবো আগেকার দিনের জিনিসপত্র কেমন ছিল। কথা হোক অথবা বাস্তবতায় হোক যখন আমরা রাজ রাজাদের কাহিনী শুনি তখন মনে হয় আসলে তাদের পোশাক কেমন ছিল অথবা তারা কিভাবে যুদ্ধ করতে যেত অথবা কিভাবে তাদের রাজ্য পরিচালনা করতো এ ধরনের ধারণা জানার আগ্রহ থাকে। তাই সেই আগ্রহের জায়গা থেকে আপনাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের জাদুঘর বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচাইতে পুরাতন জাদুঘর হল বরেন্দ্র জাদুঘর এবং এটার রাজশাহীতে অবস্থিত। প্রত্যেকটা জাদুঘরের প্রবেশ করার একটা নির্দিষ্ট সিস্টেম রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একরকম শুভেচ্ছা মূল্য নেওয়া হয়ে থাকে এবং যারা বিদেশি পর্যটক রয়েছে তাদের জন্য আর একরকম শুভেচ্ছা মূল্য গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি সেখানে প্রবেশ করে কোন কিছু দেখতে চান অথবা কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে যেতে হবে এবং সপ্তাহের কোন কোন দিন চালু রয়েছে সেটা জেনে নিয়ে যাবেন।

জাদুঘর অনুচ্ছেদ রচনা class 8

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য যদি জাদুঘর অনুচ্ছেদ রচনা লিখতে বলা হয়ে থাকে তাহলে একটি জাদুঘর আসলে আমাদের কি কি নির্দেশনা প্রদান করে সে বিষয়ে লিখে দিবেন। পাঠ্য বই থেকে পড়া টপিক অনুযায়ী সেই স্থানে গিয়ে যখন আমরা জাদুঘর ভিজিট করব তখন দেখা যাবে যে পাঠ্য বইয়ের অনেক বিষয় সেখানকার তথ্যের সঙ্গে আমরা মিলাতে পারছি। জাদুঘর আমাদের অতীত সম্পর্কে ধারণা দান করতে সাহায্য করে এবং অতীত সম্পর্কে জেনে নিয়ে আমরা সেই থেকে বাস্তবতার শিক্ষা অর্জন করতে পারি।

জাদুঘর অনুচ্ছেদ রচনা class 10

আপনারা যারা দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা এখান থেকে জাদুঘরের অনুচ্ছেদ রচনা দেখে নিতে পারেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে জাদুঘর রয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের উপর নির্ভর করে সকল জাদুকর নির্মিত করা হয়েছে। কমবেশি প্রতিটা পর্যটক স্থানে জাদুকর রয়েছে।

জাদুঘর অনুচ্ছেদ রচনা hsc

যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিবেন অথবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন তাদের জন্য আমরা এখানে জাদুকর অনুচ্ছেদ দিয়ে দিলাম। যদি রচনা করে লিখতে বলা হয় তাহলে কিন্তু আপনাদের বড় আকারে লিখতে হবে এবং বড় করে লেখার জন্য অনেক তথ্যের প্রয়োজন হবে। আমাদের এখানকার তথ্য আপনাদের অনেক কাজে আসবে বলে মনে করি।

Leave a Comment